পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সমষ্টিগতভাবে মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬২৩৯-[৪৪] আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: আবূ যার -এর তুলনায় সত্যভাষী ও ওয়া’দা পূরণকারী নীল আকাশ কারো উপর ছায়া দান করেনি এবং ধুলাবালির জমিন তার পিঠে বহন করেনি। দুনিয়াবিমুখীতায় তিনি হলেন ’ঈসা ইবনু মারইয়াম (আঃ)-এর সদৃশ। (তিরমিযী)
اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَاب جَامع المناقب)
وَعَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا أَظَلَّتِ الْخَضْرَاءُ وَلَا أَقَلَّتِ الْغَبْرَاءُ مِنْ ذِي لَهْجَةٍ أَصْدَقَ وَلَا أَوْفَى مِنْ أَبِي ذَرٍّ شِبْهِ عِيسَى بن مَرْيَم» يَعْنِي فِي الزّهْد. فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ كَالْحَاسِدِ: يَا رَسُولَ الله أفتعرف ذَلِك لَهُ؟ قَالَ: «نعم فَاعْرِفُوهُ لَهُ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ: حَدِيث حسن غَرِيب اسنادہ حسن ، رواہ الترمذی (3802) ۔ (حسن)
ব্যাখ্যা: (ذِي لَهْجَةٍ) অর্থাৎ- এর অর্থ জিহ্বা। কেউ বলেন, এর অর্থ জিহ্বার কিনারা। অর্থ উচ্চারণে সক্ষম ব্যক্তি।
কেউ বলেন, (اللِّسَانِ) হলো যা বলা হয়। অর্থাৎ যিনি কথা বলতে পারেন।
(أصْدَقَ وَلَا أَوْفَى) অধিক সত্যবাদী, ওয়া'দা ও প্রতিশ্রুতির কথায়।
(شِبْهِ عِيسَى بن مَرْيَم) জের সহকারে (بَدَلٌ) হবে। অর্থাৎ তার সদৃশ। সাদৃশ্য ধারণ করা সম্পর্কে হাদীসে এসেছে, (مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى تواضع عيسى بن مَرْيَمَ فَلْيَنْظُرْ إِنِى ذَرٍّ) “ঈসা ইবনু মারইয়াম (আঃ) এর নম্বতা দেখে যে খুশি হতে চায়, সে যেন আবূ যার (রাঃ) -এর দিকে লক্ষ্য করে- (ইবনু আবী শায়রাহ ৬/৩৮৮: সহীহ হাদীস), (তুহফাতুল আহওয়াযী হা. ৩৮১৪)।
কারী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন: তুলনা হলো নম্রতা, বিনয়ীতার দিক থেকে। বর্ণনাকারীর কথা (يَعْنِي فِي الزّهْد) থেকে এ দিক ফুটে উঠে যে, তিনি হাদীসটি উপলব্ধি করতে পারেননি। অথচ (مُتَوَاصِع) (নম্রতা) ও (زَاهِدًا) (দুনিয়াবিমুখ) এর মধ্যে কোন বৈপরীত্য নেই। বরং (زُهْدُ) তথা সংসার ত্যাগী চেতনার জন্য বিনয় নম্রতা ওয়াজিব। (মিরকাতুল মাফাতীহ)