পরিচ্ছেদঃ ১৫/৮২. মক্কার হারাম হওয়া, সেখানে শিকার করা, সেখানকার লতা ও বৃক্ষ কাটা নিষিদ্ধ এবং প্রকাশ্যে ঘোষণা দেয়া ছাড়া সেখানকার পড়ে থাকা জিনিস উঠানো নিষিদ্ধ।
৮৬০. আবূ শুরায়হ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি ’আমর ইবনু সাঈদ (মদীনার গভর্নর)-কে বললেন, যখন তিনি মক্কায় সেনাবাহিনী পাঠিয়েছিলেন- ’হে আমাদের নেতা আমাকে অনুমতি দিলে আপনাকে এমন একটি হাদীস শুনাতে পারি যেটা মক্কাহ বিজয়ের পরের দিন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন। আমার দুই কান তা শ্রবণ করেছে, আমার হৃদয় তা আয়ত্ত রেখেছে, আর আমার চোখদুটো তা দেখেছে। তিনি আল্লাহর হামদ ও সানা বর্ণনা করে বললেনঃ মক্কাকে আল্লাহ্ হারাম করেছেন, কোন মানুষ তাকে হারাম করেনি। তাই যে ব্যক্তি আল্লাহতে ও আখিরাতে বিশ্বাস রাখে তার জন্য সেখানে রক্তপাত করা, সেখানকার গাছ কাটা বৈধ নয়।
কেউ যদি আল্লাহর রসূলের (সেখানকার) লড়াইকে দলীল হিসেবে পেশ করে তবে তোমরা বলে দাও, আল্লাহ্ তা’আলা তাঁর রাসূলকে এর অনুমতি দিয়েছিলেন; কিন্তু আমাদেরকে তা দেন নি। আমাকেও সে দিনের কিছু সময়ের জন্য অনুমতি দিয়েছিলেন। অতঃপর পূর্বের মতই আজ আবার একে তার নিষিদ্ধ হবার মর্যাদা ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। উপস্থিতগণ যেন অনুপস্থিতদের নিকট (এ বাণী) পৌছে দেয়। অতঃপর আবু শুরায়হ তেল (রাঃ)-কে প্রশ্ন করা হল, আপনার এ হাদীস শুনে ’আমর কি বললেন? (আবূ শুরায়হ (রাঃ) উত্তর দিলেন। তিনি বললেনঃ ’হে আবূ শুরায়হ! (এ বিষয়ে) আমি তোমার চেয়ে অধিক জানি। মক্কাহ্ কোন বিদ্রোহীকে, কোন খুনের পলাতক আসামীকে এবং কোন চোরকে আশ্রয় দেয় না।
تحريم مكة وصيدها وخلاها وشجرها ولقطتها إِلا لمنشد على الدوام
حديث أَبِي شُرَيْحٍ، أَنَّهُ قَالَ لِعَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ، وَهُوَ يَبْعَثُ الْبُعُوثَ إِلى مَكَّةَ: ائْذَنْ لِي أَيُّهَا الأَمِيرُ أُحَدِّثْكَ قَوْلاً قَامَ بِهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، الْغَدَ مِنْ يَوْمِ الْفَتْحِ، سَمِعَتْهُ أُذُنَايَ، وَوَعَاهُ قَلْبِي، وَأَبْصَرَتْهُ عَيْنَايَ حِينَ تَكَلَّمَ بِهِ؛ حَمِدَ اللهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: إِنَّ مَكَّةَ حَرَّمَهَا اللهُ وَلَمْ يُحَرِّمْهَا النَّاسُ، فَلاَ يَحِلُّ لاِمْرِئٍ يُؤْمِنُ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ أَنْ يَسْفِكَ بِهَا دَمًا، وَلاَ يَعْضِدَ بِهَا شَجَرَةً، فَإِنْ أَحَدٌ تَرَخَّصَ لِقِتَالِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهَا، فَقُولُوا إِنَّ اللهَ قَدْ أَذِنَ لِرَسُولِهِ وَلَمْ يَأْذَنْ لَكُمْ، وَإِنَّمَا أَذِنَ لِي فِيهَا سَاعَةً مِنْ نَهَارٍ، ثُمَّ عَادَتْ حُرْمَتُهَا الْيَوْمَ كَحُرْمَتِهَا بِالأَمْسِ، وَلْيُبَلِّغِ الشَّاهِدُ الْغَائِبَ فَقِيلَ لأبِي شُرَيْحٍ: مَا قَالَ عَمْرٌو قَالَ: أَنَا أَعْلَمُ مِنْكَ يَا شُرَيْحٍ لاَ يُعِيذُ عَاصِيًا وَلاَ فَارًّا بِدَمٍ وَلاَ فَارًّا بِخَرْبَةٍ