হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
১২৩৮

পরিচ্ছেদঃ

১২৩৮। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অব্যাহতভাবে সকালের সালাতে কুনুত পাঠ করা অবস্থায় দুনিয়া থেকে বিদায় গ্রহণ করেন।

হাদীসটি মুনকার।

হাদীসটি আব্দুর রাযযাক "আল-মুসান্নাফ" গ্রন্থে (৩/১১০/৪৯৬৪), ইবনু আবী শাইবাহ (২/৩১২) সংক্ষেপে, ত্বহাবী "শারহুল মা’য়ানী" (১/১৪৩), দারাকুতনী (পৃঃ ১৭৮), হাকিম “আল-আরবাউন” গ্রন্থে, তার থেকে বাইহাকী (২/২০১), অনুরূপভাবে বাগাবী "শারহুস সুন্নাহ" গ্রন্থে (৩/১২৩/৬৩৯), ইবনুল জাওযী "আল-ওয়াহিয়াহ" গ্রন্থে (১/৪৪৪-৪৪৫) ও আহমাদ (৩/১৬২) আবু জাফার রাযী সূত্রে রাবী’ ইবনু আনাস হতে, তিনি বলেনঃ আমি আনাস ইবনু মালেক (রাঃ)-এর নিকটে বসেছিলাম, এ সময় তাকে বলা হয়েছিলঃ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক মাস কুনূত পাঠ করেন, তখন তিনি বলেনঃ ...।

বাগাবী বলেনঃ হাকিম বলেনঃ এর সনদটি হাসান। বাইহাকী বলেনঃ আবু আবদিল্লাহ বলেনঃ এ সনদটি সহীহ। তার বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী। রাবী’ ইবনু আনাস একজন পরিচিত তাবেঈ এবং তিনি তা স্বীকার করেন।

এ কারণে ইবনুত তুরকুমানী তার সমালোচনা করে বলেছেনঃ কিভাবে হাদীসটির সনদ সহীহ হতে পারে এমতাবস্থায় যে, রাবী’ ইবনু আনাস হতে বিতর্কিত বর্ণনাকারী হচ্ছেন আবু জাফার ঈসা ইবনু মাহান আর-রাযী। তার সম্পর্কে ইমাম আহমাদ ও নাসাঈ বলেনঃ তিনি শক্তিশালী নন। আবু যুর’য়াহ বলেনঃ তিনি বহু সন্দেহ পোষণ করতেন। ফাল্লাস বলেনঃ তিনি মন্দ হেফযের অধিকারী ছিলেন। ইবনু হিব্বান বলেন তিনি প্রসিদ্ধদের উদ্ধৃতিতে মুনকার হাদীস বর্ণনা করেন।

ইবনুল কাইয়্যিম “যাদুল মা’দ” গ্রন্থে (১/৯৯) বলেনঃ আবু জাফারকে আহমাদ প্রমুখ দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। ইবনুল মাদীনী বলেনঃ তিনি সংমিশ্রণ ঘটিয়ে ফেলতেন। আবু যুর’য়াহ বলেনঃ তিনি বহু সন্দেহ পোষণ করতেন।

হাফিয ইবনু হাজার "আত-তাকরীব" গ্রন্থে বলেনঃ তিনি সত্যবাদী, তবে বিশেষভাবে মুগীরাহ হতে বর্ণনাকারী হিসেবে মন্দ হেফযের অধিকারী।

ইমাম যায়লাঈ হানাকী "নাসবুর রায়া" গ্রন্থে (২/১৩২) বলেনঃ হাদীসটিকে ইবনুল জাওযী "আত-তাহকীক” গ্রন্থে দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। তিনি তার "ইলালুল মুতানাহিয়াহ" গ্রন্থে বলেনঃ এ হাদীসটি সহীহ নয়। কারণ আবু জাফার রাযী হচ্ছেন ঈসা ইবনু মাহান, তার সম্পর্কে ইবনুল মাদীনী বলেনঃ তিনি সংমিশ্রণ ঘটিয়ে ফেলতেন।

কিন্তু বাইহাকী "আল-মারিফাহ" গ্রন্থে বলেন যেমনটি “নাসবুর রায়া” গ্রন্থে এসেছেঃ হাদীসটির আনাস (রাঃ) হতে কতিপয় শাহেদ বর্ণিত হয়েছে সেগুলোকে "আস-সুনান" গ্রন্থে উল্লেখ করেছি।

আমি (আলবানী) বলছিঃ সে শাহেদগুলোর দিকে দৃষ্টি দেয়া উচিত, এ দৃষ্টিকোণ থেকে যে, সেগুলো কি শাহেদ হওয়ার উপযুক্ত নাকি উপযুক্ত নয়। আসলে দুটি শাহেদ বর্ণিত হয়েছেঃ

১। একটিকে ইসমাঈল ইবনু মুসলিম মাক্কী ও আমর ইবনু ওবায়েদ বর্ণনা করেছেন হাসান হতে, আর তিনি আনাস (রাঃ) হতে তিনি বলেনঃ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আবু বাকুর (রাঃ), উমার (রাঃ) ও উসমান (রাঃ) (আমার ধারণা তিনি চতুৰ্থজনের নম উল্লেখ করেন) কুনূত পাঠ করা অবস্থায় দুনিয়া থেকে বিদায় গ্রহণ করেন।

হাদীসটি দারাকুতনী ও বাইহাকী বর্ণনা করে বলেছেনঃ আমরা ইসমাঈল মাক্কী এবং আমর ইবনু ওবায়েদ দ্বারা দলীল গ্রহণ করিনা।

আমি (আলবানী) বলছিঃ ইসমাঈল হাদীসের ক্ষেত্রে দুর্বল। আল-খাতীব "আল-কিফায়াহ" গ্রন্থে (৩৭২) বলেনঃ তিনি মাতরূকুল হাদীস। অনুরূপ কথা নাসাঈও বলেছেন। তাকে একদল মুহাদ্দিস ত্যাগ করেছেন। আর অপর বর্ণনাকারী আমর মু’তাযিলা হওয়া সত্ত্বেও তিনি মিথ্যা বর্ণনা করার দোষে দোষী। আর হাসান বাসরী সম্মানিত ব্যক্তি হওয়া সত্ত্বেও তিনি মুদাল্লিস বর্ণনাকারী, আন আন করে বর্ণনা করেছেন। তার নিকট পর্যন্ত সনদ যদি সহীহও হয় তবুও তার দ্বারা দলীল গ্রহণ করা যায় না। অতএব যখন তার নিকট থেকে দু’জন মাতরূক বর্ণনাকারী হাদীসটি বর্ণনা করছেন তখন কিভাবে এ হাদীস গ্রহণযোগ্য হতে পারে?

২। এটি খুলাইদ ইবনু দালাজ কাতাদা হতে, তিনি আনাস ইবনু মালেক (রাঃ) হতে বর্ণনা করে বলেছেনঃ

“আমি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পেছনে সালাত আদায় করেছি, তিনি কুনূত পাঠ করেন। উমার (রাঃ)-এর পেছনে সালাত আদায় করেছি তিনিও কুনূত পাঠ করেন। উসমান (রাঃ)-এর পেছনে সালাত আদায় করেছি তিনিও কুনূত পাঠ করেন।” এটিকে বাইহাকী শাহেদ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। আর তুরকুমানী তার সমালোচনা করে বলেছেনঃ খুলাইদের ব্যাপারে দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন, তার সাক্ষীমূলক বর্ণন গ্রহণ করা যাবে কি যাবে না। কারণ আহমাদ ইবনু হাম্বাল, ইবনু মাঈন ও দারাকুতনী তাকে দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। ইবনু মাঈন একবার বলেনঃ তিনি কিছুই না। নাসাঈ বলেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্য নন। “আল-মীযান” গ্রন্থে এসেছেঃ তাকে দারাকুতনী মাতুরূকদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন।

এ ছাড়া আশ্চর্যের ব্যাপার এই যে, এখানে আলোচ্য হাদীসের ভাষা আর খুলাইদ কর্তৃক বর্ণনাকৃত হাদীসের ভাষা এক নয়। কারণ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুনূত পাঠ করেছেন এটি জানা বিষয়। আশ্চর্যের ব্যাপার এই যে, তিনি অব্যাহতভাবে কুনূত পাঠ করা অবস্থায় দুনিয়া ত্যাগ করেন। যদি ধরে নিই যে, বর্ণনাকারী খুলাইদ দ্বারা শাহেদ গ্রহণ করা যায় তাহলে কিভাবে তার হাদীসের ভাষা আনাস (রাঃ)-এর হাদীসের ভাষার শাহেদ হতে পারে?

আমি (আলবানী) বলছিঃ হাদীসটির আরেকটি শাহেদ রয়েছে, যেটিকে আনাস (রাঃ)-এর খাদেম দীনার ইবনু আদিল্লাহ আনাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ধারাবাহিকভাবে সকালের সালাতে কুনুত পাঠ করা অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন।

খাতীব তার “কিতাবুল কুনূত” গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। এ কারণে ইবনুল জাওযী তাকে তিরস্কার করেছেন। কারণ এ বর্ণনাকারী দীনার সম্পর্কে ইবনু হিব্বান বলেনঃ তিনি আনাস (রাঃ) হতে বানোয়াট হাদীস বর্ণনা করেছেন। সেগুলোকে কোন কিতাবে উল্লেখ করাই উচিত নয়, তবে সমালোচনা করার উদ্দেশ্যে উল্লেখ করলে তা ভিন্ন কথা।

আল্লামাহ আব্দুর রহমান আল-মুয়াল্লেমী তার "আত-তানকীল" গ্রন্থে খতীব বাগদাদীর পক্ষ অবলম্বন করে হাদীসটিকে সাব্যস্ত করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তার এ সিদ্ধান্ত সঠিক নয়। [বিস্তারিত জানতে দেখুন মূল গ্রন্থের ব্যাখ্যা, অনুবাদক।]

এ ছাড়া আলোচ্য হাদীসটি মুনকার হওয়ার কারণ এই যে, এটি দু’টি সাব্যস্ত হওয়া সহীহ হাদীস বিরোধীঃ

১। আনাস (রাঃ) হতেই বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোন সম্প্রদায়ের স্বপক্ষে অথবা কোন সম্প্রদায়ের বিপক্ষে দু’আ করতেন শুধুমাত্র তখনই কুনূত পড়তেন। এ হাদীসটি খাতীব বাগদাদী নিজেই “আল-কুনূত” গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।

২। আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেনঃ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকালের সালাতে শুধুমাত্র কোন সম্প্রদায়ের স্বপক্ষে অথবা কোন সম্প্রদায়ের বিপক্ষে দু’আ করতে চাইলেই কুনুত পাঠ করতেন। যায়লাঈ হানাকী “নাসবুর রায়া” গ্রন্থে (২/১৩০) বলেনঃ হাদীসটি ইবনু হিব্বান ইবরাহীম ইবনু সা’দ হতে, তিনি সাঈদ ও আবু সালামাহ হতে তার থেকে বর্ণনা করেছেন।

"আত-তানকীহ" গ্রন্থের লেখক বলেনঃ এ দু’টি হাদীসের সনদ সহীহ এবং হাদীস দুটি সুস্পষ্ট প্রমাণ বহন করে যে, কুনূত শুধুমাত্র বিপদাপদ নাযিল হলেই পাঠ করা হয়।

হাফিয ইবনু হাজার "আদ-দেরায়া" গ্রন্থে (পৃঃ ১১৭) হাদীস দু’টি উল্লেখ করার পর বলেছেনঃ উভয়টির সনদ সহীহ।

ما زال رسول الله صلى الله عليه وسلم يقنت في صلاة الغداة حتى فارق الدنيا منكر - أخرجه عبد الرزاق في " المصنف " (3/110/4964) وابن أبي شيبة (2/312) - مختصرا - والطحاوي في " شرح المعاني " (1/143) والدارقطني (ص 178) والحاكم في " الأربعين " وعنه البيهقي (2/201) وكذا البغوي في " شرح السنة " (3/123/639) وابن الجوزي في " الواهية " (1/444 - 445) وأحمد (3/162) من طريق أبي جعفر الرازي عن الربيع بن أنس قال " كنت جالسا عند أنس بن مالك، فقيل له: إنما قنت رسول الله شهرا، فقال " فذكره. وقال البغوي " قال الحاكم: إسناده حسن وقال البيهقي " قال أبو عبد الله: هذا إسناد صحيح سنده، ثقة رواته، والربيع بن أنس تابعي معروف.. " وأقره وتعقبه ابن التركماني بقوله " كيف يكون سنده صحيحا وراويه عن الربيع أبو جعفر عيسى بن ماهان الرازي متكلم فيه، قال ابن حنبل والنسائي: ليس بالقوي، وقال أبو زرعة: يهم كثيرا وقال أبو زرعة: يهم كثيرا، وقال الفلاس: سييء الحفظ، وقال ابن حبان يحدث بالمناكير عن المشاهير وقال ابن القيم في " زاد المعاد " (1/99) " فأبو جعفر قد ضعفه أحمد وغيره، وقال ابن المديني: كان يخلط. وقال أبو زرعة: كان يهم كثيرا.. وقال لي شيخنا ابن تيمية قدس الله روحه: وهذا الإسناد نفسه هو إسناد حديث: " وإذ أخذ ربك من بني آدم من ظهو رهم " حديث أبي بن كعب الطويل، وفيه: وكان روح عيسى عليه السلام من تلك الأرواح التي أخذ عليها العهد والميثاق في زمن آدم، فأرسل تلك الروح إلى مريم عليها السلام حين انتبذت من أهلها مكانا شرقيا فأرسله الله في صورة بشر فتمثل لها بشرا سويا، قال: فحملت الذي يخاطبها فدخل من فيها. وهذا غلط محض، فإن الذي أرسل إليها الملك الذي قال لها: " إنما أنا رسول ربك لأهب لك غلاما زكيا ". ولم يكن الذي خاطبها بهذا هو عيسى ابن مريم، هذا محال. والمقصود أن أبا جعفر صاحب مناكير لا يحتج بما تفرد به أحد من أهل الحديث البتة وقال الحافظ ابن حجر في " التقريب صدوق سييء الحفظ الحفظ خصوصا عن مغيرة وقال الزيلعي في " نصب الراية " (2/132) بعد أن خرج الحديث " وضعفه ابن الجوزي في " التحقيق "، وفي " العلل المتناهية " وقال هذا حديث لا يصح، فإن أبا جعفر الرازي واسمه عيسى بن ماهان قال ابن المديني كان يخلط لكن قال البيهقي في " المعرفة " كما في " الزيلعي " وله شواهد عن أنس ذكرناها في (السنن) قلت: فوجب النظر في الشواهد المشار إليها هل هي صالحة للاستشهاد بها أم لا؟ وهما شاهدان الأول: يرويه إسماعيل بن مسلم المكي وعمرو بن عبيد عن الحسن عن أنس قال " قنت رسول الله صلى الله عليه وسلم وأبو بكر وعمر وعثمان رضي الله عنهم - وأحسبه قال: رابع - حتى فارقتهم أخرجه الدارقطني والبيهقي وقال: لا نحتج بإسماعيل المكي ولا بعمرو بن عبيد قلت: إسماعيل ضعيف الحديث، وقال الخطيب في " الكفاية " (372) : " متروك الحديث ". وكذلك قال النسائي، وتركه جماعة. وعمرو متهم بالكذب مع كونه من المعتزلة، ثم إن الحسن البصري مع جلالته، فهو مدلس وقد عنعنه. فلو صح السند إليه فلا يحتج به، فكيف وقد رواه عنه متروكان؟ الثاني: يرويه خليد بن دعلج عن قتادة عن أنس بن مالك قال " صليت خلف رسول الله صلى الله عليه وسلم فقنت، وخلف عمر فقنت، وخلف عثمان فقنت أخرجه البيهقي شاهدا، وتعقبه ابن التركماني بقوله " قلت: يحتاج أن ينظر في أمر خليد هل يصلح أن يستشهد به أم لا؟ فإن ابن حنبل وابن معين والدارقطني ضعفوه. وقال ابن معين مرة: ليس بشيء. وقال النسائي : ليس بثقة. وفي " الميزان ": عده الدارقطني من المتروكين ثم إن المستغرب من حديث الترجمة قوله: " ما زال يقنت في صلاة الغداة حتى فارق الدنيا ". وليس ذلك في حديث خليد، وغنما فيه أنه عليه السلام قنت، وذلك معروف، وإنما المستغرب دوامه حتى فارق الدنيا. فعلى تقدير صلاحية خليد للاستشهاد به كيف يشهد حديثه لحديث أنس؟ قلت: وللحديث شاهد آخر، يرويه دينار بن عبد الله خادم أنس عن أنس قال " ما زال رسول الله صلى الله عليه وسلم يقنت في صلاة الصبح حتى مات أخرجه الخطيب في " كتاب القنوت " له، وشنع عليه ابن الجوزي بسببه لأن دينارا هذا قال ابن حبان فيه: " يروي عن أنس آثارا موضوعة لا يحل في الكتب إلا على سبيل القدح فيه وقد دافع عن الخطيب العلامة عبد الرحمن المعلمي في كتابه " التنكيل " في فصل خاص عقده لذلك، دافع فيه عن رواية الخطيب لهذا الحديث ونحوه من أوجه سبعة بينها. ولكنه رحمه الله مال إلى تقوية الحديث فقال عقب الشاهد المذكور " فقد ورد من وجهين آخرين أوأكثر عن أنس، صحح بعض الحفاظ بعضها، وجاء نحو معناه من وجوه أخرى، راجع " سنن الدارقطني " و" سنن البيهقي "، وبمجموع ذلك يقوى الحديث فأقول: قد استقصينا في هذا التحقيق جميع الوجوه المشار إليها وهي كلها واهية جدا، سوى الوجه الأول، فإنه ضعيف فقط، ولكنه منكر لما سيأتي بيانه والوجه الثاني: فيه إسماعيل بن مسلم المكي وعمرو بن عبيد المعتزلي وهما متروكان والوجه الثالث: فيه خليد بن دعلج، وهو ضعيف على أن حديثه شاهد قاصر لأنه لم يقل فيه: " قنت في الفجر حتى فارق الدنيا والوجه الرابع: فيه دينار بن عبد الله، وهو متهم كما عرفت ذلك من عبارة ابن حبان السابقة، وقد أقره الشيخ المعلمي رحمه الله، فمع هذا الضعف الشديد في كل هؤلاء الرواة على التفصيل المذكور كيف يصح أن يقال: " وبمجموع ذلك يقوى الحديث "؟ وظني أنه إنما حمله على هذا التساهل في تقوية هذا الحديث المنكر، إنما هو تحمسه الشديد في الرد على ابن الجوزي، والدفاع عن الخطيب والبغدادي، وكان يكفيه في ذلك أن يذكر ما هو معلوم عنده أن المحدث إذا ساق الحديث بسنده فقد برئت عهدته منه، ولا لوم عليه في ذلك حتى ولوكان موضوعا، وابن الجوزي الذي له كتاب " الموضوعات " هو نفسه قد يفعل ذلك في بعض مصنفاته، مثل كتابه تلبيس إبليس "، بل رأيته ذكر في غيره ما لا أصل له من الحديث، وبدون إسناد مثل حديث " صلاة النهار عجماء ". ذكره في " صيد الخاطر " كما نبهت عليه في التخريج المختصر له الملحق بآخره وأما أن الحديث منكر، فلأنه معارض لحديثين ثابتين أحدهما: عن أنس نفسه: " أن النبي صلى الله عليه وسلم كان لا يقنت إلا إذا دعى لقوم أودعى على قوم أخرجه الخطيب نفسه في كتابه " القنوت " من طريق محمد بن عبد الله الأنصاري حدثنا سعيد بن أبي عروبة عن قتادة عنه والآخر: عن أبي هريرة قال " كان رسول الله صلى الله عليه وسلم لا يقنت في صلاة الصبح إلا أن يدعولقوم أوعلى قوم قال الزيلعي (2/130) : أخرجه ابن حبان عن إبراهيم بن سعد عن سعيد وأبي سلمة عنه. قال صاحب " التنقيح ": وسند هذين الحديثين صحيح، وهما نص في أن القنوت مختص بالنازلة وحديث أنس عزاه الحافظ في " التلخيص " (1/245) لابن خزيمة في " صحيحه " من طريق سعيد به. وحديث ابن حبان لم يورده الهيثمي في " موارد الظمآن ". وقال الحافظ في " الدراية " (ص 117) عقب الحديثين وإسناد كل منهما صحيح وقال في " التلخيص " عقب ما سبق ذكره من الأحاديث عن أنس " فاختلفت الأحاديث عن أنس، واضطربت فلا يقوم بمثل هذا حجة يعني حديث أبي جعفر الرازي هذا. ثم قال:" تنبيه : عزا هذا الحديث بعض الأئمة إلى مسلم فوهم، وعزاه النووي إلى المستدرك " للحاكم، وليس هو فيه، وإنما أورده وصححه في جزء له مفرد في القنوت، ونقل البيهقي تصحيحه عن الحاكم، فظن الشيخ أنه في (المستدرك) (فائدة) : جاء في ترجمة أبي الحسن الكرجي الشافعي المتوفى سنة (532) أنه كان لا يقنت في الفجر، ويقول: " لم يصح في ذلك حديث قلت: وهذا مما يدل على علمه وإنصافه رحمه الله تعالى، وأنه ممن عافاهم الله عز وجل من آفة التعصب المذهبي، جعلنا الله منهم بمنه وكرمه


হাদিসের মানঃ মুনকার (সহীহ হাদীসের বিপরীত)
পুনঃনিরীক্ষণঃ