পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর স্বভাব-চরিত্রের বর্ণনা
৫৮১১-[১১] উক্ত রাবী [আনাস (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) অশালীন বাক্য উচ্চারণকারী, লা’নাতকারী এবং গালিগালাজকারী ছিলেন না। তিনি (সা.) যখন কারো প্রতি অসন্তুষ্ট হতেন, তখন কেবল এতটুকুই বলতেন যে, তার কি হলো? তার ললাট ভূলুণ্ঠিত, ধূলিময় হোক।’ (বুখারী)
الفصل الاول (بَابٌ فِي أَخْلَاقِهِ وَشَمَائِلِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم)
وَعَنْهُ قَالَ: لَمْ يَكُنْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاحِشًا وَلَا لَعَّانًا وَلَا سَبَّابًا كَانَ يَقُولُ عِنْدَ الْمَعْتَبَةِ: «مَا لَهُ تربَ جَبينُه؟» . رَوَاهُ البُخَارِيّ رواہ البخاری (6031) ۔ (صَحِيح)
ব্যাখ্যা: তিনি লা'নাতকারী ও গালি-গালাজকারী ছিলেন না। অর্থাৎ এ দু'টি দ্বারা উদ্দেশ্য হলো এ দু’টিকে অস্বীকার করা। সকল ধরনের অশালীন বাক্য এর অন্তর্ভুক্ত। এতে কেবল বেশি বেশি করাকে নিষেধ করা হয়নি। বাহ্যিকভাবে মনে হতে পারে বেশি বেশিকে মনে হয় নিষেধ করা হয়েছে আর কমকে নিষেধ করা হয়নি। বিষয়টি তা নয়। উদ্দেশ্য হলো সব অশালীন বাক্য নিষিদ্ধ হওয়া যা তার শেষ দিকটা লক্ষ্য করলে বুঝা যায়। মহান আল্লাহর বাণী- (وَ اَنَّ اللّٰهَ لَیۡسَ بِظَلَّامٍ لِّلۡعَبِیۡدِ) “আর আল্লাহ কোন বান্দার প্রতি যুলুমকারী নন”- (সূরাহ্ আ-লি ইমরান ৩: ১৮২)।
এখানে যেমন আল্লাহ কোন বান্দার প্রতি সামান্য পরিমাণেও যুলমকারী নন। ঠিক তেমনিভাবে নবী (সা.) -ও অশালীন বাক্য ব্যবহারকারী ছিলেন না। কোন কাফির বা ফাসিক বা পাপিষ্ঠ ব্যক্তি লা'নাত বা তিরষ্কারের উপযুক্ত না হলে তিনি (সা.) কখনও কাউকে লা'নাত বা তিরষ্কার করেননি। আর এটা বুঝা যায়, বর্ণনাকারীর শেষের বাক্যটির দ্বারা যখন তিনি কারো প্রতি রাগান্বিত হলে বলতেন। আর (تربَ جَبينُه) এটা ‘আরবদের কথার একটি বাগধারার মতো। এটা দ্বারা কাউকে লা'নাত বা বদদু'আর জন্য ব্যবহৃত হয় না। এটা দু'আর জন্য ব্যবহৃত হয়, অর্থাৎ তোমার চেহারা আল্লাহর জন্য সিজদায় নত হোক। (মিরকাতুল মাফাতীহ)