পরিচ্ছেদঃ ৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - নাম রাখা
৪৭৫২-[৩] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলার নিকট তোমাদের নামসমূহের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম নাম ’আবদুল্লাহ এবং ’আবদুর রহমান। (মুসলিম)[1]
بَابُ الْأَسَامِىْ
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ أَحَبَّ أَسْمَائِكُمْ إِلَى اللَّهِ: عَبْدُ اللَّهِ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ رَوَاهُ مُسلم
ব্যাখ্যাঃ ব্যাখ্যায় বলা হয়, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-গণের নামের পরে, ইসফাতের দালীলের মাধ্যমে জানা যায়। ‘আবদুল্লাহ ও ‘আবদুর রহমান অতি প্রিয় আল্লাহ তা‘আলার নিকট। অতঃপর প্রমাণ করে এই দুই নামের উপরে যে, এ দুই নাম মুহাম্মাদের নাম হতে অধিক প্রিয় নয়, অতঃপর উভয় নামই সমান মর্যাদার অবস্থানে। অথবা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নাম। উক্ত দুই নাম হতে অতি প্রিয় সাধারণভাবে অথবা কোন দিক থেকে। মিরক্বাত লেখক বলেনঃ এ বিষয়ে আল্লাহ অধিক ভালো অবগত রয়েছেন। (তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৭ম খন্ড, হাঃ ২৮৩৩)
عن عبد الله بن عمر عن النبي قال أحب الاسماء عبد الله وعبد الرحمن
অর্থাৎ ইবনু ‘উমার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন, আল্লাহর কাছে ‘আবদুল্লাহ ও ‘আবদুর রহমান নাম অতি প্রিয়।
শিক্ষা : আল্লাহ তা‘আলার নামের সঙ্গে কারো নাম রাখতে হলে আল্লাহর নামের পূর্বে عبد শব্দ যুক্ত করে اضافت এর পদ্ধতিতে ব্যবহার করতে হবে তা না করলে বৈধ হবে না। বরং শির্ক হবে। যেমন- ‘আবদুল মালিক ও ‘আবদুর রহীম ইত্যাদি।
অন্যথায় বৈধ হবে না। যেমন ‘আবদুন্ নবী ও ‘আবদুল হারিস ইত্যাদি এ জাতীয় নাম রাখা শারী‘আতে বৈধ নয়। আর ‘আবদুল্লাহ ও ‘আবদুর রহমান নাম আমরা বেশী রাখব। [সম্পাদক]