পরিচ্ছেদঃ ১৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নম্রতা, লজ্জাশীলতা ও উত্তম স্বভাব
৫০৮১-[১৪] আবুদ্ দারদা (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন মু’মিনদের পাল্লায় ভারী যে বস্তুটি রাখা হবে, তা হলো উত্তম চরিত্র। আল্লাহ তা’আলা অশ্লীলভাষী ও বাচালকে ঘৃণা করেন। (তিরমিযী;[1] আর ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ হাদীসটি হাসান সহীহ। ইমাম আবূ দাঊদ (রহিমাহুল্লাহ)-এর প্রথমাংশ বর্ণনা করেন।
وَعَنْ أَبِي الدَّرْدَاءَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ أَثْقَلَ شَيْءٍ يُوضَعُ فِي ميزانِ الْمُؤمن يومَ الْقِيَامَة خُلُقٌ حسنٌ وَإِنَّ اللَّهَ يُبْغِضُ الْفَاحِشَ الْبَذِيءَ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: حَدِيث حسن صَحِيح. وروى أَبُو دَاوُد الفصلَ الأول
ব্যাখ্যাঃ (من خلق حسن) এর কারণ হলো, নিশ্চয় মহান আল্লাহ সৎকর্মশীল ব্যক্তিকে ভালোবাসেন এবং তিনি তার প্রতি সন্তুষ্ট।
(الْفَاحِشَ) যে ব্যক্তি কটু কথা বলে, অথবা যে ব্যক্তির জিহ্বা অনুচিত কথা বলে তাকে الْفَاحِشَ বলে।
(الْبَذِيءَ) ‘আল্লামা মুনযিরী (রহিমাহুল্লাহ) ‘আত্ তারগীব’ এর মধ্যে বলেন, الْبَذِيءَ বলা হয়, যে ব্যক্তি কথা-বার্তা বলার সময় ফাহিশা কথা বলে।
‘আল্লামা মুল্লা ‘আলী কারী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ যে কথা ও কাজ মহান আল্লাহকে রাগান্বিত করে তার কোন ওযন ও পরিমাণ নেই। যেমন যে কাজ তিনি ভালোবাসেন তার জন্য তার নিকট বিরাট মর্যাদা আছে। মহান আল্লাহ কাফিরদের ব্যাপারে বলেন, فَلَا نُقِيمُ لَهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَزْنًا ‘‘আর আমি কিয়ামতের দিন তাদের জন্য দাঁড়িপাল্লা (ওজন) কায়িম করব না’’- (সূরাহ্ আল কাহ্ফ ১৮ : ১০৫)। প্রসিদ্ধ হাদীসে আছে,
كَلِمَتَانِ خَفِيفَتَانِ عَلَى اللِّسَانِ ثَقِيلَتَانِ فِي الْمِيزَانِ حَبِيبَتَانِ إِلَى الرَّحْمٰنِ سُبْحَانَ الله وبحمده سبحان الله العظيم
অর্থ : দু’টি কালিমাহ্ আছে, যেগুলো দয়াময়ের কাছে অতি প্রিয়, মুখে উচ্চারণ করা খুবই সহজ, দাঁড়িপাল্লায় অত্যন্ত ভারী। (বাণী দু‘টো হল) ‘‘সুব্হা-নাল্ল-হি ওয়া বিহামদিহী সুবহা-নাল্ল-হিল ‘আযীম’’ (আমরা আল্লাহর প্রশংসাসহ তাঁর পবিত্রতা বর্ণনা করছি, মহান আল্লাহ [যাবতীয় ত্রুটি-বিচ্যুতি থেকে] অতি পবিত্র)- (সহীহুল বুখারী ৬৪০৬, মুসলিম ২৬৯৪)। (তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ২০০২)