হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৪৫৩৩

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৪৫৩৩-[২০] ’উকবাহ্ ইবনু ’আমির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের রোগীদের পানাহারের জন্য জবরদস্তি করো না। কেননা আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে খাওয়ান এবং পান করান। (তিরমিযী ও ইবনু মাজাহ। ইমাম তিরমিযী বলেছেনঃ হাদীসটি গরীব।)[1]

الْفَصْلُ الثَّانِي

وَعَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تُكْرِهُوا مَرْضَاكُمْ عَلَى الطَّعَامِ فَإِنَّ اللَّهَ يُطْعِمُهُمْ وَيَسْقِيهِمْ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيث غَرِيب

ব্যাখ্যাঃ (فَإِنَّ اللهَ يُطْعِمُهُمْ وَيَسْقِيهِمْ) ‘‘কেননা মহান আল্লাহ তাদেরকে খাওয়ান এবং পান করান’’। অর্থাৎ খাবার খাওয়া ও পানি পান করার স্থলাভিষিক্ত যা হয় তিনি তা সরবরাহ করেন এবং ক্ষুধার যন্ত্রণা ও পিপাসার উপর ধৈর্য ধারণ করার ক্ষমতা দান করেন, খাদ্য ও পানীয় যা পারে না। অনুরূপভাবে শরীরকে সুস্থ রাখা মহান আল্লাহর কাজ এটা খানা-পিনার কাজ নয়।

কাযী ‘ইয়ায (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ অর্থাৎ আত্মাকে (রূহকে) হিফাযাত রাখতে ও শরীরকে শক্তিশালী রাখতে খাবার ও পানির যে উপকার মহান আল্লাহ সেটা সরবরাহ করার মাধ্যমে তাদের (রোগীদের) শক্তিকে সংরক্ষণ করেন। যেমনটি হাদীসে এসেছে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি আমার রবের নিকট রাত্রি যাপন করেছি তিনি আমাকে খাদ্য খাওয়াইছেন ও পান করিয়েছেন- আর এ খাবার খাওয়ানো ও আমার খাবার মাঝে অনেক দূরত্ব ছিল- (তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, হাকিম)। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)