হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৪১৮৯

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

৪১৮৯-[৩১] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ঐ গৃহবাসী অভুক্ত নয়, যার কাছে খেজুর আছে। অপর এক রিওয়ায়াতে আছে, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ হে ’আয়িশাহ্! যে ঘরে খেজুর নেই, সে গৃহবাসী অভুক্ত। এ কথাটি তিনি দু’ অথবা তিনবার বলেছেন। (মুসলিম)[1]

الْفَصْلُ الْأَوَّلُ

وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يَجُوعُ أَهْلُ بَيْتٍ عِنْدَهُمُ التَّمْرُ» . وَفِي رِوَايَةٍ: قَالَ: «يَا عَائِشَةُ بَيْتٌ لَا تَمْرَ فِيهِ جِيَاعٌ أَهْلُهُ» قَالَهَا مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلَاثًا. رَوَاهُ مُسْلِمٌ

ব্যাখ্যাঃ (لَا يَجُوعُ أَهْلُ بَيْتٍ عِنْدَهُمُ التَّمْرُ) ‘‘যে বাড়ীতে খেজুর আছে তারা ক্ষুধার্ত থাকে না’’। অন্য বর্ণনায় আছে, (بَيْتٌ لَا تَمْرَ فِيهِ جِيَاعٌ أَهْلُهٗ) ‘‘যে বাড়ীতে খেজুর নেই তারা ক্ষুধার্ত।’’

ইমাম নাবাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ এতে খেজুরের ফাযীলাত বর্ণিত হয়েছে। অত্র হাদীস থেকে পরিবারের লোকেদের জন্য খাদ্য জমা করে রাখার বৈধতা প্রমাণিত হয়।

এ হাদীস দ্বারা মদীনাবাসী উদ্দেশ্য, কেননা খেজুরই তাদের প্রধান খাদ্য। অথবা এর দ্বারা খেজুরের মর্যাদা বুঝানো উদ্দেশ্য। ইবনুল ‘আরাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ কেননা খেজুরই ছিল তাদের প্রধান খাদ্য, অতএব যে বাড়ীতে খেজুর থাকবে না তারা ক্ষুধার্ত থাকবে। প্রত্যেক দেশের বাসিন্দাদের জন্যই এ কথা প্রযোজ্য। যার ঘরে ঐ দেশের প্রধান খাদ্য নেই সে ক্ষুধার্ত। ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ যে দেশে অধিক পরিমাণে খেজুর পাওয়া যায় তাদেরকে খেজুরের উপর সন্তুষ্ট থাকতে উৎসাহিত করা হয়েছে, অর্থাৎ যে বাড়ীতে খেজুর আছে এবং তারা তাতেই তুষ্ট থাকে তারা ক্ষুধার্ত থাকবে না। তারাই ক্ষুধার্ত থাকবে যাদের বাড়ীতে খেজুর নেই।

(মিরক্বাতুল মাফাতীহ; শারহুন নাবাবী ১৩শ খন্ড, হাঃ ২০৪৬; ‘আওনুল মা‘বূদ ৫ম খন্ড, হাঃ ৩৮২৬; তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ১৮১৫)