পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - চুল আঁচড়ানো
৪৪২৯-[১১] উক্ত রাবী [’আবদুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহর লা’নাত সে পুরুষদের ওপর যারা নারী সাদৃশ্য ধারণ করে এবং সে সকল নারীদের ওপর যারা পুরুষ সাদৃশ্য ধারণ করে। (বুখারী)[1]
بَابُ التَّرَجُّلِ
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَعَنَ اللَّهُ الْمُتَشَبِّهِينَ مِنَ الرِّجَالِ بِالنِّسَاءِ والمتشبِّهات من النِّسَاء بِالرِّجَالِ» . رَوَاهُ البُخَارِيّ
ব্যাখ্যাঃ বর্ণিত হাদীস ও উপরোক্ত হাদীসের মর্ম একই। উভয় হাদীসে কেবল শব্দের ভিন্নতার মাঝে কম-বেশি হয়েছে। হাদীসটি উপরোক্ত হাদীসের অর্থকে পরিষ্কার করে দিচ্ছে।
‘আল্লামা ইবনু হাজার বলেনঃ নিষিদ্ধ সাদৃশ্য হলো কথাবার্তা ও চাল-চলনে। তবে পোশাকের ডিজাইন বিভিন্ন দেশের রীতি অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। কোন কোন সম্প্রদায়ে পুরুষ ও মহিলার পোশাকের মাঝে কোন পার্থক্য নেই। তবে মহিলারা হিজাব ও পর্দার মাধ্যমে পুরুষ থেকে আলাদা হবে।
আমার সাদৃশ্যতার এই তিরস্কার ঐ ব্যক্তির ক্ষেত্রে যে ইচ্ছা করে এমনটি করে। তবে যে পুরুষ সৃষ্টিগতভাবেই চাল চলনে নারী সাদৃশ্য বা যে নারী পুরুষ সাদৃশ্য তাকে ধীরে ধীরে তাদের অভ্যাস পরিবর্তন করার নির্দেশ দেয়া যাবে। যদি সে তা ছাড়তে চেষ্টা না করে ঐ রীতির উপরেই থাকাকেই আঁকড়ে ধরে তবে সেও এই তিরস্কারের অন্তর্ভুক্ত হবে, বিশেষ করে সে যদি এতে সন্তুষ্ট থাকে। (ফাতহুল বারী ১০ম খন্ড, হাঃ ৫৮৮৫)