পরিচ্ছেদঃ
১২২১। সালাত সমূহের মধ্য থেকে জুম’আর দিনে জামায়াতের সাথে ফজরের সালাতের চেয়ে উত্তম আর কোন সালাত নেই। তোমাদের মধ্য থেকে যে ব্যক্তিই সে সালাতে উপস্থিত হবে আমি মনে করি তাকে (অবশ্যই) ক্ষমা করে দেয়া হবে।
হাদীসটি খুবই দুর্বল।
হাদীসটি বাযযার (৬২১ কাশফুল আসতার) ও ত্ববারানী "আল-মুজামুল কাবীর" গ্রন্থে (৩৬৬) এবং “আওসাত” গ্রন্থে (১৮৬) ওবায়দুল্লাহ ইবনু যাহার হতে, তিনি আলী ইবনু ইয়াযীদ হতে, তিনি কাসেম হতে, তিনি আবূ উমামাহ হতে, তিনি আবু ওবায়দাহ ইবনুল জাররাহ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেনঃ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ...।
ত্ববারানী বলেনঃ আবু ওবায়দাহ থেকে শুধুমাত্র এ সনদেই বর্ণনা করা হয়ে থাকে।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি খুবই দুর্বল। ধারাবাহিকভাবে এর মধ্যে দুর্বল বর্ণনাকারীদের সমাবেশ ঘটেছে। দারাকুতনী বলেনঃ ওবায়দুল্লাহ ইবনু যাহার শক্তিশালী নন আর তার শাইখ আলী মাতরূক।
ইবনু হিব্বান বলেনঃ ওবায়দুল্লাহ নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারীদের থেকে বানোয়াট হাদীস বর্ণনা করেন। আর তিনি যখন আলী ইবনু ইয়াযীদ হতে বর্ণনা করেছেন তখন মহা বিপদ নিয়ে এসেছেন। যখন কোন হাদীসের সনদের মধ্যে ওবায়দুল্লাহ, আলী ইবনু ইয়াযীদ এবং কাসেম আবু আবদির রহমান একত্রিত হবেন তখন জানতে হবে যে সে হাদীসটিকে তারাই বানিয়েছে।
হায়সামী "আল-মাজমা" গ্রন্থে (২/১৬৮) বলেনঃ হাদীসটি বায্যার ও ত্ববারানী “আল-মুজামুল কাবীর” ও “আওসাত” গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। তারা সকলেই ওবায়দুল্লাহ ইবনু যাহার সূত্রে আলী ইবনু ইয়াযীদ হতে বর্ণনা করেছেন। আর এরা উভয়েই দুর্বল।
হাদীসটিকে আব্দুল হক তার "আহকাম" গ্রন্থে “মুসনাদুল বায্যার” গ্রন্থের বর্ণনায় উল্লেখ করে হাদীসটিকে শুধুমাত্র বর্ণনাকারী আলী ইবনু ইয়াযীদের দ্বারাই দুর্বল হওয়ার দিকে ইঙ্গিত করেছেন। এটি তার থেকে ক্রটি।
কিন্তু হাদীসটি আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) হতে অন্য সহীহ সনদে শেষাংশ وما أحسب من ব্যতীত বর্ণিত হয়েছে। সেটিকে আমি "সিলসিলাহ সহীহাহ” গ্রন্থে (১৫৬৬) উল্লেখ করেছি। অতএব উল্লেখিত শেষাংশ সহকারে হাদীসটি মুনকার।
(সহীহ সনদের হাদীসটির ভাষায় রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃافضل الصلوات عند الله صلاة الصبح يوم الجمعة فى جماعة "জুমু’আর দিনে জামা’য়াতের সাথে ফজরের সালাত আদায় করা আল্লাহর নিকট সর্বোত্তম সালাত।" (সিলসিলাহ সহীহাহ (১৫৬৬)।
ما من الصلوات صلاة أفضل من صلاة الفجر يوم الجمعة في الجماعة، وما أحسب من شهدها منكم إلا مغفورا له ضعيف جدا - أخرجه البزار (621 - كشف الأستار) والطبراني في " المعجم الكبير " (رقم -366) وفي " الأوسط " (رقم 186) من طريق عبيد الله بن زحر عن علي بن يزيد عن القاسم عن أبي أمامة عن أبي عبيد الله بن الجراح، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: فذكره. وقال الطبراني: لا يروى عن أبي عبيدة إلا بهذا الإسناد قلت: وهو ضعيف جدا مسلسل بالضعفاء. قال الدارقطني: عبيد الله بن زحر ليس بالقوي، وشيخه علي متروك وقال ابن حبان: يروي الموضوعات عن الأثبات، وإذا روى عن علي بن يزيد أتى بالطامات، وإذا اجتمع في إسناد خبر عبيد الله وعلي بن يزيد والقاسم أبو عبد الرحمن لم يكن ذلك الخبر إلا مما عملته أيديهم وقال الهيثمي في " المجمع " (2/168) : رواه البزار والطبراني في " الكبير " و" الأوسط " كلهم من رواية عبيد الله ابن زحر عن علي بن يزيد وهما ضعيفان والحديث أورده عبد الحق في " أحكامه " برواية " مسند البزار " بنحوه، وأشار إلى تضعيفه بعلي بن يزيد وحده، وهو قصور، كما يدل عليه قول الهيثمي المذكور، والدارقطني المشهور لكن قد جاء الحديث بإسناد آخر صحيح عن ابن عمر، دون قوله: " وما أحسب وهو مخرج في " الصحيحة " (1566) فهو بهذه الزيادة منكر. والله أعلم