পরিচ্ছেদঃ
১২১৬। ইবরাহীম (আঃ)-কে যখন আগুনে নিক্ষেপ করা হয়েছিল, তখন তিনি বলেছিলেনঃ হে আল্লাহ্ তুমি আসমানে একা আর আমি যমীনে একা রয়েছি আমি তোমারই এবাদাত করছি।
হাদীসটি দুর্বল।
হাদীসটি আবু ইয়ালা ও বাযযার (৩/১০৩/২৩৪৯) আবু হিশাম হতে, তিনি ইসহাক ইবনু সুলাইমান হতে, তিনি আবু জাফার হতে, তিনি আসেম হতে, তিনি আবূ সালেহ হতে, তিনি আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে মারফূ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
এ সূত্রেই দারেমী "আর-রাদ্দু আলাল জাহমিয়াহ" গ্রন্থে (৭৫), আবু নুয়াইম "আল-হিলইয়্যাহ" গ্রন্থে (১/১৯) ও আল-খাতীব তার "তারীখ" গ্রন্থে (১০/৩৪৬) বর্ণনা করেছেন।
হাদীসটিকে হাফিয যাহাবী আবু হিশাম মুহাম্মাদ ইবনু ইয়াযীদ রিফা’ঈ কূফীর জীবনী আলোচনা করতে গিয়ে তার সম্পর্কে আলেমগণের মতভেদ উল্লেখ করে তাকে "গরীব জিদ্দান" বলে দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। আর তিনি তার "আল-উলুব্বু লিল আলিইল গাফফার" গ্রন্থে (পৃঃ ৭) বলেছেনঃ হাদীসটির সনদ হাসান। অনুরূপ কথা “আল-আরবাউন” গ্রন্থেও (১/১৭৮) বলেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ বরং তিনি দুর্বল। যেমনটি তিনি তার প্রথম মতে বলেছেন। কারণ এর সনদে দু’টি সমস্যা রয়েছেঃ
১। বর্ণনাকারী আবু জাফার, তিনি হচ্ছেন ঈসা ইবনু আবী ঈসা আবদিল্লাহ ইবনু মাহান। হাফিয ইবনু হাজার তার সম্পর্কে বলেনঃ তিনি সত্যবাদী, তবে মন্দ হেফযের অধিকারী।
২। আর আবু হিশাম (মুহাম্মাদ ইবনু ইয়াযীদ রিফা’ঈ) সম্পর্কে হাফিয ইবনু হাজার বলেনঃ তিনি শক্তিশালী নন। তার সম্পর্কে ইমাম বুখারী বলেনঃ আমি তাদেরকে (মুহাদ্দিসগণকে) দেখেছি তার দুর্বল হওয়ার ব্যাপারে তারা ঐকমত্য পোষণ করেছেন।
হাদিসটিকে ইবনু কাসীর তার "তাফসীর" গ্রন্থে আবূ ইয়ালার সনদে উল্লেখ করে চুপ থেকেছেন। আর তার এ চুপ থাকাকে কেউ কেউ তার নিকট হাদীসটি সহীহ এরূপ ধারণা করে বসেছেন। অথচ বিষয়টি আসলে সেরূপ নয়।
সতর্কবাণীঃ হায়সামী (৮/২০২) দাবী করেছেন যে, বর্ণনাকারী আসেম হচ্ছেন ইবনু উমার ইবনে হাফস এবং তিনি তার দ্বারাই হাদীসটির সমস্যা বর্ণনা করেছেন। কিন্তু আসলে তা নয় বরং তিনি হচ্ছেন আসেম ইবনু আবিন নুজুদ যেমনটি দারেমীর বর্ণনায় স্পষ্টভাবে এসেছে। কারণ এ ইবনু আবিন নুজুমই আবু সালেহ হতে বর্ণনাকারী হিসেবে প্রসিদ্ধ আর ইবনু আবিন নুজুম থেকে আবু জাফার রাযী বর্ণনা করেছেন।
لما ألقي إبراهيم في النار، قال: اللهم إنك في السماء واحد، وأنا في الأرض واحد أعبدك ضعيف - أخرجه أبو يعلى والبزار (3/103/2349 - كشف الأستار) قالا: حدثنا أبو هشام: حدثنا إسحاق بن سليمان عن أبي جعفر عن عاصم عن أبي صالح عن أبي هريرة قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: فذكره ومن هذا الوجه أخرجه الدارمي في " الرد على الجهمية " (75) وأبو نعيم في " الحلية " (1/19) والخطيب في " تاريخه " (10/346) وأخرجه الذهبي في ترجمة أبي هشام واسمه محمد بن يزيد الرفاعي الكوفي - وذكر اختلاف العلماء فيه - من طريق الحسن بن سفيان: حدثنا محمد بن يزيد الرفاعي به ثم ضعفه بقوله: غريب جدا وقال في " العلو للعلي الغفار " (ص 7) (1) : حديث حسن الإسناد وكذا قال في " الأربعين " له (178/1) وأقول: بل هو ضعيف، كما أفاده قوله الأول، لأن فيه علتين الأولى: أبو جعفر وهو عيسى بن أبي عيسى عبد الله بن ماهان. قال الحافظ: صدوق سيىء الحفظ الثانية: أبو هشام هذا قال الحافظ: ليس بالقوي، قال البخاري: رأيتهم مجمعين على ضعفه والحديث ذكره ابن كثير في " التفسير " بإسناد أبي يعلى ساكتا عليه، فظن بعض الجهلة أن سكوته يعني أنه صحيح عنده وليس كذلك كما كنت بينته في مقدمة المجلد الرابع من " الصحيحة "، فقد أورده الشيخ نسيب الرفاعي في " مختصر تفسير ابن كثير " (3/50) وتبعه بلديه الصابوني فأورده في " مختصره " أيضا (2/514) وقد زعما كلاهما أنهما التزاما في كتابيهما أن لا يذكرا إلا الأحاديث الصحيحة، وكذبا - والله - فإنهما لم يفعلا، ولا يستطيعان ذلك، لأنهما لم يدرسا هذا العلم مطلقا، بل وليس بإمكانهما أن يرجعا في ذلك إلى كتب أهل العلم وإلا لاعتمدا عليهم في ما ادعياه من التصحيح، ولذلك ركبا رأسيهما، وجاءا ببلايا وطامات لم يسبقا إليها. والله المستعان تنبيه : ادعى الهيثمي (8/202) أن عاصما هذا هو ابن عمر بن حفص، وأعل الحديث به، وإنما هو عاصم بن أبي النجود، كما جاء مصرحا في رواية الدارمي، فإنه هو المعروف بالرواية عن أبي صالح، وعنه أبو جعفر الرازي