পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - এ উম্মতের [উম্মতে মুহাম্মাদী (সা.)-এর] সাওয়াবের বিবরণ
৬২৮৮-[৬] ’আমর ইবনু শু’আয়ব (রহিমাহুল্লাহ) তাঁর পিতা হতে, তিনি তাঁর দাদা হতে বর্ণনা করেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (সা.) সাহাবায়ে কিরামকে প্রশ্ন করলেন, আল্লাহর সৃষ্টিকুলের মাঝে ঈমানের দিক দিয়ে কাকে তোমরা অধিক পছন্দ কর? তারা বললেন, মালায়িকা (ফেরেশতাদের)-কে। নবী (সা.) বললেন, তাঁরা ঈমান আনবে না কেন, তারা তো তাঁদের প্রভুর কাছেই আছেন। এবার সাহাবীগণ বললেন, তবে নবীগণ। তিনি (সা.) বললেন, তারা ঈমানদার হবে না কেন, তাঁদের ওপর তো ওয়াহী অবতীর্ণ হয়ে থাকে। এবার তারা বললেন, তবে আমরা। তিনি (সা.) বললেন, তোমরা ঈমান আনয়ন করবে না কেন, অথচ আমি তোমাদের মাঝে বিদ্যমান আছি। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, আমার কাছে ঈমানের দিক দিয়ে সবচেয়ে পছন্দনীয় ঐ সম্প্রদায়, যারা আমার পরে জন্মগ্রহণ করবে। যারা সহীফাহ্ (কুরআন) পাবে, এতে আল্লাহর যে সকল বিধাসমূহ লিপিবদ্ধ রয়েছে, তার ওপর তারা ঈমান আনবে।
اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَاب ثَوَاب هَذِه)
وَعَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَيُّ الْخَلْقِ أَعْجَبُ إِلَيْكُمْ إِيمَانًا؟» قَالُوا: فالنبيون قَالَ: «ومالهم لَا يُؤْمِنُونَ وَالْوَحْيُ يَنْزِلُ عَلَيْهِمْ؟» قَالُوا: فَنَحْنُ. قَالَ: «ومالكم لَا تُؤْمِنُونَ وَأَنَا بَيْنَ أَظْهُرِكُمْ؟» قَالَ: فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِن أَعْجَبَ الْخَلْقِ إِلَيَّ إِيمَانًا لَقَوْمٌ يَكُونُونَ مِنْ بَعْدِي يَجِدُونَ صُحُفًا فِيهَا كِتَابٌ يُؤْمِنُونَ بِمَا فِيهَا» اسنادہ ضعیف ، رواہ البیھقی فی دلائل النبوۃ (6 / 548) * و المغیرۃ بن قیس : ذکرہ ابن حبان فی الثقات (9 / 168) وقال ابو حاتم الرازی :’’ منکر الحدیث ‘‘ (الجرح و التعدیل 8 / 228) و الجرح فیہ مقد
ব্যাখ্যা: (أَيُّ الْخَلْقِ أَعْجَبُ) সৃষ্টিজীবের মধ্যে থেকে কাদের ঈমান অধিক উত্তম ও মজবুত উত্তরে সাহাবীগণ বললেন, মালাকের (ফেরেশতার) ঈমান। রাসূল (সা.) বলেন, কিভাবে তা হয় অথচ তারা আল্লাহ তা'আলার নিকটে অবস্থান করে তার বিস্ময়কর ও আশ্চর্যজনক বস্তু দেখেছে ও ঈমান এনেছে?
(قَالُوا: فالنبيون) তারা বললেন, রাসূল (সা.) বলেন, কিভাবে? তাদের ওপর ওয়াহী নাযিল হয়, তাঁদের নিকট রুহুল আমীন মালাক (ফেরেশতা) আগমন করেন। তাদের নিকটে বিনা মাধ্যমে আল্লাহর পয়গাম এসেছে। আল্লাহ তা'আলার প্রত্যক্ষ ও চাক্ষুষ ক্ষমতা দর্শন করেছেন।
(قَالُوا: فَنَحْنُ) তারা বললেন, আমাদের ঈমান। রাসূল (সা.) বলেন, তোমাদের মজবুত ঈমানের কি শান রয়েছে? অথচ তোমরা নুবুওয়্যাতের নিদর্শনাবলী এবং ঈমান ও ওয়াহীর প্রভাবকে একেবারে প্রত্যক্ষ করেছ।
(لَقَوْمٌ يَكُونُونَ مِنْ بَعْدِي) আমার পরে অর্থাৎ আমার মৃত্যুর পরে কিয়ামত পর্যন্ত আমার আনুগত্যকারীরা।
(يَجِدُونَ صُحُفًا) তারা পাবে কুরআন ও হাদীস যাতে দীনের বিধি-বিধান লিপিবদ্ধ রয়েছে।
(يُؤْمِنُونَ بِمَا فِيهَا) রসূলের মুখের হাদীসের খবর এবং কুরআনের বিভিন্ন অদৃশ্য সংবাদ শুনে দেখে না দেখে অদৃশ্য বস্তুর প্রতি ঈমান নিয়ে আসে। (মিশকাতুল মাসাবীহ - মুম্বাই ছাপা, ৫ম খণ্ড, পৃ. ৩০০)