পরিচ্ছেদঃ ১০. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে
৪৮৬৩-[৫২] ’আবদুল্লাহ ইবনু মাস্’ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, শয়তান কোন কোন সময় মানুষের আকৃতি ধারণ করে কোন সম্প্রদায়ের কাছে আসে এবং তাদের সাথে মিথ্যা কথা বলে। অতঃপর দলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে চলে যায়। এরপর তাদের মধ্য থেকে কোন একজন বলে, আমি এক ব্যক্তির কাছ থেকে এ কথা বলতে শুনেছি, তাকে দেখলে চিনি; কিন্তু নাম জানি না। (মুসলিম)[1]
وَعَن ابْن مسعودٍ قَالَ: إِنَّ الشَّيْطَانَ لَيَتَمَثَّلُ فِي صُورَةِ الرَّجُلِ فَيَأْتِي الْقَوْمَ فَيُحَدِّثُهُمْ بِالْحَدِيثِ مِنَ الْكَذِبِ فَيَتَفَرَّقُونَ فَيَقُولُ الرَّجُلُ مِنْهُمْ: سَمِعْتُ رَجُلًا أَعْرِفُ وَجْهَهُ وَلَا أَدْرِي مَا اسْمُهُ يُحَدِّثُ . رَوَاهُ مُسْلِمٌ
ব্যাখ্যাঃ (إِنَّ الشَّيْطَانَ لَيَتَمَثَّلُ فِي صُورَةِ الرَّجُلِ) শয়তান কখনো কখনো মানুষের রূপ ধারণ করে এবং কোন সম্প্রদায়ের জনসমাজে এসে তাদের নিকট মিথ্যা হাদীস বর্ণনা করে, ফলে তারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে পড়ে। তখন তাদের মধ্য থেকে এক ব্যক্তি এ কথা বলে- আমি একজন লোককে এ কথা বলতে শুনেছিলাম আমি চেহারা দেখলে চিনব কিন্তু তার নাম জানি না। সে লোকটি এরূপ এরূপ কথা বলে। সম্ভবত এটা রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাদীসই হবে। আর এটাই মিথ্যার মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্টতম। ফলে সে কাফিরের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। আর এজন্য শয়তানের নেতা এর উপর গুরুত্বারোপ করে এবং মানুষের আকৃতি ধারণ করে, অভ্যন্তরীণ কুমন্ত্রণাকে শক্তিশালী করার জন্য। অথবা তা থেকে ঝগড়া-ফাসাদের শাখা প্রশাখা বের করার জন্য। যেমন- মিথ্যা অপবাদ এবং অনুরূপ অন্যান্য কিছু।
‘আল্লামা ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ এ হাদীসের শিক্ষা হলো- কারো কাছ থেকে কোন কথা শুনলে খুব সতর্ক হওয়া উচিত এবং যদি বক্তা সম্পর্কে জানা যায় যে, সে সত্যবাদী তাহলে তার কাছ থেকে হাদীস বর্ণনা করা জায়িয আর যদি সে মিথ্যুক হয় তাহলে তার কথা বর্ণনা করা থেকে বিরত থাকতে হবে। আর এ মর্মে সহীহ মুসলিমে হাদীস রয়েছে- كَفٰى بِالْمَرْءِ كَذِبًا أَنْ يُحَدِّثَ بِكُلِّ مَا سَمِعَ একজন মানুষ মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এটাই যথেষ্ট যে, সেযা শুনবে, যাচাই না করে তাই বর্ণনা করবে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)