হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৬২৪৬

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সমষ্টিগতভাবে মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য

৬২৪৬-[৫১] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর সাথে সাক্ষাৎ হলে তিনি (সা.) বললেন, হে জাবির! কি ব্যাপার? তোমাকে আমি চিন্তাযুক্ত দেখছি? আমি বললাম, আমার পিতা শহীদ হয়েছেন এবং রেখে গেছেন পরিবার-পরিজন ও ঋণ। তখন তিনি (সা.) বললেন, আমি কি তোমাকে এ সুসংবাদ দেব না যে, আল্লাহ তা’আলা তোমার পিতার সাথে কি আচরণ করেছেন? আমি বললাম, হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসূল! অবশ্যই বলুন। তিনি বললেন, আল্লাহ তা’আলা এ অবধি যার সাথেই কথাবার্তা বলেছেন, তা পর্দার আড়াল হতে বলেছেন, কিন্তু তিনি তোমার পিতাকে জীবিত করেছেন এবং আল্লাহ তা’আলা বলেছেন, হে আমার বান্দা! তোমার মনে যা ইচ্ছা আমার কাছে চাও, আমি তোমাকে তা প্রদান করব। তোমার পিতা বললেন, হে প্রভু! আমাকে জীবিত করে দিন, যাতে আমি দ্বিতীয়বার আপনার পথে শহীদ হই। আল্লাহ তাবারাক ওয়া তা’আলা বললেন, আমার এ বিধান পূর্বেই সাব্যস্ত রয়েছে যে, একবার মৃত্যুর পর কোন লোক আবার দুনিয়াতে ফিরে আসবে না। অতঃপর কুরআনের এ আয়াত অবতীর্ণ হয়- “যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়েছে, তোমরা তাঁদেরকে মৃত মনে করো না, বরং তারা জীবিত।” (তিরমিযী)

اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَاب جَامع المناقب)

وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ: لَقِيَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «يَا جَابِرُ مَا لي أَرَاك منكسراً» قلت يَا رَسُول الله اسْتشْهد أبي قتل يَوْم أحد وَتَرَكَ عِيَالًا وَدَيْنًا قَالَ أَفَلَا أُبَشِّرُكَ بِمَا لَقِي الله بِهِ أَبَاك قَالَ قُلْتُ بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ مَا كَلَّمَ اللَّهُ أَحَدًا قَطُّ إِلَّا مِنْ وَرَاءِ حجاب وَأَحْيَا أَبَاك فَكَلمهُ كفاحا فَقَالَ يَا عَبْدِي تَمَنَّ عَلَيَّ أُعْطِكَ قَالَ يَا رَبِّ تُحْيِينِي فَأُقْتَلُ فِيكَ ثَانِيَةً قَالَ الرَّبُّ عز وَجل إِنَّه قد سبق مني أَنهم إِلَيْهَا لَا يرجعُونَ قَالَ وأنزلت هَذِهِ الْآيَةِ [وَلَا تَحْسَبَنَّ الَّذِينَ قُتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتًا] الْآيَة. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ اسنادہ حسن ، رواہ الترمذی (3010) ۔ (صَحِيح)

ব্যাখ্যা: (كفاحا) ‘কাফ বর্ণে যেরসহ। অর্থাৎ সামনাসামনি, উভয়ের মাঝে কোন পর্দা বা কোন দূত ছাড়াই। (تَمَنَّ عَلَيَّ أُعْطِكَ) বাহ্যিক দিক থেকে (مفعول) (কর্ম) টি (عام) হরফ করাতে বা প্রসঙ্গ উহ্য করা। অতএব এখানে এ জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে যে, প্রতিশ্রুতির ব্যাপকতা জীবিতকরণকে শামিল করে। আর তিনি তো ওয়াদার ব্যতিক্রম করেন না। তাই তাকে যে জীবিত করবেন না- এটা কিভাবে হতে পারে? এ জটিলতার সমাধান এভাবে সম্ভব যে, স্বাভাবিক প্রতিশ্রুতির বিরোধিতা ব্যাপকতার বাইরের বিষয়। কারণ স্বভাবত রীতিই হলো বৈশিষ্ট্যতার একটি পদ্ধতি। যেমনটি নীতি নির্ধারকগণ বলে থাকেন।
(تُحْيِينِي) এর মাধ্যমে চূড়ান্ত আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়া প্রসঙ্গ দাবী করে এখানে (احينى) হোক। অর্থাৎ পৃথিবীতে আবার আমাকে জীবিত করুন। পক্ষান্তরে শহীদরা তো জীবিতদের মতো কথা বলে। তাহলে কিভাবে তারা পুনঃজীবিত হতে চাইবে? এটা তো পুনরুক্তি মাত্র। (হাশিয়ায়ে সিনদী, ইবনু মাজাহ, “জামিউল কুতুবুত তিস্'আহ্” এ্যাপ, হা. ১৯০)

(لايرجعون) তারা দুনিয়ায় এভাবে পুনরায় প্রত্যাবর্তিত হবে না যে, সেখানে দীর্ঘকাল বেঁচে থাকবে ও আল্লাহর ইবাদাত বন্দেগী উত্তমরূপে সম্পাদন করবে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)