পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সমষ্টিগতভাবে মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬২৩১-[৩৬] ’আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, মুসলিমদের সাথে পরামর্শ ছাড়া যদি আমি কাউকে আমীর বানাতাম তাহলে ইবনু উম্মু ’আবদ-কে লোকেদের ওপর আমীর নিযুক্ত করতাম। (তিরমিযী ও ইবনু মাজাহ)
اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَاب جَامع المناقب)
وَعَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَوْ كُنْتُ مُؤَمِّرًا مِنْ غَيْرِ مَشُورَةٍ لَأَمَّرْتُ عَلَيْهِمُ ابْنَ أُمِّ عَبْدٍ» رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ اسنادہ ضعیف ، رواہ الترمذی (3808) و ابن ماجہ (137) * فیہ الحارث الاعور : ضعیف و ابو اسحاق السبیعی مدلس و عنعن ۔ (واه)
ব্যাখ্যা: (فَوُفِّقْتَ) আপনাকে আমাদের সাথে মিলানো হয়েছে। যেমন বলা হয়: (أتانا لتيفاق الهلال وميفاقه) অর্থাৎ সে আমাদের নিকট এসেছে যখন নতুন চাঁদ উদিত হয়েছে। এর আগে নয়, না পরেও। যেন সেটা মিলিত হওয়ার একটি বাস্তব কেন্দ্রকে বুঝাচ্ছে। (لَوْ كُنْتُ مُؤَمِّرًا) অর্থাৎ কাউকে আমীর নিযুক্ত করা।
(مِنْ غَيْرِ مَشُورَةٍ) তূরিবিশতী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, এ হাদীসটি যে সনদেই বর্ণনা হোক না কেন তা এভাবে তা'বীল করা দরকার যে, অবশ্য রাসূল (সা.) তাকে নির্দিষ্ট সৈন্যদলের আমীর নিয়োগ করার ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন। অথবা তাঁর জীবদ্দশায় কোন কাজের খলীফাহ্ বানিয়েছিলেন আর এ হাদীসকে খুলাফায়ে রাশিদার ওপর ধরা ঠিক হবে না। যা নবী (সা.)-এর ওফাতের পর প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল। কারণ তা কুরায়শ বংশের সাথে নির্দিষ্ট যেমনটি রাসূল (সা.) হাদীসে বর্ণনা করেন। আর আমাদের সর্দার আবদুল্লাহ ইবনু মাস’উদ (রাঃ) কুরায়শ বংশের অন্তর্ভুক্ত নন।
সে কারণে খিলাফতে রাশিদাকে কুরায়শ বংশের সাথে সম্পৃক্ত করা ছাড়া অন্য কারো সাথে যুক্ত করা ঠিক হবে না। যেমন আমরা আলোচনা করলাম। তবে তাঁর “ইলম ও ‘আমলের কারণে একটা অন্যতম মর্যাদা রয়েছে। রয়েছে অগ্রাধিকার পাওয়ার একটা বড় অংশ। আবার তিনি অধিক শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী। (তুহফাতুল আহওয়াযী হা. ৩৮২১, মিশকাতুল মাসাবীহ - মুম্বাই ছাপা, ৫ম খণ্ড, পৃ. ২৭৩-২৭৪)