পরিচ্ছেদঃ ১৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সাক্ষাৎ ত্যাগ, সম্পর্কচ্ছেদ ও দোষান্বেষণে নিষেধাজ্ঞা
৫০৪২-[১৬] আবূ সিরমাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি (কোন মুসলিমকে) কষ্ট দেবে, আল্লাহ তা’আলা তাকে কষ্ট দেবেন এবং যে ব্যক্তি (কোন মুসলিমকে) বিপদে ফেলবে, আল্লাহ তা’আলা তাকে বিপদে ফেলবেন। [ইবনু মাজাহ ও তিরমিযী; আর ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, এ হাদীসটি গরীব।][1]
وَعَن أبي صرمة أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ ضَارَّ ضَارَّ اللَّهُ بِهِ وَمَنْ شَاقَّ شَاقَّ اللَّهُ عَلَيْهِ» . رَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ وَالتِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيب
ব্যাখ্যাঃ (شَاقَّ اللهُ عَلَيْهِ) অর্থাৎ আল্লাহ তাকে শাস্তি দিবেন। মহান আল্লাহ বলেন, وَمَنْ يُّشَاقِّ اللهَ فَإِنَّ اللهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ ‘‘আর যে আল্লাহর বিরুদ্ধাচরণ করেন তার জানা উচিত যে, আল্লাহ কঠিন শাস্তিদাতা।’’ (সূরাহ্ আল হাশ্র ৫৯ : ৪)
شَاقَّ ও ضَارَّ এর মধ্যে পার্থক্য : অর্থের দিক দিয়ে شَاقَّ ও ضَارَّ শব্দ দু’টো প্রায় সমপর্যায়ের। অবশ্য এর মধ্যে কিছুটা পার্থক্য বিদ্যমান। ধন-সম্পদের বিনষ্ট সাধনকে ضرر বলে, আর শারীরিক ক্ষতি বা কষ্ট দেয়াকে مشقة বলে। অথবা ضَارَّ দ্বারা শারীরিক বুঝায়। আর مشقة এমন বিরুদ্ধারণ, যা কলহ-বিবাদ এবং যুদ্ধ ডেকে আনে। তবে প্রথম মতটাই গ্রহণযোগ্য। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ; তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ১৯৪০)