পরিচ্ছেদঃ ৬. সকল বাণীর উপর আল্লাহর কালাম (বাণী)-এর মর্যাদা
৩৩৯৫. আবূ সাঈদ খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মহান ও বরকতময় রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেন, কুরআন পাঠের ব্যস্ততা যাকে আমার কাছে প্রার্থনা করা থেকে এবং আমার যিকর বিরত রাখে আমি তাকে প্রার্থনাকারীদের চেয়ে উত্তম প্রতিদান দিব। সব কালামের উপর আল্লাহর কালামের মর্যাদা সেরূপ যেরূপ সকল সৃষ্টি উপর আল্লাহর মর্যাদা রয়েছে।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদে দু’জন যয়ীফ রাবী রয়েছে: মুহাম্মদ ইবনু হাসান আল হামদানী এবং আতিয়া আল আওফী।
তাখরীজ: তিরমিযী, ছাওবুল কুরআন ২৯২৭; ইবনু কাছীর, ফাযাইলুল কুরআন পৃ: ২৭৪; উকাইলী, আয যুআফা ৪/৪৯; আবুল ফাযল আর রাযী, ফাযাইলুল কুরআন নং ৭৬; ইবনু হিব্বান, মাজরুহীন ২/২৭৭; আবূ নুয়াইম, হিলইয়া ৫/১০৬; বাইহাকী, আসমা ওয়াস সিফাত পৃ: ২৩৮; আল ই’তিকাদ পৃ: ৬২; শুয়াবুল ঈমান নং ২০১৫; ইবনুল আম্বারী, আল ওয়াকফ ওয়াল ইবতিদা … (এর মুহাক্বিক্ব লম্বা করে এ দু’জন রাবী সম্পর্কে মুহাদ্দিসগণের মন্তব্য উল্লেখ করেছেন।–অনুবাদক))
আর এর শাহিদ হাদীস রয়েছে উমার ইবনুল খাত্তাব হতে ইয়াহইয়া ইবনু আব্দুল হামীদ হিমানী, আল মুসনাদ, যা হাফিজ তার ফাতহুল বারী ৯/৬৬ তে উল্লেখ করেছেন। এছাড়া, মুসনাদুশ শিহাব ২/৩২৬ নং ১৪৫৫। এ সনদে সাফওয়ান বিন আবী সুহবাহ রয়েছে যার সম্পর্কে ইখতিলাফ রয়েছে।
(এ সনদের সাফওয়ান বিন আবী সুহবাহকে মুহাক্বিক্ব ছিকাহ বলে গণ্য করেছেন এবং ইয়াহইয়া আল হিমানীর হাদীসকে হাসান বলে মন্তব্য করেছেন।–অনুবাদক।); এছাড়া, বুখারী, খালকু আফআলীল ইবাদ পৃ: ১০৯; কাবীর ২/১১৫ যয়ীফ সনদে।
তবে এর মুতাবিয়াত বর্ণনা করেছেন উছমান ইবনু যাফর হতে বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ৫৭২ তে। আর তিনি বিশ্বস্ত রাবী।
এর অপর শাহিদ হাদীস রয়েছে হুযাইফা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে আবী নুয়াইম, হিলইয়াতুল আউলিয়া ৭/৩১৩ তে বর্ণিত। আর এটি হাসান হাদীস ইনশা আল্লাহ। এরপর অপর শাহিদ রয়েছে আবী হুরাইরা হতে, দেখুন, ইবনু আবী শাইবা ১০/২৩৭ নং ৯৩২০; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ৫৭৩, ৫৭৪; আল লা’আলী আল মাসনু’আহ ২/৩৪২-৩৪৩।
باب فَضْلِ كَلَامِ اللَّهِ عَلَى سَائِرِ الْكَلَامِ
أَخْبَرَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ التَّرْجُمَانِيُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ الْهَمْدَانِيُّ عَنْ عَمْرِو بْنِ قَيْسٍ عَنْ عَطِيَّةَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ شَغَلَهُ قِرَاءَةُ الْقُرْآنِ عَنْ مَسْأَلَتِي وَذِكْرِي أَعْطَيْتُهُ أَفْضَلَ ثَوَابِ السَّائِلِينَ وَفَضْلُ كَلَامِ اللَّهِ عَلَى سَائِرِ الْكَلَامِ كَفَضْلِ اللَّهِ عَلَى خَلْقِهِ