পরিচ্ছেদঃ ৪. ইতিকাফ কাযা করা প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ৭. আমরাহ বিনত আবদুর রহমান (রহঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইতিকাফ করিতে মনস্থ করিলেন। অতঃপর যে স্থানে তিনি ইতিকাফ করিবার মনস্থ করিয়াছিলেন সেই স্থানে গমন করিলে (সেখানে) কয়েকটি তাবু দেখিতে পাইলেন। (ইহ) আয়েশা (রাঃ)-এর তাবু, ইহা হাফসা (রাঃ)-এর তাবু এবং ইহা যায়নব (রাঃ)-এর তাবু। তিনি তাবু সম্পর্কে জানিয়া উহাদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করিলেন। তাহাকে বলা হইল, ইহা আয়েশা, ইহা হাফসা এবং ইহা যায়নব (রাঃ)-এর তাবু। তারপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেনঃ এই সকলের দ্বারা তাহারা কি পুণ্যের নিয়ত করিয়াছেন? অতঃপর তিনি ফিরিয়া গেলেন এবং ইতিকাফ করিলেন না। পরে তিনি শাওয়াল মাসের দশ দিন ইতিকাফ করিলেন।
যিয়াদ (রহঃ) বলেনঃ মালিক (রহঃ)-কে প্রশ্ন করা হইল সেই ব্যক্তি সম্পর্কে যে রমযানের শেষের দশদিনে ইতিকাফের উদ্দেশ্যে মসজিদে প্রবেশ করিয়াছে, অতঃপর একদিন অথবা দুইদিন অবস্থান করার পর পীড়িত হইয়া পড়ে এবং মসজিদ হইতে বাহির হয়, সে সুস্থ হইলে অবশিষ্ট দিনের ইতিকাফ করা তাহার উপর ওয়াজিব হইবে কি? কিংবা উহার কাযা তাহার উপর আদৌ ওয়াজিব হইবে না। ইহা তাহার উপর ওয়াজিব হইলে কোন মাসে সে ইতিকাফ করিবে? উত্তরে মালিক (রহঃ) বলেনঃ সুস্থ হইয়া গেলে রমযান বা গর-রমযানে তাহার উপর যে ইতিকাফ ওয়াজিব হইয়াছে উহা কাযা করিবে।
আমার নিকট খবর পৌছিয়াছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার রমযানে ইতিকাফ করার মনস্থ করিলেন। পরে তিনি মত পাল্টাইলেন এবং ইতিকাফ করিলেন না। অতঃপর রমযান অতিবাহিত হইলে শাওয়াল মাসে দশ দিন ইতিকাফ করিলেন।
নফল ইতিকাফকারী ও যাহার উপর ইতিকাফ ওয়াজিব হালাল ও হারামের বিষয়ে উভয়ের হুকুম এক অর্থাৎ যাহা হালাল উভয়ের জন্য হালাল এবং যাহা হারাম উভয়ের জন্য হারাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইতিকাফ ছিল নফল ইতিকাফ– এইরূপই আমার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যেই স্ত্রীলোক ইতিকাফ করে এবং ইতিকাফে থাকিতে তাহার হায়েয (ঋতুস্রাব) হয়, সেই স্ত্রীলোক নিজ গৃহে ফিরিয়া যাইবে। তারপর যখন পাক হইবে সেই মুহুর্তে মসজিদে উপস্থিত হইবে। ইহাতে বিলম্ব করিবে না। অতঃপর তাহার ইতিকাফের যে কয়দিন পূর্বে অতিবাহিত হইয়াছে উহা বাদ দিয়া বাকি দিনগুলি ইতিকাফ করবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ অনুরূপ যে স্ত্রীলোকের উপর একাধারে দুই মাসের রোযা ওয়াজিব তাহার যদি ঋতুস্রাব হয়, তৎপর পাক হয়, তবে সে যে রোযা পূর্বে রাখিয়াছিল উহার উপর ভিত্তি করিয়া বাকি রোযা রাখিবে। উহাতে বিলম্ব করিবে না।
بَاب قَضَاءِ الْاعْتِكَافِ
حَدَّثَنِي زِيَاد عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرَادَ أَنْ يَعْتَكِفَ فَلَمَّا انْصَرَفَ إِلَى الْمَكَانِ الَّذِي أَرَادَ أَنْ يَعْتَكِفَ فِيهِ وَجَدَ أَخْبِيَةً خِبَاءَ عَائِشَةَ وَخِبَاءَ حَفْصَةَ وَخِبَاءَ زَيْنَبَ فَلَمَّا رَآهَا سَأَلَ عَنْهَا فَقِيلَ لَهُ هَذَا خِبَاءُ عَائِشَةَ وَحَفْصَةَ وَزَيْنَبَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ آلْبِرَّ تَقُولُونَ بِهِنَّ ثُمَّ انْصَرَفَ فَلَمْ يَعْتَكِفْ حَتَّى اعْتَكَفَ عَشْرًا مِنْ شَوَّالٍ وَسُئِلَ مَالِك عَنْ رَجُلٍ دَخَلَ الْمَسْجِدَ لِعُكُوفٍ فِي الْعَشْرِ الْأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ فَأَقَامَ يَوْمًا أَوْ يَوْمَيْنِ ثُمَّ مَرِضَ فَخَرَجَ مِنْ الْمَسْجِدِ أَيَجِبُ عَلَيْهِ أَنْ يَعْتَكِفَ مَا بَقِيَ مِنْ الْعَشْرِ إِذَا صَحَّ أَمْ لَا يَجِبُ ذَلِكَ عَلَيْهِ وَفِي أَيِّ شَهْرٍ يَعْتَكِفُ إِنْ وَجَبَ عَلَيْهِ ذَلِكَ فَقَالَ مَالِك يَقْضِي مَا وَجَبَ عَلَيْهِ مِنْ عُكُوفٍ إِذَا صَحَّ فِي رَمَضَانَ أَوْ غَيْرِهِ وَقَدْ بَلَغَنِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرَادَ الْعُكُوفَ فِي رَمَضَانَ ثُمَّ رَجَعَ فَلَمْ يَعْتَكِفْ حَتَّى إِذَا ذَهَبَ رَمَضَانُ اعْتَكَفَ عَشْرًا مِنْ شَوَّالٍ وَالْمُتَطَوِّعُ فِي الْاعْتِكَافِ فِي رَمَضَانَ وَالَّذِي عَلَيْهِ الْاعْتِكَافُ أَمْرُهُمَا وَاحِدٌ فِيمَا يَحِلُّ لَهُمَا وَيَحْرُمُ عَلَيْهِمَا وَلَمْ يَبْلُغْنِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ اعْتِكَافُهُ إِلَّا تَطَوُّعًا قَالَ مَالِك فِي الْمَرْأَةِ إِنَّهَا إِذَا اعْتَكَفَتْ ثُمَّ حَاضَتْ فِي اعْتِكَافِهَا إِنَّهَا تَرْجِعُ إِلَى بَيْتِهَا فَإِذَا طَهُرَتْ رَجَعَتْ إِلَى الْمَسْجِدِ أَيَّةَ سَاعَةٍ طَهُرَتْ ثُمَّ تَبْنِي عَلَى مَا مَضَى مِنَ اعْتِكَافِهَا وَمِثْلُ ذَلِكَ الْمَرْأَةُ يَجِبُ عَلَيْهَا صِيَامُ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ فَتَحِيضُ ثُمَّ تَطْهُرُ فَتَبْنِي عَلَى مَا مَضَى مِنْ صِيَامِهَا وَلَا تُؤَخِّرُ ذَلِكَ
Ziyad related to me from Malik from Ibn Shihab from Amra bint Abd ar-Rahman from A'isha that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, once wanted to do itikaf, and when he went off to the place where he wanted to do itikaf he found some tents there, which were A'isha's tent, Hafsa's tent, and Zaynab's tent. When he saw them he asked about them and someone told him that they were the tents of A'isha, Hafsa and Zaynab. The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "Do you think them devout?" Then he left, and did not do itikaf until Shawwal, when he then did it for ten days.
Malik was asked whether someone who went into a mosque to do itikaf for the last ten days of Ramadan and stayed there for a day or two but then became ill and left the mosque, had to do itikaf for the number of days that were left from the ten, or not, and if he did have to do so, then what month should he do it in, and he replied, "He should make up whatever he has to do of the itikaf when he recovers, whether in Ramadan or otherwise. I have heard that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, once wanted to do itikaf in Ramadan, but then came back without having done so, and then when Ramadan had gone, he did itikaf for ten days in Shawwal.
Some one who does itikaf voluntarily in Ramadan and some one who has to do itikaf are in the same position regarding what is halal for them and what is haram. I have not heard that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, ever did itikaf other than voluntarily."
Malik said, that if a woman did itikaf and then menstruated during her itikaf, she went back to her house, and, when she was pure again she returned to the mosque, at whatever time it was that she became pure. She then continued her itikaf from where she left off. This was the same situation as with a woman who had to fast two consecutive months, and who menstruated and then became pure. She then continued the fast from where she had left off and did not delay doing so.