হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৪৫৬০

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৪৫৬০-[৪৭] আসমা বিনতু ’উমায়স (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি জিজ্ঞেস করলেন: হে আল্লাহর রসূল! জা’ফার (তাইয়্যার)-এর সন্তানদের ওপর দ্রুত বদনযর লেগে থাকে। আমি কি তাদের জন্য ঝাড়ফুঁক করাব? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ হ্যাঁ, কেননা যদি কোন জিনিস তাকদীরের অগ্রগামী হতে পারত, তবে বদনযরই তার অগ্রগামী হত। (আহমাদ, তিরমিযী ও ইবনু মাজাহ)[1]

الْفَصْلُ الثَّانِي

وَعَن أَسمَاء بنت عُميس قَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ وَلَدَ جَعْفَرٍ تُسْرِعُ إِلَيْهِمُ الْعَيْنُ أَفَأَسْتَرْقِي لَهُمْ؟ قَالَ: «نَعَمْ فَإِنَّهُ لَوْ كَانَ شَيْءٌ سَابِقُ الْقَدَرِ لَسَبَقَتْهُ العينُ» . رَوَاهُ أَحْمد وَالتِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه

ব্যাখ্যাঃ (إِنَّ وَلَدَ جَعْفَرٍ) মুল্লা ‘আলী কারী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ তার থেকে জা‘ফারের সন্তানদের অথবা সে ব্যতীত অন্যের থেকে জা‘ফার-এর সন্তানদের। (إِلَيْهِمُ الْعَيْنُ) অর্থাৎ তাদের চেহারা খুবই সুন্দর হওয়ার কারণে অতি তাড়াতাড়ি বদনযর তাদের ওপর প্রভাব ফেলে। অসৎ উদ্দেশে হিংসা নিয়ে কারো প্রতি দৃষ্টিপাত করলে তার (যার প্রতি দৃষ্টিপাত করা হয়েছে) ক্ষতি হয়ে যায়। হাফিয ইবনু হাজার (রহিমাহুল্লাহ) এ কথা বলেছেন। (তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ২০৫৯)

(لَوْ كَانَ شَيْءٌ سَابِقُ الْقَدَرِ لَسَبَقَتْهُ العينُ) ‘‘যদি কোন জিনিস তাকদীবের অগ্রগামী হতে পারত, তবে বদনযরই তার অগ্রগামী হতো’’। এর অর্থ হলো নিশ্চয় এটা একটা বিরাট বিষয়। সুতরাং এটা থেকে মহান রবের তরফ থেকে ঝাড়ফুঁক তলব করা জায়িয। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)

আহলুস্ সুন্নাতের মাযহাব হলো এই যে, বদনযরকারীর চোখ ক্ষতি করে ও ধবংস করে মহান আল্লাহর কাজের দ্বারা (তার নিজের কোন ক্ষমতা নেই)। মহান আল্লাহ এ রীতি চালু করে রেখেছেন যে, এ ব্যক্তি অন্য ব্যক্তির মুখোমুখি ক্ষতি সাধান করতে পারবে। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ২০৫৯)