পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পরিবার-পরিজনদের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১৭৫-[৪১] উসামাহ্ ইবনু যায়দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর রোগ যখন খুব বেড়ে গেল, তখন আমি ও অন্যান্য লোকেরা মদীনায় অবতরণ করলাম। অতঃপর আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে গেলাম। এ সময় তিনি (সা.) নীরব হয়ে গিয়েছিলেন, কথাবার্তা বলতে পারছিলেন না। তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) আমার দেহের উপর তাঁর উভয় হাত রাখলেন। তারপর হাত দুটি উপরে উঠালেন। তখন আমি বুঝতে পারলাম যে, তিনি (সা.) আমার জন্য দু’আ করছেন। [ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং তিনি বলেছেন, হাদীসটি গরীব]
اَلْفصْلُ الثَّنِ (بَابِ مَنَاقِبِ أَهْلِ)
وَعَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ قَالَ: لَمَّا ثَقُلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَبَطْتُ وَهَبَطَ النَّاسُ الْمَدِينَةَ فَدَخَلْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَدْ أُصْمِتَ فَلَمْ يَتَكَلَّمْ فَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَضَعُ عَليّ يَدَيْهِ وَيَرْفَعُهُمَا فَأَعْرِفُ أَنَّهُ يَدْعُو لِي. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ اسنادہ حسن ، رواہ الترمذی (3817) ۔ (حسن)
ব্যাখ্যা: (هَبَطْتُ وَهَبَطَ النَّاسُ الْمَدِينَةَ) অর্থাৎ- উসামাহ্ (রাঃ) ও সকল সাহাবী তাদের বাসা বাড়ী হতে মদীনায় নামলেন। কারণ তাদের বাসাগুলো উঁচু অঞ্চলে ছিল। আর মদীনাহ্ ছিল নিচু অঞ্চলে অবস্থিত।
ব্যাখ্যাকারগণ বলেন, উসামাহ্ (রাঃ) উঁচু অঞ্চলে বাস করতেন। আর যে কোন দিক হতে মদীনার দিকে আসা হোক না কেন তাতে নামা বা অবতরণ অর্থ সঠিক। কেননা মদীনাহ্ এমন নিচু ভূমিতে অবস্থিত ছিল, যার দিকে সকল পার্শ্ব ও সকল দিক হতে পানি প্রবাহিত হয়ে আসত। অর্থাৎ সকল অঞ্চল উঁচু ছিল। অবতরণ অর্থ হলো রাসূলুল্লাহ (সা.) - উসামাহ ইবনু যায়দ-এর নেতত্বে সর্বশেষ যে সারিয়া প্রেরণ করেছিলেন রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর অসুস্থতার প্রচণ্ডতায় কথা বিবেচনা করে সাহাবীগণের যুদ্ধ যাত্রা স্থগিত করা এবং নিজ নিজ বাহন থেকে অবতরণ করা। (সম্পাদকীয়)
(فَأَعْرِفُ أَنَّهُ يَدْعُو لِي) অর্থাৎ- উসামাহ্ (রাঃ) বুঝতে পারলেন যে, তাকে নবী (সা.) ডাকছেন। এটা দুটি পদ্ধতিতে হতে পারে-
(১) বিশেষ কোন নূর (আলোর) মাধ্যমে, (২) বিচক্ষণতার মাধ্যমে। উসামাহ্ (রাঃ) অনুপস্থিত থাকা সত্ত্বেও তাকে ডাকার কয়েকটি উদ্দেশ্য হতে পারে (১) তার প্রতি ভালোবাসা থাকার জন্য। (২) তার অমায়িক ব্যবহার ও সেবার জন্য। হাদীসে উসামাহ্ (রাঃ)-এর মর্যাদা ফুটে উঠেছে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ, তুহফাতুল আহওয়াযী হা. ৩৮২৯)