পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - দণ্ডায়মান হওয়া
৪৭০০-[৬] আবূ উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লাঠিতে ভর দিয়ে আমাদের নিকট আগমন করলেন। আমরা তাঁর সম্মানার্থে দণ্ডায়মান হলাম। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ অনারব লোকেরা একে অপরের সম্মানার্থে যেভাবে দাঁড়ায়, তোমরা সেভাবে দাঁড়াবে না। (আবূ দাঊদ)[1]
وَعَن أَبِي أُمَامَةَ قَالَ: خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُتَّكِئًا عَلَى عَصًا فَقُمْنَا فَقَالَ: «لَا تَقُومُوا كَمَا يَقُومُ الْأَعَاجِمُ يُعَظِّمُ بَعْضهَا بَعْضًا» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যাঃ আলোচ্য হাদীসের সম্পর্কে মুহাদ্দিসগণ ভিন্ন ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন। প্রথমত হাদীসটি দুর্বল। সুতরাং এ হাদীস দ্বারা কারো জন্য দাঁড়ানো যাবে তা প্রমাণিত হয় না। মুল্লা ‘আলী কারী (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেনঃ কারো সম্মান প্রদর্শনার্থে দাঁড়ানো নিষেধ। ইমাম মুসলিম (রহিমাহুল্লাহ) হাদীস বর্ণনা করেছেন, জাবির (রাঃ) বর্ণনা করেন, যখন তারা সালাত আদায় করে তার পিছনে বসেছিল। অতঃপর তিনি সালাম ফিরিয়ে বললেন, কিছুক্ষণ পূর্বে তোমরা তা করেছিলে যা পারস্য ও রোমের লোকেরা করে থাকে তারা দাঁড়িয়ে থাকে এবং তাদের নেতাগণ বসে থাকে তোমরা এরূপ করো না। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)
অনারবরা একে অপরের সম্মানার্থে দাঁড়ায় তোমরা এমনভাবে দাঁড়াবে না। এভাবে সেবাদাসের ভঙ্গিতে দাঁড়ানোকে নিষেধ করা হয়েছে। এর কারণ হলো : ১. প্রচলিত প্রথা দূরীকরণ : সেবাদাসের মতো দাঁড়িয়ে থাকা ইসলামের শিক্ষা বিরোধী। মানুষ কেবল আল্লাহর সামনে মাথা নত করতে পারে আর কোথাও নয়। ২. আত্ম-অহংকারের মূলোৎপাটন : অহংকারের অধিকার একমাত্র আল্লাহর। কিন্তু তৎকালে ক্ষমতাশীল লোকেরা অন্যদের নিকট থেকে সেবাদাসের ভূমিকা আশা করত। তাদের এ অহংকার দূর করার জন্য এ বিধান জারী করা হয়েছে। এ মর্মে আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ‘‘নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা কোন দাম্ভিক অহংকারীকে পছন্দ করেন না’’- (সূরাহ্ আন্ নাহল ১৬ : ২৩)। [সম্পাদক]