হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
১১৫৩

পরিচ্ছেদঃ

১১৫৩। হে আল্লাহ্! অবশ্যই তুমি এমন উপাস্য নও যাকে আমরা নতুনভাবে বানিয়েছি আর তুমি এমন প্রতিপালকও নও যাকে নতুনভাবে আবিস্কার করেছি। তোমার পূর্বে আমাদের জন্য এমন কোন উপাস্য ছিল না যে তার নিকটে আমরা আশ্রয় গ্রহণ করব আর তোমাকে ছেড়ে দিব। আমাদেরকে সৃষ্টি করতে তোমাকে কেউ সাহায্য করেনি যে, আমরা তাকে তোমার সাথে অংশীদার বানাবো। তুমি মহান ও পবিত্র এবং সর্বোচ্চ। কা’ব বলেনঃ আল্লাহর নবী দাউদ এরূপই দুআ করতেন।

হাদিসটি বানোয়াট।

হাদীসটি ইমাম ত্ববারানী (৭৩০০), তার থেকে এবং অন্যদের থেকে আবু নুয়াইম "আল-হিলইয়্যাহ" গ্রন্থে (১/১৫৫, ৩৭৩, ৬/৪৭), হাকিম (৩/৪০১) ও ইবনু আসাকির (৫/৩৫৯/১) আমর ইবনুল হুসাইন হতে, তিনি ফুযাইল ইবনু সুলাইমান আন-নুমাইরি হতে, তিনি মূসা ইবনু উকবাহ হতে, তিনি আতা ইবনু আবী মারওয়ান হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি আব্দুর রহমান ইবনু মুগীস হতে ... বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি বানোয়াট। এর সমস্যা হচ্ছে আমর ইবনুল হুসাইন। খাতীব বাগদাদী বলেনঃ তিনি মিথ্যুক। হাফিয যাহাবী "আয-যু’আফা” গ্রন্থে বলেনঃ মুহাদ্দিসগণ তাকে পরিত্যাগ করেছেন। হাফিয ইবনু হাজার “আত-তাকরীব” গ্রন্থে বলেনঃ তিনি মাতরূক। হায়সামী “মাজমাউয যাওয়াইদ” গ্রন্থে (১০/১৭৯) বলেনঃ হাদীসটি ত্ববারানী বর্ণনা করেছেন। এর সনদে আমর ইবনুল হুসাইন ওকায়লী রয়েছেন তিনি মাতরূক। তার থেকে মানবী হাদীসটি বর্ণনা করে তিনি বাড়তি কিছুই বলেননি।

আমি (আলবানী) বলছিঃ তার উপরের বর্ণনাকারীদের মধ্যে তিনটি সমস্যা রয়েছেঃ

১ ফুযাইল ইবনু সুলাইমান আন-নুমাযরীকে হাফিয যাহাবী "আয-যুআফা" গ্রন্থে উল্লেখ করে বলেছেনঃ ইবনু মাঈন তার সম্পর্কে বলেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্য নন। আবু যুর’য়াহ বলেনঃ হাদীসের ক্ষেত্রে তিনি দুর্বল। ইমাম নাসাঈ বলেনঃ তিনি শক্তিশালী নন। আর তাকে ইমাম মুসলিম নির্ভরযোগ্য আখ্যা দিয়েছেন। হাফিয ইবনু হাজার "আত-তাকরীব" গ্রন্থে বলেনঃ তিনি সত্যবাদী, তার বহু ভুল রয়েছে।

২। আতার পিতা আবু মারওয়ান সম্পর্কে ইমাম নাসাঈ বলেনঃ তিনি পরিচিত নন।

৩। আব্দুর রহমান ইবনু মুগীস মাজহুল যেমনটি “আত-তাকরীব” গ্রন্থে এসেছে। আবু নুয়াঈমের নিকট হাদীসটি বর্ণনার ক্ষেত্রে আমর ইবনুল হুসায়েন এর স্থলে আমর ইবনু মালেক রাসেবীও বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এ ঐকমত্যের দ্বারা কোন লাভ হয়নি। কারণ, এ রাসেবী সম্পর্কে ইবনু আদী বলেনঃ তিনি হাদীস চোর।

আমি (আলবানী) বলছিঃ আবু যুরয়াহ তাকে ত্যাগ করেছেন। হতে পারে তিনি হাদীসটি আমর ইবনুল হুসায়েন হতে চুরি করেছেন। অনুরূপ একটি হাদীস হাকিম (২/৬১৯-৬২০) ইয়ামান ইবনু সাঈদ মাসীসী সূত্রে ইয়াহইয়া ইবনু আব্দিল্লাহ মিসরী হতে, তিনি আব্দুর রাযযাক হতে ... বর্ণনা করে বলেছেনঃ এ হাদীসের বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য, তবে ইয়াহইয়া ইবনু আবদিল্লাহ মিসরী সম্পর্কে ভাল-মন্দ কিছুই জানিনা।

হাফিয যাহাবী তার সমালোচনা করে বলেছেনঃ তিনিই তো হাদীসটি তৈরি করেছেন। তিনি “আল-মীযান” গ্রন্থে তার জীবনী বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেনঃ তিনি আব্দুর রাযযাক হতে বাতিল হাদীস বর্ণনা করেছেন। সম্ভবত তিনিই সেটিকে বানিয়েছেন। হাফিয ইবনু হাজার “আল-মীযান” গ্রন্থে তার কথাকে সমর্থন করে একটু বাড়িয়ে বলেছেনঃ হাদীসটি ইমাম হাকিম বর্ণনা করে বলেছেনঃ এ হাদীসটি উক্ত সনদে বানোয়াট।

اللهم إنك لست بإله استحدثناه، ولا برب ابتدعناه، ولا كان لنا قبلك من إله يلجأ إليه ونذرك، ولا أعانك على خلقنا أحد فنشركه فيك، تباركت وتعاليت. قال صلى الله عليه وسلم: هكذا كان داود عليه السلام يقول موضوع - رواه الطبراني (رقم - 7300) وأبو نعيم في " الحلية " (1/155 و373 و6/47) عنه وعن غيره والحاكم (3/401) وابن عساكر (5/359/1) عن عمرو بن الحصين: نا فضيل بن سليمان النميري عن موسى بن عقبة عن عطاء بن أبي مروان عن أبيه عن عبد الرحمن بن مغيث عن كعب قال: أخبرني صهيب أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: فذكره قلت: وهذا إسناد موضوع، آفته عمرو بن الحصين، قال الخطيب " كذاب " وقال الذهبي في " الضعفاء " " تركوه " وقال الحافظ في التقريب " متروك " وقال الهيثمي في " مجمع الزوائد " (10/179) " رواه الطبراني، وفيه عمرو بن الحصين العقيلي وهو متروك " ونقله المناوي عنه، ولم يزد عليه قلت: وفوقه ثلاث علل أخرى الأولى: فضيل بن سليمان النميري. أورده الذهبي في " الضعفاء " وقال " قال ابن معين: ليس بثقة، وقال أبو زرعة: ليس الحديث. وقال النسائي ليس بالقوي، ووثقه مسلم وقال الحافظ في التقريب " صدوق له خطأ كثير " والثانية: أبو مروان والد عطاء وليس بالمعروف كما قال النسائي والثالثة: عبد الرحمن بن مغيث مجهول كما في التقريب وعمرو بن الحصين تابعه عند أبي نعيم عمرو بن مالك الراسبي، وهذه متابعة لا تجدي، لأن الراسبي هذا قال فيه ابن عدي " يسرق الحديث " قلت: وتركه أبو زرعة، فلا يبعد أن يكون سرقه من عمرو بن الحصين وروى الحاكم (2/619 - 620) من طريق اليمان بن سعيد المصيصي: حدثنا يحيى بن عبد الله المصري: حدثنا عبد الرزاق عن معمر عن الزهري عن سالم عن عبد الله ابن عمر قال " كنا جلوسا حول رسول الله صلى الله عليه وسلم إذ دخل أعرابي جهو ري بدوي يماني على ناقة حمراء، فأناخ بباب المسجد، فدخل فسلم، ثم قعد، فقالوا: يا رسول الله! إن الناقة التي تحت الأعرابي سرقة، قال: أثم بينة؟ قالوا: نعم يا رسول الله، قال: يا علي خذ حق الله من الأعرابي إن قامت عليه البينة، وإن لم تقم فرده إلي، قال: فأطرق الأعرابي ساعة، فقال له النبي صلى الله عليه وسلم: قم يا أعرابي لأمر الله وإلا فأدل بحجتك، فقالت الناقة من خلف الباب: والذي بعثك بالكرامة يا رسول الله إن هذا ما سرقني، ولا ملكني أحد سواه، فقال له النبي صلى الله عليه وسلم: يا أعرابي بالذي أنطقها بعذرك ما الذي قلت؟ قال: قلت: اللهم إنك لست برب استحدثناه، ولا معك إله أعانك على خلقنا، ولا معك رب فنشك في ربوبيتك، أنت ربنا كما نقول، وفوق ما يقول القائلون، أسألك أن تصلي على محمد، وأن تبرئني ببراءتئ، فقال له النبي صلى الله عليه وسلم: والذي بعثني بالكرامة يا أعرابي لقد رأيت الملائكة يبتدرون أفواه الأزقة يكتبون مقالتك، فأكثر الصلاة علي وقال الحاكم " رواة هذا الحديث عن آخرهم ثقات، ويحيى بن عبد الله المصري هذا لست أعرفه بعدالة ولا جرح " وتعقبه الذهبي بقوله " قلت: هو الذي اختلقه " وقال في ترجمته من " الميزان " ... عن عبد الرزاق فذكر حديثا باطلا بيقين، فلعله افتراه وأقره الحافظ في " اللسان " وزاد: أن الحديث أورده الحاكم وقال " وهذا موضوع على الإسناد المذكور، وقد أخرجه الطبراني في " الدعاء " من طريق سعيد بن موسى الأزدي الحمصي عن الثوري عن عمرو بن دينار عن نافع عن ابن عمر رضي الله عنهما فذكر نحوه بطوله، واليمان ضعيف كما سيأتي في ترجمته، وهو بسعيد أشبه، فلعله انقلب على اليمان، وسعيد تقدم أنه متهم بالوضع


হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ