পরিচ্ছেদঃ ১৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - অনুগ্রহ ও স্বজনে সদাচার
৪৯৪৪-[৩৪] ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন কোন মাতা-পিতার ভক্ত সন্তান নিজের মাতা-পিতাকে অনুগ্রহের দৃষ্টিতে দেখে, আল্লাহ তা’আলা তার প্রতিটি দৃষ্টির বিনিময়ে তার ’আমলনামায় একটি নফল হজ্জ-এর সাওয়াব লিখে দেন। সাহাবায়ে কিরাম জিজ্ঞেস করলেনঃ হে আল্লাহর রসূল! যদি দৈনিক একশ’বার দৃষ্টিপাত করে? রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হ্যাঁ, তাও। আল্লাহ মহান ও পবিত্র।[1]
وَعَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مامن وَلَدٍ بَارٍّ يَنْظُرُ إِلَى وَالِدَيْهِ نَظْرَةَ رَحْمَةٍ إِلَّا كَتَبَ اللَّهُ لَهُ بِكُلِّ نَظْرَةٍ حَجَّةً مَبْرُورَةً» . قَالُوا: وَإِنْ نَظَرَ كُلَّ يَوْمٍ مِائَةَ مرّة؟ قَالَ: «نعم الله أكبر وَأطيب»
ব্যাখ্যাঃ নেককার সন্তান মাতা-পিতার প্রতি দয়াশীল, সুতরাং সে তার মাতা-পিতার প্রতি দয়া ও রহমাতের দৃষ্টিতে তাকাবে। সন্তানের এই ভালোবাসার দৃষ্টি আল্লাহর কাছে পছন্দনীয়, এমনকি প্রতিটি দৃষ্টিই আল্লাহর প্রিয় এবং আল্লাহ তার মূল্যায়ন করেন। এ মূল্যায়ন হলো প্রতিটি দৃষ্টির বিনিময়ে একটি নফল হাজ্জের সাওয়াব প্রদান করেন। লোকেরা প্রশ্ন করল, কেউ যদি দিনে একশতবার মাতা-পিতার দিকে রহমাতের দৃষ্টিতে তাকায়? রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হ্যাঁ, আল্লাহ তা‘আলা তাকে একশতটিই হাজ্জের সাওয়াবই দান করবেন। কেননা মানুষ যা ধারণা করে এবং মানুষের যে দৃষ্টিভঙ্গি আল্লাহ তার চেয়ে মহান এবং সকল প্রকার অক্ষমতা, দুর্বলতা এবং সংকীর্ণ থেকে মুক্ত।
‘আল্লামা ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ মানুষের এই সংকীর্ণ ধারণাও ই‘তিকাদ (বিশ্বাসসমূহ) থেকে আল্লাহ পুত-পবিত্র এবং মুক্ত। তার দান ভাণ্ডার থেকে কোন কিছু দান করলে সে ভান্ডারের ঘাটতি হয় না, এসব ত্রুটি থেকেও তিনি মুক্ত এবং পবিত্র। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)