পরিচ্ছেদঃ
১১৪২। কিয়ামতের দিন ন্যায়পরায়ণ বিচারককে নিয়ে আসা হবে, অতঃপর সে এমন প্রচণ্ড শাস্তির (হিসেবের) সম্মুখীন হবে যে, সে এরূপ বলাকে পছন্দ করবে যে, সে কখনও কোন একটি খেজুরের ব্যাপারেও দু’জনের মধ্যে সমাধান প্রদান করেনি।
হাদীসটি দুর্বল।
হাদীসটি তায়ালিসী তার “মুসনাদ’ গ্রন্থে (১৫৪৬) উমার ইবনুল আলা ইয়াশকুরী হতে, তিনি সালেহ ইবনু সারাজ হতে ... বর্ণনা করেছেন। আর তায়ালিসীর সূত্র থেকে ইমাম আহমাদ (৬/৭৫), আবু বাকর মারওয়ায়ী "আখবারুশ শুয়ুখ" গ্রন্থে (১/২৭/২), ইবনু আবিদ দুনিয়া "আল-আশরাফ" গ্রন্থে (২/৭৩/২) ও বাইহাকী (১০/৯৬) বর্ণনা করেছেন।
হাদীসটি ইবনু হিব্বান (১৫৬৩), ত্ববারানী "আল-মুজামুল আওসাত" গ্রন্থে (২৭৮১) ও বাইহাকীও অন্য দুটি সূত্রে উমর ইবনুল আলা হতে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুটি কারণে দুর্বলঃ
১। সালেহ ইবনু সারাজকে হাফিয যাহাবী "আল-মীযান" গ্রন্থে উল্লেখ করে তার সম্পর্কে শুধুমাত্র বলেছেনঃ ইমাম আহমাদ বলেনঃ তিনি খারেজীদের অন্তর্ভুক্ত। আর "আয-যুয়াফা" গ্রন্থে উল্লেখ করে বলেছেনঃ তিনি মাজহুল (পরিচয়হীন বর্ণনাকারী)। ইবনু হিব্বান তাকে “আস-সিকাত” গ্রন্থে (৬/৪৬০) উল্লেখ করেছেন।
২। দ্বিতীয় সমস্যা হচ্ছে উমার ইবনুল ’আলা, অন্য গ্রন্থে উমারকে আমর হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। হাফিয ইবনু হাজার “আততা’জীল” গ্রন্থে বলেনঃ এটিই অধিকাংশের মতামত।
তার জীবনীর মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তার থেকে একদল নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তাকে নির্ভরযোগ্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি। অতএব তিনি মাজহুল (পরিচয়হীন বর্ণনাকারী), তার অবস্থা সম্পর্কে জানা যায় না।
আমি (আলবানী) বলছিঃ হায়সামী যে, "আল-মাজমা" গ্রন্থে (৪/১৯৩) বলেছেনঃ হাদীসটি ইমাম আহমাদ বর্ণনা করেছেন এবং তার সনদটি হাসান, তার এ মন্তব্যটা ভাল নয়, এর কারণ তাদের দু’জনের সম্পর্কে উপরোক্ত ব্যাখ্যা।
يؤتى بالقاضي العدل يوم القيامة فيلقى من شدة العذاب ما يتمنى أنه لم يقض بين اثنين في تمرة قط ضعيف - أخرجه الطيالسي في " مسنده " (1546) : حدثنا عمر بن العلاء اليشكري قال: حدثني صالح بن سرج من عبد القيس عن عمران بن حطان قال: سمعت عائشة تقول، وذكر عندها القضاة، فقالت: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: فذكره. ومن طريق الطيالسي أخرجه أحمد (6/75) وأبو بكر المروزي في " أخبار الشيوخ " (1/27/2) وابن أبي الدنيا في " الأشراف " (2/73/2) والبيهقي (10/96) كلهم عن الطيالسي به وأخرجه ابن حبان (1563) والطبراني في " الأوسط " (رقم - 2781 - مصورتي) والبيهقي أيضا من طريقين آخرين عن عمر بن العلاء به، إلا أن ابن حبان قال عمره " بدل " تمرة قلت: وهذا إسناد ضعيف، وفيه علتان الأولى: صالح بن سرج أورده الذهبي في " الميزان " ولم يزد فيه على قوله " قال أحمد بن حنبل: كان من الخوارج وأورده في " الضعفاء " وقال: مجهول وأما ابن حبان فذكره في " الثقات " (6/460) والأخرى: عمر بن العلاء. كذا وقع في المصادر المتقدمة إلا المسند فوقع فيه " عمرو " بفتح أوله. قال الحافظ في " التعجيل وهو قول الأكثر وذكر في ترجمته أنه روى عنه جماعة من الثقات، ولم يذكر فيه توثيقا فهو مجهول الحال. والله أعلم قلت: فقول الهيثمي في " المجمع " (4/193) رواه أحمد وإسناده حسن غير حسن، لما بينا من حال الرجلين