হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৫৭৮৭

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর নামসমূহ ও গুণাবলি

৫৭৮৭-[১২] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) গৌরবর্ণের ছিলেন। তাঁর ঘর্ম ছিল মুক্তার মতো। হাঁটার সময় তিনি (সা.) সম্মুখের দিকে কিছুটা ঝুঁকে চলতেন এবং আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর হাতের তালুর তুলনায় অধিকতর নরম কোন রেশম কিংবা কোন গরদ স্পর্শ করিনি। আর নবী (সা.) -এর শরীরের সুগন্ধ অপেক্ষা অধিকতর সুগন্ধ কস্তুরী কিংবা মিশকে আম্বার আমি কখনো শুকিনি। (বুখারী ও মুসলিম)

الفصل الاول ( بَابِ أَسْمَاءِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَصِفَاته)

وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَزْهَرَ اللَّوْنِ كَانَ عَرَقُهُ اللُّؤْلُؤُ إِذَا مَشَى تَكَفَّأَ وَمَا مَسَسْتُ دِيبَاجَةً وَلَا حَرِيرًا أَلْيَنَ مِنْ كَفِّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَا شمَمتُ مسكاً وَلَا عَنْبَرَةً أَطْيَبَ مِنْ رَائِحَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ متفق علیہ ، رواہ البخاری (3561) و مسلم (82 / 2330)، (6054) ۔ (مُتَّفق عَلَيْهِ)

ব্যাখ্যা: রাসূলুল্লাহ (সা.) - মানুষের হাঁটার সময় মাথা উঁচু করে বুক টান করে অহংকারীদের মতো করে হাঁটতে নিষেধ করেছেন। ডানে বা বাম দিকে ঝুঁকে হাঁটতে নিষেধ করেছেন।
আযহারী (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেন, অহংকারীর মতো বীর বাহাদুরের গুণ প্রকাশ করে হাঁটা এটা ভুল পন্থা। হাঁটতে হবে বিনয়ী হয়ে। এ প্রসঙ্গে ‘আলী ইবনু আবূ ত্বালিব (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) যখন পথ চলতেন তখন সামনের দিকে এমনভাবে ঝুঁকে হাঁটতেন, মনে হত তিনি যেন কোন উঁচু স্থান হতে নিচে অবতরণ করছেন। (শামায়িলে তিরমিযী হা. ৯৫, মুসনাদে আহমাদ হা. ৭৪৬)।

(أَطْيَبَ مِنْ رَائِحَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ) আনাস (রাযি) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সা.) ছিলেন সবচাইতে উত্তম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের মানুষ। আমি রেশম এবং পশম মিশিয়ে বানানো কাপড়ও নিজ হাতে ছুঁয়ে দেখেছি, আর খাটি রেশমি কাপড়ও ছুঁয়েছি কিন্তু রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর হাতের চেয়ে অধিক নরম ও মসৃণ কোন কিছু স্পর্শ করিনি। আমি মৃগনাভির গন্ধ এবং আতরের গন্ধও গ্রহণ করেছি কিন্তু রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর শরীরের ঘামের চেয়ে অধিক সুগন্ধ কোন কিছুতেই পাইনি। (শারহুন নাবাবী ১৫শ খণ্ড, হা. ২৩৩০/৮২, মিরক্বাতুল মাফাতীহ)।