পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - অধ্যায় [রাসূলুল্লাহ (সা.) কোন প্রকার আর্থিক ওয়াসিয়্যাত করেননি- মর্মে আলোচনা]
৫৯৭৮-[৬] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: সেই মহান সত্তার শপথ! যার হাতে মুহাম্মাদ-এর প্রাণ! তোমাদের ওপর এমন এক সময় আসবে, যখন তোমাদের কেউই আমাকে দেখতে পাবে না। অতঃপর তার কাছে আমাকে দেখতে পাওয়া তার পরিবার-পরিজন ও ধনসম্পদসহ থাকার তুলনায় অধিক প্রিয়তর হবে। (মুসলিম)
الفصل الاول (بَاب)
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَيَأْتِيَنَّ عَلَى أَحَدِكُمْ يَوْمٌ وَلَا يَرَانِي ثُمَّ لَأَنْ يَرَانِي أَحَبُّ إِلَيْهِ مِنْ أَهْلِهِ ومالهِ مَعَهم» . رَوَاهُ مُسلم رواہ مسلم (142 / 2364)، (6129) ۔ (صَحِيح)
ব্যাখ্যা: হয়তো রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর এ ঘোষণার সম্পর্ক রাসূল (সা.) -কে তার জীবদ্দশায় দেখা এবং তার প্রতি ভালোবাসার সাথে যার উদ্দেশ্য হলো আমার সাহাবায়ি কিরামের আমার সাথে এতটুকু ভালোবাসা ও হৃদ্যতার সম্পর্ক রয়েছে যে, যদি তারা আমাকে একদিন না দেখে এবং আমার সঙ্গত্ব থেকে বঞ্চিত থাকে তাহলে তাদের আকাক্ষা ও অস্থিরতা আরো বেড়ে যায়, সে সময় তারা স্বীয় আত্মীয়স্বজন ও ধন-সম্পদকে দেখা ও তাদের নিকট থাকার চেয়ে আমার দর্শন ও আমার সঙ্গকে অধিক পছন্দ করবে। অথবা এই মূল্যবান ঘোষণার মূলত এ কথার ভবিষ্যদ্বাণী রয়েছে যে, আমার জন্য আমার উম্মতের ভালোবাসা শ্রদ্ধাবোধ আমার মৃত্যুর পর হ্রাস পাবে না; বরং মুসলিমরা স্বীয় আত্মীয়স্বজন ও ধনসম্পদের সাথে সম্পর্ক রাখার চেয়ে অনেক বেশি এটা আকাক্ষা করবে যে, যে কোনভাবে চাই স্বপ্নে হোক বা জাগ্রত অবস্থায় হোক আমার দর্শন লাভ করবে।
কথার পূর্বাপর দৃষ্টি দিলে এ অর্থই অধিক উপযোগী মনে হয়। অতএব এটাই ঐ অবস্থা যা ঐ সকল সৌন্দর্যপ্রিয়দের জীবনের পুঁজি হয়ে থাকে যারা রাসূল (সা.) -এর সত্তার সৌন্দর্য ও পূর্ণাঙ্গতার কল্পনায় বিভোর হয়ে থাকে। (মাযাহিরে হাক শারহে মিশকাত ৭ম খণ্ড, ২২৪ পৃষ্ঠা)