পরিচ্ছেদঃ ২. কাসামাহ বা (বিভিন্ন কাজের ক্ষতিপূরণ হিসেবে) নির্ধারিত অংশ সম্পর্কে
২৩৯২. সাহল ইবনু আবু হাছমা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। বনী হারিছা গোত্রের একব্যক্তি আব্দুল্লাহ ইবন সাহল তার গোত্রের কতক লোকের সঙ্গে রসদ-সামগ্রী আনতে খায়বারের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। এরপর আব্দুল্লাহ’র উপর অত্যাচার করা হয় এবং তিনি নিহত হন। আর তার দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করা হয়, যাতে তাঁর মৃত্যু হয়। এরপর তাকে খায়বারের একটি কুপে নিক্ষেপ করা হয়। তা দেখে তার সাথীরা চিৎকার করে উঠেন। এরপর তারা তাকে বের করে দাফন করেন। এরপর তারা মদীনায় ফিরে এসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হন। তার ভাই আব্দুর রহমান ইবন সাহল আগে থেকেই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত ছিলেন। আর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট তার বিশেষ একটি সম্পর্ক ছিল।
এসময় তার সাথে তার চাচাতো ভাইদ্বয় হুওয়ায়্যিসা ইবন মাসউদ এবং মুহাইয়িসা ছিলেন। আব্দুর রহমান ছিলেন সকলের ছোট। আব্দুর রহমান, যিনি ছিলেন রক্তপণের হকদার এবং ক্বওমের মধ্যে সম্মানিত ব্যক্তি, তিনিই প্রথম কথা বলতে আরম্ভ করলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে বয়সে বড় তাদেরকে (সম্মান কর)। তিনি চুপ হয়ে গেলে হুওয়ায়্যিসা ইবন মাসউদ এবং মুহাইয়িসা কথা আরম্ভ করলেন এবং তিনিও তাদের সাথে কথায় শরীক ছিলেন।
তারপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা হত্যাকারীর নাম বলো। এরপর তোমরা পঞ্চাশবার শপথ করো। তাহলে তাকে তোমাদের হাতে সোপর্দ করবো।” তারা বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমরা যা জানি না, সে সম্পর্কে কিভাবে আমরা শপথ করতে পারি? তাকে কে হত্যা করেছে তাতো আমরা জানিনা। তবে ইয়াহুদীরা আমাদের শত্রু। আর সে তো তাদের শাখা গোত্রের মাঝেই নিহত হয়েছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তাহলে তারা (ইয়াহুদীরা) তোমাদের সম্মুখে শপথ করবে যে, তারা নিশ্চয়ই তোমাদের এ সাথীর খুনের অভিযোগ হতে দায়মুক্ত। তবেই তারা এ অভিযোগ থেকে দায় মুক্ত হবে।” তারা বললেনঃকাফিরদের শপথ আমরা মেনে নিতে পারি না। তাদের মধ্যে পাপ কাজের ক্ষেত্রে শপথ করার মতো কতো লোকই তো রয়েছে। এ অবস্হায় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের পক্ষ হতে তাদের দিয়াত একশত উট আদায় করে দেন।[1]
بَاب فِي الْقَسَامَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الرَّقَاشِيُّ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَقَ حَدَّثَنَا بُشَيْرُ بْنُ يَسَارٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ قَالَ خَرَجَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَهْلٍ أَحَدُ بَنِي حَارِثَةَ إِلَى خَيْبَرَ مَعَ نَفَرٍ مِنْ قَوْمِهِ يُرِيدُونَ الْمِيرَةَ بِخَيْبَرَ قَالَ فَعُدِيَ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ فَقُتِلَ فَتُلَّتْ عُنُقُهُ حَتَّى نُخِعَ ثُمَّ طُرِحَ فِي مَنْهَلٍ مِنْ مَنَاهِلِ خَيْبَرَ فَاسْتُصْرِخَ عَلَيْهِ أَصْحَابُهُ فَاسْتَخْرَجُوهُ فَغَيَّبُوهُ ثُمَّ قَدِمُوا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ فَتَقَدَّمَ أَخُوهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَهْلٍ وَكَانَ ذَا قِدَمٍ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَابْنَا عَمِّهِ مَعَهُ حُوَيِّصَةُ بْنُ مَسْعُودٍ وَمُحَيِّصَةُ فَتَكَلَّمَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ وَكَانَ أَحْدَثَهُمْ سِنًّا وَهُوَ صَاحِبُ الدَّمِ وَذَا قَدَمٍ فِي الْقَوْمِ فَلَمَّا تَكَلَّمَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْكُبْرَ الْكُبْرَ قَالَ فَاسْتَأْخَرَ فَتَكَلَّمَ حُوَيِّصَةُ وَمُحَيِّصَةُ ثُمَّ هُوَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تُسَمُّونَ قَاتِلَكُمْ ثُمَّ تَحْلِفُونَ عَلَيْهِ خَمْسِينَ يَمِينًا ثُمَّ نُسَلِّمُهُ إِلَيْكُمْ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا كُنَّا لِنَحْلِفَ عَلَى مَا لَا نَعْلَمُ مَا نَدْرِي مَنْ قَتَلَهُ إِلَّا أَنَّ يَهُودَ عَدُوُّنَا وَبَيْنَ أَظْهُرِهِمْ قُتِلَ قَالَ فَيَحْلِفُونَ لَكُمْ بِاللَّهِ إِنَّهُمْ لَبُرَءَاءُ مِنْ دَمِ صَاحِبِكُمْ ثُمَّ يَبْرَءُونَ مِنْهُ قَالُوا مَا كُنَّا لِنَقْبَلَ أَيْمَانَ يَهُودَ مَا فِيهِمْ أَكْبَرُ مِنْ أَنْ يَحْلِفُوا عَلَى إِثْمٍ قَالَ فَوَدَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ عِنْدِهِ بِمِائَةِ نَاقَةٍ