পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - হাওযে কাওসার ও শাফাআতের বর্ণনা
৫৫৯৪-[২৯] সামুরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: জান্নাতে প্রত্যেক নবীর এক একটি হাওয হবে এবং নবীগণ নিজেদের হাওয নিয়ে গর্ব করবেন যে, কার হাওযে আগমনকারীর সংখ্য বেশি। কিন্তু আমি আশা করি যে, আমার হাওযে আগমনকারীর সংখ্যা হবে তাদের সকলের চেয়ে বেশি। [ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং তিনি বলেছেন, হাদীসটি গরীব]
اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَاب الْحَوْض والشفاعة )
وَعَن سَمُرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ لِكُلِّ نَبِيٍّ حَوْضًا وَإِنَّهُمْ لَيَتَبَاهَوْنَ أَيُّهُمْ أَكْثَرُ وَارِدَةً وَإِنِّي لَأَرْجُو أَنْ أَكُونَ أَكْثَرَهُمْ وَارِدَةً» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيب ضعیف ، رواہ الترمذی (2443) * سعید بن بشیر : ضعیف و قتادۃ مدلس و عنعن
ব্যাখ্যা: প্রত্যেক নবীর পৃথক পৃথক হাওয হবে এবং তাদের উম্মাতেরা সেখান থেকে পান করবেন। নবীগণ নিজ নিজ উম্মাতের আধিক্যতা নিয়ে গর্ব করবেন।
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, আমি আশা করি হাওযের কিনারায় অধিকাংশ লোক হব আমরা।
রাসূলুল্লাহ (সা.) এ আশা ব্যক্ত করেন ঐ সময় যখন তার জান্নাতী উম্মাতের সংখ্যা জানা ছিল না। কিয়ামতের দিন রাসূলুল্লাহর জান্নাতী উম্মাতের সংখ্যা হবে আশি কাতার আর অন্যান্য সকল নবীর জান্নাতী উম্মাতের সংখ্যা হবে চল্লিশ কাতার। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ, তুহফাতুল আহওয়াযী ৬ষ্ঠ খণ্ড, ৩৪৭ পৃ., হা, ২৪৪৩)