হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৪৯৪৫

পরিচ্ছেদঃ ১৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - অনুগ্রহ ও স্বজনে সদাচার

৪৯৪৫-[৩৫] আবূ বকরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রত্যেক পাপ আল্লাহ তা’আলা যতটুকু ইচ্ছে ক্ষমা করে দেন; কিন্তু মাতা-পিতার অবাধ্যতা ক্ষমা করেন না; বরং আল্লাহ তা’আলা এটার শাস্তি দুনিয়াতেই তার মৃত্যুর পূর্বে তাকে প্রদান করেন।[1]

وَعَنْ أَبِي بَكْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كلُّ الذنوبِ يغفرُ اللَّهُ مِنْهَا مَا شاءَ إِلَّا عُقُوقَ الْوَالِدَيْنِ فَإِنَّهُ يُعَجَّلُ لِصَاحِبِهِ فِي الحياةِ قبلَ المماتِ»

ব্যাখ্যাঃ সকল পাপ বা গুনাহকেই আল্লাহ যতটুকু ইচ্ছা ক্ষমা করে দেন। এটা শির্কের গুনাহ ব্যতীত। কেননা শির্কের গুনাহ শির্ক বর্জনপূর্বক তাওবাহ্ না করা পর্যন্ত তা ক্ষমা করা হয় না। মাতা-পিতার সাথে নাফরমান করার গুনাহকেও আল্লাহ ক্ষমা করেন না। আল্লাহর সাথে শরীক বা অংশীদার স্থাপনের গুনাহ যেমন ভয়াবহ এবং ক্ষমার অযোগ্য, ঠিক তেমনি মাতা-পিতার সাথে নাফরমানীর গুনাহ্ও ভয়াবহ এবং ক্ষমার অযোগ্য। যেহেতু এ বিষয়টি হাক্কুল্লাহ এবং হাক্কুল ‘ইবাদ উভয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট। অতএব মাতা-পিতার নিকট ক্ষমা না নেয়া পর্যন্ত আল্লাহ এককভাবে তাকে ক্ষমা করবেন না। তার এ অপরাধের জন্য আল্লাহ দুনিয়ায় থাকতেই তার শাস্তি শুরু করবেন। অর্থাৎ মৃত্যুর আগেই সে শান্তি ভোগ শুরু করবে, কিয়ামত পর্যন্ত তাকে প্রতিক্ষা করতে হবে না।

কেউ কেউ বলেছেন, এর এও অর্থ হতে পারে যে, তার মাতা-পিতা মৃত্যুর আগেই শাস্তি শুরু হয়ে যাবে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবূ বাকরা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ