পরিচ্ছেদঃ
১২১৮। তোমরা মানুষের নিকট আল্লাহর ভালোবাসাকে প্রকাশ কর তাহলে আল্লাহ্ তোমাদেরকে ভালোবাসবেন।
হাদীসটি দুর্বল।
হাদীসটি খালেদ ইবনু মিরদাস তার “হাদীস” গ্রন্থে (১/৩০) ইসমাঈল ইবনু আইয়্যাশ হতে, তিনি সাফওয়ান ইবনু আমর হতে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু বুসর ইয়াহসাবী হতে, তিনি বলেনঃ আমি আবূ উমামাহ বাহেলীকে বলতে শুনেছিঃ তিনি তার থেকে হাদীসটিকে মওকুফ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। আর ইবনু মিরদাস সূত্রে হাদীসটি ইবনু আসাকির (৮/১৫১/২) বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ হাদীসটির মওকুফ হিসেবে সনদটি হাসান বরং সহীহ। কারণ ইবনু আইয়্যাশ শামীদের থেকে হাদীস বর্ণনা করলে তার হাদীস সহীহ আর তার এ হাদীস তাদের থেকেই বর্ণনাকৃত। আর ইবনু মিরদাসকে খাতীব (৮/৩০৭) নির্ভরযোগ্য আখ্যা দিয়েছেন এবং তিনি হাদীসটিকে মওকুফ হিসেবেই বর্ণনা করেছেন এবং মওকুফ হওয়াই সহীহ।
আর তার বিরোধিতা করে আব্দুল ওয়াহাব ইবনুয যুহহাক হাদীসটি ইবনু আইয়্যাশ হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এ আব্দুল ওয়াহাব মিথ্যুক যেমনটি আবু হাতিম প্রমুখ বলেছেন। তার সূত্রেই ত্ববারানী “আল-মুজামুল কাবীর” গ্রন্থে এবং যিয়া আল-মাকদেসী "আল-মুখতারাহ" গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন, যেমনটি “ফায়যুল কাদীর” গ্রন্থে এসেছে। অতঃপর তিনি সুয়ুতীর সমালোচনা করে বলেছেনঃ এর সনদে আব্দুল ওয়াহাব ইবনুয যুহহাক হিমসী রয়েছেন, তার সম্পর্কে হাফিয যাহাবী “আল-মীযান” গ্রন্থে বলেনঃ তাকে আবু হাতিম মিথ্যুক আখ্যা দিয়েছেন। নাসাঈ প্রমুখ বলেনঃ তিনি মাতরূক। দারাকুতনী বলেনঃ তিনি মুনকারুল হাদীস। ইমাম বুখারী বলেনঃ তার নিকট আশ্চর্যজনক বহু কিছু রয়েছে, অতঃপর তিনি তার কতিপয় অস্পষ্ট (অপরিচিত) হাদীস উল্লেখ করেছেন এটি সেগুলোর একটি।
তবে ত্ববারানীর অন্য সূত্রে আব্দুল ওয়াহাব ইবনুয যুহহাকের মুতাবা’য়াত করেছেন আব্দুল ওয়াহাব ইবনু নাজদাহ হুতী। কিন্তু এ সনদে বাকিয়াহ ইবনুল ওয়ালীদ রয়েছেন, তিনি মুদাল্লিস, আন আন করে বর্ণনা করেছেন। অতএব এ সনদের সমস্যা হচ্ছে বাকিয়্যাহ। কিন্তু মানবী আব্দুল ওয়াহাব ইবনুয যুহহাকের মুতাবা’য়াতকারীর দিকে দৃষ্টি না দিয়ে ইবনুয যুহহাক দ্বারাই হাদীসটির সমস্যা বর্ণনা করেছেন।
حببوا الله إلى الناس يحببكم الله ضعيف - رواه خالد بن مرداس في " حديثه " (30/1) : حدثنا إسماعيل بن عياش عن صفوان بن عمرو عن عبد الله بن بسر اليحصبي قال: سمعت أبا أمامة الباهلي يقول: فذكره موقوفا عليه. ومن طريق ابن مرداس رواه ابن عساكر (8/151/2) قلت: وهذا سند موقوف حسن بل صحيح، فإن ابن عياش صحيح الحديث إذا روى عن الشاميين وهذا الحديث عنهم وابن مرداس وثقه الخطيب (8/307) وقد أوقف الحديث وهو الصحيح. وخالفه عبد الوهاب بن الضحاك فرواه عن ابن عياش به مرفوعا. لكن عبد الوهاب هذا كذاب كما قال أبو حاتم وغيره، ومن طريقه رواه الطبراني في " الكبير " والضياء المقدسي في " المختارة " كما في " فيض القدير " فقد قال متعقبا على السيوطي: وفيه عبد الوهاب بن الضحاك الحمصي، قال في " الميزان ": كذبه أبو حاتم، وقال النسائي وغيره: متروك، وقال الدارقطني: منكر الحديث، والبخاري: عنده عجائب، ثم أورد له أوابد ها منها ثم وقفت على إسناد الطبراني فتبين لي أن عبد الوهاب متابع، قال الطبراني: " حدثنا أحمد بن عبد الوهاب بن نجدة الحوطي: حدثنا أبي (ح) : وحدثنا إبراهيم ابن محمد بن عرق: حدثنا عبد الوهاب بن الضحاك قالا: حدثنا بقية عن صفوان بن عمرو به مرفوعا كذا وجدته في جزء فيه أحاديث منقولة عن " معجم الطبراني الكبير " مع أسانيدها في " المجموع " (6) . ثم رأيته هكذا في " المعجم " نفسه (7461) . ثم ساقه عقبه (7462) بإسناد آخر له عن بقية به وعبد الوهاب بن نجدة ثقة، فبرئت عهدة ابن الضحاك منه، وتبين أن العلة من بقية وهو ابن الوليد، فإنه مدلس وقد عنعنه، وأن تعصيب المناوي العلة بعبد الوهاب غفلة منه عمن تابعه