পরিচ্ছেদঃ
১২১৪ । হে লোকেরা! তোমাদের কেউ যেন আল্লাহর সাথে ধোকাবাজি করার চেষ্টা না করে। কারণ, আল্লাহ্ তা’আলা যদি কোন কিছু থেকে অমনোযোগী হতেন তাহলে তিনি মশা, রাই ও অতি ক্ষুদ্র বস্তু (বিন্দু, কণা) থেকে বেখিয়াল হতেন।
হাদীসটি খুবই দুর্বল।
হাদীসটি ইবনু আবী হাতিম আবু উমার হাওযী হাফস ইবনু উমার হতে, তিনি আবু উমাইয়্যাহ ইবনু ইলা সাকাকী হতে, তিনি সাঈদ ইবনু আবী সাঈদ হতে, তিনি আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
অনুরূপভাবে “তাফসীর ইবনে কাসীর” গ্রন্থে (৩/৩৭৯) হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এর সনদ খুবই দুর্বল। সনদটির দুর্বলতা বিদ্বানদের নিকট স্পষ্ট হওয়ার কারণে ইবনু কাসীর কোন কিছু না বলে চুপ থেকেছেন। হাদীসটির সনদে দু’টি সমস্যা রয়েছেঃ
১। এ আবু উমাইয়্যার নাম হচ্ছে ইসমাঈল, হাফিয যাহাবী "আয-যুয়াফা" গ্রন্থে বলেনঃ তিনি বাসরী। তিনি মাতরূক।
২। ইবনু আবী হাতিম আর বর্ণনাকারী হাওযীর মধ্যে বিচ্ছিন্নতা রয়েছে।
এতো সব কিছু সত্ত্বেও হাদীসটিকে রেফাঈ তার "আল-মুখতাসার" গ্রন্থে (৩/২৫৬) উল্লেখ করেছেন। অথচ তিনি তার ভূমিকার মধ্যে উল্লেখ করেছেন যে, তিনি এর মধ্যে সহীহ হাদীসগুলোকেই গ্রহণ করেছেন!
يا أيها الناس لا يغترن أحدكم بالله، فإن الله لوكان غافلا شيئا لأغفل البعوضة، والخردلة، والذرة ضعيف جدا - أخرجه ابن أبي حاتم قال: ذكر عن أبي عمر الحوضي حفص بن عمر: حدثنا أبو أمية ابن يعلى الثقفي: حدثنا سعيد بن أبي سعيد: سمعت أبا هريرة يقول: فذكره مرفوعا كذا في " تفسير ابن كثير " (3/379) قلت: وهذا إسناد ضعيف جدا، وإنما سكت عنه ابن كثير لظهو ر ضعفه لأهل العلم، وله علتان الأولى: أبو أمية هذا واسمه إسماعيل قال الذهبي في " الضعفاء ": بصري متروك والأخرى: الانقطاع بين ابن أبي حاتم والحوضي ومع كل هذا أورده الرفاعي في " مختصره " (3/256) الذي زعم في مقدمته أنه التزم فيه الأحاديث الصحيحة! وههيات أن يستطيع ذلك، لأن فاقد الشيء لا يعطيه.المستعان