পরিচ্ছেদঃ ১৮. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আত্মসংযম ও কাজে ধীরস্থিরতা
৫০৬৩-[১১] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সকল বৈঠকের ব্যাপারই আমানাতের মতো। তবে তিনটি বৈঠকের ব্যাপারে আমানাতস্বরূপ নয়, যথা- ১. অন্যায়ভাবে হত্যার ষড়যন্ত্র বৈঠকের কথাবার্তা, ২. গোপনে ব্যভিচারের ষড়যন্ত্রের কথাবার্তা এবং ৩. অন্যায়ভাবে কারো সম্পদ ছিনিয়ে নেয়ার ষড়যন্ত্র বৈঠকের কথাবার্তা। (আবূ দাঊদ)[1]
وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: المجالسُ بالأمانةِ إِلَّا ثلاثَةَ مَجَالِسَ: سَفْكُ دَمٍ حَرَامٍ أَوْ فَرْجٌ حَرَامٌ واقتطاع مَالٍ بِغَيْرِ حَقٍّ . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَذَكَرَ حَدِيثَ أَبِي سَعِيدٍ: «إِنَّ أَعْظَمَ الْأَمَانَةِ» فِي «بَاب المباشرةِ» فِي «الْفَصْل الأول»
ব্যাখ্যাঃ (المجالسُ بالأمانةِ) ইবনু রসলান (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ بالأمانةِ শব্দের ‘বা’ বর্ণটি দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে, এখানে কিছু শব্দ গোপন আছে তা হলো تَحَسُّنُ الْمَجَالِسِ অথবা حُسْنُ الْمَجَالِسِ وَشَرَفُهَا উত্তম মাজলিস ও সম্মানিত মাজলিস যেটি যার উপস্থিতিগণ সকল কথা ও কাজকে গোপন রাখে। এর অর্থ হলো- মাজলিসের উপস্থিতিগণ যা শুনেছে ও দেখেছে সে ব্যাপারে যেন আমানাতদার হয়।
(بِغَيْرِ حَقٍّ) অর্থাৎ কোন মাজলিসে কেউ যদি বলে যে, আমি অমুক ব্যক্তিকে হত্যা করতে চাই, অথবা অমুকের সাথে (মেয়ের) ব্যভিচার করতে চাই।
অথবা অমুকের সম্পদ কেড়ে নিতে চাই তখন যে ব্যক্তি এটা শুনল তার কর্তব্য হলো তা প্রচার করে দেয়া, যাতে তার ক্ষতিকে বন্ধ করে দেয়া সম্ভব হয়। তার জন্য শোনার পর চুপ থাকা জায়িয নেই। (‘আওনুল মা‘বূদ ৮ম খন্ড, হাঃ ৪৮৬১)