হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৪৯৯৭

পরিচ্ছেদঃ ১৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সৃষ্টির প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ

৪৯৯৭-[৫১] উক্ত রাবী [আনাস (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন অত্যাচারিত ব্যক্তির ফরিয়াদ শুনে সাহায্য করবে, আল্লাহ তা’আলা তার জন্য তিহাত্তরটি মাগফিরাত অবধারিত করবেন। তন্মধ্যে একটি এই যে, এতে তার পার্থিব সকল কাজের সংশোধনের দায়-দায়িত্ব গ্রহণ। আর বাহাত্তরটি হলো, কিয়ামতের দিন তার মর্যাদা বৃদ্ধির উপকরণ দান করা।[1]

وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ أَغَاثَ مَلْهُوفًا كَتَبَ اللَّهُ لَهُ ثَلَاثًا وَسَبْعِينَ مَغْفِرَةً وَاحِدَةٌ فِيهَا صَلَاحُ أَمْرِهِ كُلِّهِ وَثِنْتَانِ وَسَبْعُونَ لَهُ دَرَجَاتٌ يَوْمَ الْقِيَامَة»

ব্যাখ্যাঃ অত্র হাদীসের তিহাত্তর সংখ্যা নিয়ে ‘উলামায়ে কিরাম বিভিন্ন মতামত ব্যক্ত করেছেন। কেউ বলেছেন, এখানে তিহাত্তর উদ্দেশ্য নয়, উদ্দেশ্য হলো বেশী বেশী সাওয়াব দান। এ তিহাত্তরটির প্রথমটি হলো তার দুনিয়ার সব কিছু সুখের হওয়া, আর বাহাত্তরটি ক্বিয়ামাতে দেয়া হবে। এখানে বুঝা যায় যে, একটি রহমতই দুনিয়ার সব পাপ ক্ষমার ও কল্যাণের জন্য যথেষ্ট আর বাকিগুলো সব কিয়ামতের জন্য অবশিষ্ট থাকবে। ইমাম নাবাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেনঃ গুনাহ মোচনকারী যত ‘আমল রয়েছে সব যখন একত্রিত হবে তখন একটি ‘আমলের মাধ্যমে সমস্ত সগীরাহ্ গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে, আর পরেরগুলো দিয়ে কাবীরাহ্ গুনাহকে হালকা করা হবে। এরপর যতগুলো আসবে সবগুলো অর্থ হবে তার মর্যাদা বৃদ্ধি। ইমাম ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ)-ও এ কথা বলেছেন। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ