পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর ওফাতের পর সাহাবীদের মক্কাহ্ হতে হিজরত করা সম্পর্কে
৫৯৬৫-[১০] উক্ত রাবী [আয়িশাহ্ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) যে রোগে ইন্তিকাল করেছেন, সে রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরে বলেছিলেন, হে ’আয়িশাহ্! খায়বারে (বিষ-মিশ্ৰিত) যে খাদ্য আমি খেয়েছিলাম, আমি সদা তার যন্ত্রণা অনুধাবন করি। আর এখন মনে হচ্ছে, আমার শিরাগুলো সে বিষের ক্রিয়ায় ফেটে যাচ্ছে। (বুখারী)
اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَاب هِجْرَة أَصْحَابه صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من مَكَّة ووفاته)
وَعَنْهَا قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ فِي مَرَضِهِ الَّذِي مَاتَ فِيهِ: «يَا عَائِشَةُ مَا أَزَالُ أَجِدُ أَلَمَ الطَّعَامِ الَّذِي أَكَلْتُ بِخَيْبَرَ وَهَذَا أَوَانُ وَجَدْتُ انْقِطَاعَ أَبهري من ذَلِك السم» . رَوَاهُ البُخَارِيّ رواہ البخاری (4428) ۔ (صَحِيح)
ব্যাখ্যা: (انْقِطَاعَ أَبهري) “আমার শিরাগুলো সে বিষক্রিয়ার ফেটে যাচ্ছে।” অর্থাৎ আবহারী বলা হয় এমন শিরাকে যা কল্ব বা হৃদয়ের সাথে সম্পর্কিত থাকে। যদি সে শিরা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তবে মানুষ মারা যায়। নিহায়াহ গ্রন্থে এসেছে, আবহার হলো পিঠের শিরা। বলা হয়ে থাকে, তা হলো বাহুর শিরা। এও বলা হয়ে থাকে, তা হলো এমন শিরা যা হৃদয়ের সাথে সম্পর্কিত। যদি তা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তবে আর জীবন বাকি থাকে না। বলা হয়ে থাকে, আবহার হলো এমন শিরা যা মাথা থেকে উৎপত্তি হয়েছে, আর তার বিস্তৃতি হলো পা পর্যন্ত। যা শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে, অতএব মাথার শিরাকে বলা হয় আন নাম্মাহ, আর তার থেকে (أسكت الله با مته) অর্থাৎ আল্লাহ তাকে মৃত্যু দিয়েছেন। আর তা বিস্তৃত হয়ে হালক্ক বা কণ্ঠনালী পর্যন্ত পৌছে, তখন তাকে বলা হয় আল ওয়ারীদ। আর তা বিস্তৃত হয়ে বক্ষ পর্যন্ত পৌছে, তখন তাকে বলা হয় আল আবহার। আর তা বিস্তৃত হয়ে পায়ের পিণ্ডলী বা সাক পর্যন্ত পৌঁছে, তখন তাকে সাফিন বলা হয়। (মিরকাতুল মাফাতীহ)।