হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৪২৯০

পরিচ্ছেদঃ ৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - নাক্বী‘ ও নবীয সম্পর্কীয় বর্ণনা

৪২৯০-[৫] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কদুর খোলস, সবুজ মটকা, আলকাতরা লাগানো পাত্র এবং খেজুর বৃক্ষের মূলের পাত্র ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন এবং চামড়ার মশকে নবীয প্রস্তুত করতে আদেশ করেছেন। (মুসলিম)[1]

بَابُ النَّقِيعِ وَالْأَنْبِذَةِ

وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نهى عَن الدُّبَّاء والحنتم والمرفت وَالنَّقِيرِ وَأَمَرَ أَنْ يُنْبَذَ فِي أَسْقِيَةِ الْأَدَمِ. رَوَاهُ مُسلم

ব্যাখ্যাঃ (دُبَّاءِ) দুববা লাউয়ের শুকনা খোলস দ্বারা তৈরি পাত্র।

(حَنْتَمِ) (হানতাম) মটকা জাতীয় সবুজ বর্ণের পাত্র বিশেষ।

(مُزَفَّتِ) (মুযাফফাত) এমন ধরনের পাত্র যা ভিতরে কিংবা বাইরে আলকাতরা লেপিয়ে দেয়া হয়।

(نَقِيرِ) (নাক্বীর) খেজুর গাছের মূলের দ্বারা নির্মিত পাত্র।

মূলত এগুলো তৎকালীন ‘আরবরা মদ তৈরির পাত্র হিসেবে ব্যবহার করত। ইসলামে মদ হারাম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ সমস্ত পাত্রের ব্যবহারও নিষিদ্ধ করা হয়েছে, কারণ পাত্রগুলোতে নবীয প্রস্তুত করলে তা খুব তাড়াতাড়ি নেশায় বা মদে পরিণত হত। অতঃপর ইসলামের সময় দীর্ঘ হলে নেশা হারাম হওয়া স্পষ্ট হয়, আর প্রত্যেক পাত্রে নবীয বৈধতার ব্যাপারে প্রসিদ্ধি লাভ করে। এ বিষয়ে সামনের হাদীসে আলোচনা আসছে। আর এ সংক্রান্ত আলোচনা ঈমান অধ্যায়ে বলা হয়েছে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ