হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৪৮৩৪

পরিচ্ছেদঃ ১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে

৪৮৩৪-[২৩] বাহয ইবনু হাকীম (রহিমাহুল্লাহ) তাঁর পিতার মাধ্যমে তাঁর দাদা হতে বর্ণনা করেন, তিনি (দাদা) বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ধ্বংস তাদের জন্য, যারা কথা বলে আর জনতাকে হাসানোর জন্য মিথ্যা বলে। তার ওপর ধ্বংস, তার ওপর ধ্বংস। (আহমাদ, তিরমিযী, আবূ দাঊদ ও দারিমী)[1]

وَعَنْ بَهْزِ بْنِ حَكِيمٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جده قا ل: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَيْلٌ لِمَنْ يُحَدِّثُ فَيَكْذِبُ لِيُضْحِكَ بِهِ الْقَوْمَ وَيْلٌ لَهُ وَيْلٌ لَهُ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُد والدارمي

ব্যাখ্যাঃ আরবীতে (وَيْلٌ) শব্দের অর্থ হলো هَلَاكٌ عَظِيمٌ মহাধ্বংস অথবা (وَيْلٌ) হলো وَادٍ عَمِيقٌ فِي جَهَنَّمَ জাহান্নামের ভিতরের গভীর একটি গর্ত।

মিথ্যা বলা সর্বাস্থায় নিষিদ্ধ, তা হাস্য রসিকতারচ্ছলে হলেও নিষিদ্ধ এবং পাপ। কেউ কাউকে হাসানোর জন্য মিথ্যা কথা বললেও তার পরিণতি কি? তাই অত্র হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। অবশ্য কথা সত্য হলে তা দ্বারা মানুষ হাসানো এই নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত নয় এবং সে এ ধ্বংসের অন্তর্ভুক্ত হবে না। যেমন আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন সময় তার স্ত্রীদের কারো ওপর রাগ করলে ‘উমার (রাঃ) তখন কোন হাসানো (সত্য কথা) বলে তাকে হাসাতেন। এ অবস্থা ঘটনাক্রমে হলে অথবা কখনো কখনো হলে তবে তা নিষিদ্ধ নয় কিন্তু হাস্যরসিকতা কেউ যদি পেশা বানিয়ে নেয় এবং সর্বদাই এতে লিপ্ত থাকে তাহলে তার জন্য হাদীসে বর্ণিত ধ্বংস অবধারিত।

(وَيْلٌ) শব্দটি একাধিকবার উল্লেখ করা হয়েছে তাকীদ হিসেবে অথবা প্রথমটি বারযাখ বা কবরের জীবনে, দ্বিতীয়টি হাশরে এবং তৃতীয়টি জাহান্নামে।

(মিরক্বাতুল মাফাতীহ; তুহফাতুল আহওয়াযী ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ২৩১৫; ‘আওনুল মা‘বূদ ৮ম খন্ড, হাঃ ৪৯৮২)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ বাহয ইবনু হাকীম (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ