পরিচ্ছেদঃ ১৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সাক্ষাৎ ত্যাগ, সম্পর্কচ্ছেদ ও দোষান্বেষণে নিষেধাজ্ঞা
৫০৪৪-[১৮] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারের উপর উঠলেন এবং উচ্চস্বরে ডেকে বললেনঃ ’’হে মুসলিমগণ! যারা মুখে ইসলাম গ্রহণ করেছ এবং অন্তরে ইসলামের প্রভাব রাখোনি, তোমরা মুসলিমদেরকে কষ্ট দিয়ো না, তাদেরকে লজ্জা দিয়ো না এবং তাদের দোষ অন্বেষণ করো না। কেননা যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের দোষ অন্বেষণ করে, আল্লাহ তা’আলা তার দোষ অন্বেষণ করেন। আল্লাহ তা’আলা যার দোষ খুঁজবেন, তাকে অপমান করবেন, যদি সে নিজের ঘরের মধ্যেও থাকে। (তিরমিযী)[1]
وَعَن ابنِ عمَرَ قَالَ: صَعِدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمِنْبَرَ فَنَادَى بِصَوْتٍ رَفِيعٍ فَقَالَ: «يَا مَعْشَرَ مَنْ أَسْلَمَ بِلِسَانِهِ وَلَمْ يُفْضِ الْإِيمَانُ إِلَى قَلْبِهِ لَا تُؤْذُوا الْمُسْلِمِينَ وَلَا تُعَيِّرُوهُمْ وَلَا تَتَّبِعُوا عَوْرَاتِهِمْ فَإِنَّهُ مَنْ يَتَّبِعْ عَوْرَةَ أَخِيهِ الْمُسْلِمِ يَتَّبِعِ اللَّهُ عَوْرَتَهُ وَمَنْ يَتَّبِعِ اللَّهُ عَوْرَتَهُ يَفْضَحْهُ وَلَوْ فِي جَوْفِ رَحْلِهِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
ব্যাখ্যাঃ (مَنْ أَسْلَمَ بِلِسَانِه) অর্থ যারা মুখে ইসলাম গ্রহণ করেছ দ্বারা মু’মিন এবং মুনাফিকরা উভয় প্রকার লোককে বুঝানো হয়েছে। আর (وَلَمْ يُفْضِ الْإِيمَانُ إِلٰى قَلْبِه) অর্থ আর অন্তরে ঈমানের/ইসলামের প্রভাব রাখনি’ দ্বারা ফাসিককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সুতরাং বাক্যটির অর্থ হবে- একদিন রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মু’মিন, মুনাফিক এবং ফাসিক সকলে সম্বোধন করে উপদেশ দিয়েছেন। (لَا تُؤْذُوا الْمُسْلِمِينَ) অর্থাৎ যারা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ করেছে, আর তারা মুখে ইসলাম গ্রহণ করেছে আর তাদের অন্তর দ্বারা ঈমান এনেছে।
(وَلَا تُعَيِّرُوهُمْ) অর্থ ‘আর তোমরা তাদেরকে লজ্জা দিয়ো না’। যদি লজ্জা দেয় তবে এটা তাদের জন্য ধমক ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে। কেউ কাউলে লজ্জা দিলে তাকে এ কাজ হতে তাওবাহ্ করতে হবে। আবার কখনও লজ্জা দেয়ার জন্য তাকে হাদ্দ বা শাস্তি অথবা তা‘বীর বা শিক্ষা দেয়ার জন্য শাস্তি দেয়া ওয়াজিব হবে। এটা হবে সৎকাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধের দিক থেকে। (তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ২০৩২)