পরিচ্ছেদঃ
১১৩১। [পূর্ণ হাদীসটি এরূপঃ জা’দা থেকে বর্ণিত হয়েছে তিনি বলেনঃ আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে শুনেছি, তিনি এক মোটা ব্যক্তিকে দেখে তার হাত দিয়ে তার (মোটা) পেটের দিকে ইঙ্গিত করে বললেনঃ] এটি যদি এখানে না হয়ে অন্যত্র হতো তাহলে তোমার জন্য বেশী কল্যাণকর হতো।
হাদিসটি দুর্বল।
হাদীসটি ইমাম বুখারী “আত-তারীখুল কাবীর” গ্রন্থে (১/২/২৩৮), হাকীম (৪/১২১-১২২), আহমাদ (২/৪৭১, ৪/৩৩৯- ১৫৪৪১, ১৫৪৪২), ত্ববারানী “আল-মুজামুল কাবীর” গ্রন্থে (১/১০০/২) ও বাইহাকী “আশ-শু’আব” গ্রন্থে (২/১৬১/২-১৬২/১) শুবাহ সূত্রে আবু ইসরাঈল হতে ... বর্ণনা করেছেন। হাদীসটির সনদ সম্পর্কে হাকিম বলেনঃ সনদটি সহীহ হাফিয যাহাবীও তার সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছেন।
হাফিয মুনযেরী বলেনঃ হাদীসটি ইবনু আবিদ দুনিয়া, ত্ববারানী ভালো সনদে বর্ণনা করেছেন, হাকিম ও বাইহাকীও বর্ণনা করেছেন। হাফিয ইরাকী “আল-মুগনী” গ্রন্থে (৩/৮৮) অনুরূপ কথাই বলেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ আবু ইসরাঈলকে শুধুমাত্র ইবনু হিব্বান নির্ভরযোগ্য আখ্যা দিয়েছেন তিনি ব্যতীত অন্য কেউ তাকে নির্ভরযোগ্য আখ্যা দেননি। আর এটি প্রসিদ্ধ বিষয় যে, তিনি নির্ভরযোগ্য আখ্যা দেয়ার ক্ষেত্রে শিথিলতা প্রদর্শনকারী। এ কারণে হাফিয যাহাবী ও আসকালানী প্রমুখ বিশেষজ্ঞ মুহাদ্দিসগণ যে বর্ণনাকারীকে ইবনু হিব্বান এককভাবে নির্ভরযোগ্য আখ্যা দেন তা গ্রহণ করেন না।
হাফিয ইবনু হাজার “আত-তাকরীব” গ্রন্থে তাকে নির্ভরযোগ্য আখ্যা না দিয়ে বলেছেনঃ অন্য কোন বর্ণনাকারীর সাথে মিলে বর্ণনা করলে তিনি গ্রহণযোগ্য অন্যথায় তিনি দুর্বল।
এ কারণে ইবনু হিব্বানের নির্ভরযোগ্য আখ্যা দানের উপর ভিত্তি করে অন্য যারা সনদটিকে ভালো বলেছেন তা আমার মতে ভালো নয়। কারণ আবু ইসরাঈল অপরিচিত (মাজহুল) হওয়াই সঠিক।
এ ছাড়া আমি (আলবানী) হাদীসটির অন্য একটি সমস্যাও পেয়েছি। সেটি হচ্ছে এই যে, জা’দাহ্ (ইবনু হুবাইরাহ আশজাঈ) সাহাবী নাকি সাহাবী নয় তা নিয়ে মতভেদ করা হয়েছে। এ সম্পর্কে হাফিয ইবনু হাজার “আত-তাহযীব” গ্রন্থে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। ইবনু হাজার তার দুগ্রন্থে দু’ধরনের মত প্রকাশ করেছেন, “আত-তাহযীব” গ্রন্থে আবু হাতিমের মতকে প্রাধান্য দিয়ে বলেছেনঃ তিনি তাবেঈ আর “আত-তাকরীব” গ্রন্থে বলেছেনঃ তিনি ছোট সাহাবী। তার এ দু’ধরনের মতামত থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, তিনি সাহাবী কি সাহাবী নন এ মর্মে কোন সুস্পষ্ট দলীল নেই।
কারণ ইবনু হিব্বান যিনি আবু ইসরাঈলকে নির্ভরযোগ্য আখ্যা দিয়েছেন তিনি নিজেই "জা’দাহ"-কে তার "আসসিকাত” গ্রন্থে (৪/১১৫) তাবেঈ হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেনঃ জা’দার সাহাবী হওয়ার ব্যাপারে আমি নির্ভর করতে পারি এরূপ কোন সহীহ দলীল জানতে না পারার কারণে তাকে তাবেঈদের অন্তর্ভুক্ত গণ্য করেছি।
এ কারণেই ইবনু হিব্বান আবু ইসরাঈলকে “আসসিকাত” গ্রন্থে (৬/৪৩৮) তাবে তাবেঈদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। তার এরূপ কথাই প্রমাণ করছে যে, আবু ইসরাঈল নির্ভরযোগ্য নয়। কারণ তাহলে তার পূর্বোক্ত কথা অনুযায়ী জা’দাকে সাহাবী হওয়া লাগে। শু’বাহও তার থেকে এককভাবে বর্ণনা করেছেন। অতএব আবু ইসরাঈল নির্ভরযোগ্য নয়।
لوكان هذا في غير هذا لكان خيرا لك ضعيف - أخرجه البخاري في " التاريخ الكبير " (1/2/238) والحاكم (4/121 - 122) وأحمد (3/471 و4/339) والطبراني في " الكبير " (1/100/2) والبيهقي في " الشعب " (2/161/2 - 162/1) من طريق شعبة قال: سمعت أبا إسرائيل قال: سمعت جعدة قال: سمعت النبي صلى الله عليه وسلم ورأى رجلا سمينا، فجعل النبي صلى الله عليه وسلم يومئ إلى بطنه بيده ويقول: فذكره. وقال الحاكم " صحيح الإسناد ". ووافقه الذهبي. وقال المنذري (3/123) " رواه ابن أبي الدنيا والطبراني بإسناد جيد والحاكم والبيهقي " وكذا قال الحافظ العراقي في " المغني " (3/88 الطبعة التجارية) ، إلا أنه ذكر أحمد بدل ابن أبي الدنيا، ولم يذكر الطبراني، ولم أره في " كتاب الجوع " لابن أبي الدنيا. وقال الهيثمي (5/31) : رواه الطبراني وأحمد ورجاله رجال الصحيح غير أبي إسرائيل الجشمي وهو ثقة " قلت: في هذا التوثيق عندي نظر، لأن عمدته على أن ابن حبان ذكر أبا إسرائيل في " الثقات "، ولم يوثقه غيره كما يستفاد من ترجمته المختصرة في " تهذيب التهذيب " " أبو إسرائيل الجشمي، وعنه شعبة بن الحجاج. ذكره ابن حبان في " الثقات "، واسمه شعيب " ومن المعلوم تساهل ابن حبان في التوثيق كما نبهنا عليه مرارا، ولهذا نرى الذهبي والعسقلاني وغيرهما من المحققين لا يحتجون بمن يتفرد ابن حبان بتوثيقه، ولا يوثقونه، فهذا أبو إسرائيل لم يوثقه ابن حجر في " التقريب " وإنما قال فيه " مقبول "، يعني عند المتابعة، وإلا فلين الحديث كما نص عليه في المقدمة ولذلك فإني أرى أن تجويد الحافظ المنذري والعراقي لإسناد هذا الحديث، غير جيد، لأنه قائم على الاعتماد على توثيق ابن حبان لرواية أبي إسرائيل، وهو بالتجهيل أولى منه بالتوثيق لأنه لم يروعنه غير شعبة، مع عدم توثيق غير ابن حبان له. والله أعلم ثم وجدت للحديث علة أخرى، وهي الاختلاف في صحبة جعدة وهو ابن هبيرة الأشجعي، وترى تفصيل القول في ذلك في " تهذيب ابن حجر " وتعليق الدكتور عواد على " تهذيب المزي " (4/566)، وتناقض رأي ابن حجر فيه، ففي " التهذيب " يرجح قول أبي حاتم أنه تابعي، وفي " التقريب " يجزم بأنه صحابي صغير له رؤية، وليس يخفى على طالب العلم أن هذا التناقض من مثل هذا الحافظ ما هو إلا لأنه ليس هناك دليل قاطع في صحبة جعدة هذا يرفع الخلاف، وإن مما يؤكد ذلك أن ابن حبان نفسه الذي وثق أبا إسرائيل هذا أورد جعدة في التابعين من " ثقاته " (4/115) وقال " ولا أعلم لصحبته شيئا صحيحا فأعتمد عليه فلذلك أدخلناه في التابعين وبناء على ذلك أورد أبا إسرائيل في " أتباع التابعين " من " ثقاته " (6/438) وقال " يروي عن جعدة بن هبيرة، روى عنه شعبة بن الحجاج قلت: وهذا تناقض ظاهر من ابن حبان يشبه تناقض الحافظ السابق، لأن أبا إسرائيل هذا إذا كان ثقة عنده لزمه القول بصحبة جعدة لأنه صرح في هذا الحديث بها: " سمعت النبي صلى الله عليه وسلم " وإذا كان قوله هذا ليس صحيحا يعتمد عليه، لزمه القول بأن أبا إسرائيل ليس ثقة يعتمد عليه، وهذا هو الذي يظهر لي لتفرد شعبة بالرواية عنه كما تقدم. والله أعلم