পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - চুল আঁচড়ানো
৪৪৭৪-[৫৬] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুরুষদের এবং মহিলাদেরকে গোসলের জন্য হাম্মামে (গোসলখানায়) প্রবেশ করতে নিষেধ করেছেন। অবশ্য পরে কেবলমাত্র পুরুষদেরকে ইযারসহ প্রবেশ করার অনুমতি দিয়েছেন। (তিরমিযী ও আবূ দাঊদ)[1]
وَعَنْ عَائِشَةَ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى الرِّجَالَ وَالنِّسَاءَ عَنْ دُخُولِ الْحَمَّامَاتِ ثُمَّ رَخَّصَ لِلرِّجَالِ أَنْ يَدْخُلُوا بِالْمَيَازِرِ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَأَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যাঃ (نَهٰى الرِّجَالَ وَالنِّسَاءَ عَنْ دُخُولِ الْحَمَّامَاتِ) অর্থাৎ পুরুষ ও মহিলাকে হাম্মামসমূহে প্রবেশ করতে নিষেধ করেন।
হাম্মাম অর্থ গোসলখানা। মূলত গরম পানি দিয়ে গোসলের ব্যবস্থা করে রাখার স্থানকে হাম্মাম বলা হয়। বহুবচন হাম্মামাত। যে হাম্মামে গোসল করতে পুরুষ ও মহিলাকে সাধারণভাবে নিষেধ করা হয়েছিল তা মূলত ঐসব গোসলখানা, যেখানে সম্মিলিতভাবে সবাই মিলে গোসলের ব্যবস্থা করা হয়।
সতর বা শরীরের যে অংশ ঢাকা জরুরী তা ঢেকে রাখা একটি গুরুত্বপূর্ণ ফরয। সতরের বিষয়টির দিকটিকেই লক্ষ্য করে গোসলের জন্য হাম্মাম তথা সমবেত গোসলস্থলে প্রবেশ করতে বারণ করেন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
(ثُمَّ رَخَّصَ لِلرِّجَالِ أَنْ يَدْخُلُوا بِالْمَيَازِرِ) অর্থ- পরবর্তীতে পুরুষের জন্য লুঙ্গি নিয়ে প্রবেশের অনুমোদন দেন।
মেয়েদের তুলনায় পুরুষের সতরের অংশ কম। লুঙ্গি পরে সতরের বিধান রক্ষা করে পুরুষের জন্য সমবেত গোসলখানায় গোসল করা সম্ভব। কিন্তু মেয়েদের জন্য তা সম্ভব নয়; তাই মেয়েদের ক্ষেত্রে সম্মিলিত গোসলের স্থানে প্রবেশ করার নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকে। মুযহির (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ মেয়েদেরকে হাম্মামে প্রবেশ করে গোসলের অনুমোদন দেয়া হয়নি; কেননা তাদের সমস্ত শরীর সতর এবং বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া তা বের করা জায়িয নয়। (তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৭ম খন্ড, হাঃ ২৮০২; মিরক্বাতুল মাফাতীহ)