পরিচ্ছেদঃ ১৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - সৃষ্টির প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ
৪৯৬৭-[২১] জারীর ইবনু ’আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাতে নিম্নোক্ত কথাগুলোর বায়’আত বা আজ্ঞানুবর্তী হওয়ার শপথ করলাম- ১. সালাত প্রতিষ্ঠা করা, ২. যাকাত আদায় করা এবং ৩. প্রত্যেক মুসলিমের কল্যাণ কামনা করা। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
بَابُ الشَّفَقَةِ وَالرَّحْمَةِ عَلَى الْخَلْقِ
عَن جرير بن عبد الله قَالَ: بَايَعْتُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى إِقَامِ الصَّلَاةِ وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ وَالنُّصْحِ لكل مُسلم. مُتَّفق عَلَيْهِ
ব্যাখ্যাঃ জারীর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, অত্র হাদীসে সালাত প্রতিষ্ঠা, যাকাত আদায় এবং সমস্ত মুসলিমদের কল্যাণের ব্যাপারে আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে বায়‘আত করেছি। এখানে প্রশ্ন হলো শুধু সালাত ও যাকাতের কথা বলা হলো কেন? উত্তরে ‘উলামায়ে কিরাম বলেনঃ এ সালাত ও যাকাত যেহেতু কুরআন হাদীসে সব স্থানে এক সাথে এসেছে, তাই এখানেও এক সাথে আনা হয়েছে, আর সালাত এবং যাকাত হলো শাহাদাতের পরে ইসলামের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ রুকন। সওম ও হাজ্জের কথা উল্লেখ করা হয়নি এ কারণে যে, এগুলো السمع কথা শুনা ও الطاعة তথা মানার মধ্যেই শামিল। (শারহে মুসরিম ২য় খন্ড, হাঃ ৫৬)