পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সমষ্টিগতভাবে মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬২৪৫-[৫০] ’উকবাহ্ ইবনু ’আমির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: লোকেরা ইসলাম গ্রহণ করেছে। অপরদিকে ’আমর ইবনুল আস ঈমান এনেছে। [ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং তিনি বলেছেন, এ হাদীসটি গরীব উপরন্তু তার সনদটিও সুদৃঢ় নয়]
اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَاب جَامع المناقب)
وَعَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَسْلَمَ النَّاسُ وآمن عَمْرو بنُ الْعَاصِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وقا ل: هَذَا حَدِيث غَرِيب وَلَيْسَ إِسْنَاده بِالْقَوِيّ اسنادہ حسن ، رواہ الترمذی (3844) و للحدیث شاھد ۔ (حسن لشاهده)
ব্যাখ্যা: (أَسْلَمَ النَّاسُ) এতে মক্কাবাসীদের নিকট থেকে মুসলিমদের বিজয়ের সময় ও প্রথাগত রীতির পরিচয় ফুটে উঠেছে। আর ইবনুল আস (রাঃ)- মক্কা বিজয়ের এক বছর অথবা দুই বছর পূর্বে স্বেচ্ছায় মদীনায় হিজরত করে অনুপ্রাণিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেছেন।
রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর বাণী দ্বারা এ কথা জানাতে চেয়েছেন যে, মক্কাবাসীরা বলপ্রয়োগের মাধ্যমে বাধ্য হয়ে ভয়ে ইসলাম কবুল করেছে। আর ‘আমর (রাঃ) আগ্রহ নিয়েই ইসলাম গ্রহণ করেছেন।
ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) ও অন্যরা বলেন, এর কারণ ইসলামে এ সম্ভাবনা আছে যে, তাকে অপছন্দবশত উত্তপ্ত করে তুলবে। তবে ঈমানের ব্যাপারটা স্বেচ্ছায় ও উৎসাহ ছাড়া হতে পারে না। ইবনুল মালিক (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, আগ্রহের সাথে ঈমান গ্রহণকে ‘আমর (রাঃ)-এর সাথে বিশেষভাবে বলার কারণ হলো যখন নাজাশী হাবাশায় নবী (সা.)-এর নুবুওয়্যাতকে স্বীকার করেছিলেন তখন ঈমান ‘আমর (রাঃ)-এর হৃদয়ে জায়গা গ্রহণ করে। অতঃপর কারো ডাক ছাড়াই তিনি বিশ্বাস করে রসূলের উদ্দেশে গমন করেন। আর তৎক্ষণাৎ মদীনায় তাড়াতাড়ি পৌছে ঈমান আনেন। রাসূল (সা.) তাঁকে একদল সাহাবীর আমীর নিযুক্ত করেন। এসব সাহাবীদের মধ্যে আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ) ও উমার ফারূক (রাঃ) অন্যতম।
এটা এজন্য করেছিলেন যে, ‘আমর (রাঃ) ইসলাম গ্রহণের পূর্বে নবীর প্রতি শত্রুতা পোষণ ও সাহাবীদের বিনাশ সাধনে চরমে পৌছে ছিলেন। যখন তিনি ঈমান আনলেন তখন নবী (সা.) তাঁর অন্তর থেকে পূর্ববর্তী বশ্যতা দূর করার ইচ্ছা পোষণ করলেন। যাতে সে এসব দিক থেকে নিরাপদ থাকে এবং আল্লাহর রহমাত থেকে নিরাশ না হয়। (তুহফাতুল আহওয়াযী হা. ৩৮৫৬)