হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
১১৬০

পরিচ্ছেদঃ

১১৬০। আল্লাহ্ রব্বুল আলামীন সেই শাসকের সালাত কবুল করবেন না যে আল্লাহ্‌র নাযিলকৃত বিধান বাদ দিয়ে অন্য কিছুর দ্বারা ফয়সালা প্রদান করবে।

হাদিসটি খুবই দুর্বল।

হাদীসটি ওকায়লী “আয-যুয়াফা” গ্রন্থে (২২০), বাগেন্দী “মুসনাদু উমর” গ্রন্থে (পৃঃ ১২০) এবং তার থেকে আল-মাকদেসী "আল-মুখতারাহ" গ্রন্থে (২/১০৩) ইউনুস ইবনু মূসা কুদাইম হতে, তিনি আল-হাসান ইবনু হাম্মাদ কূফী হতে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু মুহাম্মাদ আল-আদাবী হতে ... বর্ণনা করেছেন।

ওকায়লী বলেনঃ এ হাদীসটি নিরাপদ নয় আর আদাবীর হাদীস সহীহ নয়।

আমি (আলবানী) বলছিঃ ইমাম বুখারী "আয-যুয়াফাউস সাগীর" গ্রন্থে (পৃঃ ২০) বলেনঃ তিনি মুনকারুল হাদীস। অনুরূপ কথা তার “আত-তারীখুস সাগীর” গ্রন্থেও (১৭০) বলেছেন। ওয়াকী’ বলেনঃ তিনি হাদীস জাল করতেন। ইবনু হিব্বান বলেনঃ তার হাদীস দ্বারা দলীল গ্রহণ করা যায় না। হাফিয যাহাবী তাকে উল্লেখ করে তার দুটি হাদীস উল্লেখ করেছেন, এটি সে দু’টোর একটি।

আমি (আলবানী) বলছিঃ মিথ্যুক মুহাম্মদ আল-কুদায়মীর পিতা ইউনুস ইবনু মূসার জীবনী পাচ্ছি না। তবে তিনি এককভাবে হাদীসটি বর্ণনা করেননি। হাকিম “আল-মুস্তাদরাক” গ্রন্থে (৪/৮৯) বলেনঃ আমাকে হাদীসটি আবুন নাযর ফাকীহ ও মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান শামী বর্ণনা করে শুনিয়েছেন। তারা দু’জন বলেনঃ আমাদেরকে হাদীসটি আল-হাসান ইবনু হাম্মাদ কূফী শুনিয়েছেন। অতঃপর হাকিম বলেনঃ হাদীসটির সনদ সহীহ।

কিন্তু হাফিয যাহাবী তার প্রতিবাদ করে বলেছেনঃ হাদীসটির সনদ অন্ধকারাচ্ছন্ন। এর সনদে আব্দুল্লাহ ইবনু মুহাম্মাদ আল-আদাবী রয়েছেন তিনি মিথ্যা বর্ণনা করার দোষে দোষী। তিনি "আয-যুয়াফা" গ্রন্থে বলেনঃ তিনি হাদীস জাল করতেন।

মুনযেরী হাদীসটি ’অত্যাচারী শাসক’ এ শব্দে “আত-তারগীব” গ্রন্থে (৩/১৩৬) হাকিমের বর্ণনার উদ্ধৃতিতে উল্লেখ করে বর্ণনাকারী আদাবীর দ্বারা সমস্যা বর্ণনা করেছেন। অথচ হাকিমের নিকট এখানে উল্লেখকৃত ভাষা ব্যতীত অন্য ভাষায় দেখছি না।

لا يقبل الله صلاة إمام حكم بغير ما أنزل الله عز وجل ضعيف جدا - رواه العقيلي في " الضعفاء " (220) والباغندي في " مسند عمر " (ص 120) وعنه المقدسي في " المختارة " (103/2) عن يونس بن موسى: كديم قال: حدثنا الحسن بن حماد الكوفي قال: حدثنا عبد الله بن محمد العدوي قال: سمعت عمر بن عبد العزيز يقول على المنبر: حدثني عبادة بن عبادة بن عبد الله عن طلحة بن عبد الله مرفوعا وقال العقيلي " حديث غير محفوظ، والعدوي لا يصح حديثه " قلت: قال البخاري في " الضعفاء الصغير " (ص 20) " منكر الحديث " ونحوه في " التاريخ الصغير " له (ص 175) وقال وكيع " يضع الحديث " وقال ابن حبان " لا يجوز الاحتجاج بخبره " ذكره الذهبي وساق له حديثين هذا أحدهما قلت: ويونس بن موسى هو والد محمد الكديمي الكذاب، ولم أجد له ترجمة الآن، إلا أنه لم يتفرد به، فقال الحاكم في " المستدرك " (4/89) " أخبرني أبو النضر الفقيه ومحمد بن الحسن الشامي قالا: حدثنا الحسن بن حماد الكوفي به ". وقال " هذا حديث صحيح الإسناد " ورده الذهبي بقوله " قلت: سنده مظلم، وفيه عبد الله بن محمد العدوي متهم " وقال في " الضعفاء " " كان يضع الحديث " (تنبيه) : أورد المنذري في " الترغيب " (3/136) هذا الحديث من رواية الحاكم بلفظ " إمام جائر ". وأعله بالعدوي ولم أره عند الحاكم إلا باللفظ المذكور أعلاه. فالله أعلم


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ