পরিচ্ছেদঃ
১১২৮। গারে সাওরের রাতে আল্লাহ্ তা’আলা একটি বৃক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিলেন ফলে সে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মুখে বেরিয়ে তাকে ঢেকে রেখেছিল। আল্লাহ্ তা’আলা একটি মাকড়সাকে প্রেরণ করেছিলেন সে তাদের দু’জনের মাঝে জাল বুনিয়ে দিয়ে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চেহারাকে পর্দা করে রেখেছিল। আল্লাহ্ তা’আলা দু’টি জংলী কবুতরকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, ফলে কবুতর দুটি উড়তে উড়তে এসে মাকড়সা আর বৃক্ষের মাঝে পড়ে যায়। এমতাবস্থায় প্রত্যেক গোত্রের একেকজন করে কুরাইশ যুবকরা যখন আগমন করল যাদের সাথে তাদের সাধারণ লাঠি, অস্ত্র ও মোটা লাঠি ছিলো। তারা যখন নবীসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে দু’শত হাত দূরত্বে পৌঁছল তখন তাদের পথ প্রদর্শক সুরাকা ইবনু মালেক আল-মুদলিজ বললোঃ এ পাথরটির দিকে লক্ষ্য কর, অতঃপর জানি না রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার পা কোথায় রাখলেন। যুবকরা বলল তুমি বিগত রাত থেকে তার কোন চিহ্ন সম্পর্কেই জানতে পারেনি। এরপর যখন আমরা সকাল করলাম তখন সে বললঃ এ গর্তে দেখ। তারা সামনের দিকে এগিয়ে গেলো অতঃপর যখন পঞ্চাশ হাত দূরত্বে পৌঁছল তখন তাদের প্রথমজন কবুতর দেখতে পেয়ে ফিরে আসলো। তারা তাকে জিজ্ঞেস করলো কোন বস্তুটি গর্তে দৃষ্টি নিক্ষেপ করতে তোমাকে বাধা প্রদান করেছে? সে উত্তরে বললঃ গর্তের মুখে আমি দুটি জংলী কবুতর দেখেছি, এর দ্বারা আমি বুঝতে পারি যে, সেখানে কেউ নেই। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার এ কথা শুনে বুঝলেন যে, আল্লাহ্ তা’আলা তাদের দু’জনকে কবুতর দুটির দ্বারা হেফাযাত করেছেন। অতঃপর আল্লাহ কবুতর দুটিকে নিদর্শন বানিয়ে দিয়ে হারামে সেদু’টোকে রক্ষা করেন অতঃপর কবুতর দুটি তোমরা যেসব কবুতর দেখছো সেগুলোকে জন্ম দিয়েছে।
হাদীসটি মুনকার।
হাদীসটি ইবনু সা’দ (১/২২৮, ২২৯), আল-মুখলিস "আল-ফাওয়াইদুল মুনতাকাত" গ্রন্থে (১৭/১৩/১-২), বাযযার তার “মুসনাদ’ গ্রন্থে (২/২৯৯/১৭৪১), ত্ববারানী "আল-কাবীর" গ্রন্থে (২০/৪৪৩/১০৮২), ওকায়লী (৩৪৬), খায়সামাহ আল-আতরাবলিসী “ফাযাইলু সিদ্দীক” গ্রন্থে (১৬৫/২), আশশারফ আবূ আলী হাশেমী “আল-ফাওয়াইদুল মুনতাকাত” গ্রন্থে (১/১০৮), আবু নাঈম “আদ-দালাইল" গ্রন্থে (২/১১১) ও বাইহাকী (২/৪৮১-৪৮২) আউফ ইবনু আমর আবু আমর কাইসী (ওয়াইন) সূত্রে আবু মুসআব মাক্কী হতে বর্ণনা করেছেন।
ওকায়লী বলেনঃ বর্ণনাকারী আবু মুসআব মাজহুল (অপরিচিত) ব্যক্তি।
আমি (আলবানী) বলছিঃ বাযযার তার অপরিচিত হওয়ার দিকেই ইঙ্গিত করে বলেছেনঃ এটিকে একমাত্র আউন ইবনু ওমায়ের বর্ণনা করেছেন আর আবু মুসআব হতে ওয়াইন ব্যতীত অন্য কেউ হাদীস বর্ণনা করেছেন বলে জানি না।
ইবনু মাঈন অন্য সূত্রে ওয়াইনের স্থলে বর্ণনাকারী আউন ইবনু উমায়ের সম্পর্কে বলেনঃ তিনি কিছুই নন।
ইমাম বুখারী বলেনঃ তিনি মুনকারুল হাদীস ও মাজহুল (অপরিচিত)।
হাফিয যাহাবী তাকে (আউনকে) "আল-মীযান" গ্রন্থে উল্লেখ করে তার দু’টি মুনকার হাদীস উল্লেখ করেছেন, এটি সেদুটির একটি।
হাফিয ইবনু কাসীর "আল-বিদায়াহ অন-নিহায়াহ" গ্রন্থে (৩/১৮২) বলেনঃ এ হাদীসটি খুবই গারীব (খুবই দুর্বল) ধরনের হাদীস।
হায়সামী "আল-মাজমা" গ্রন্থে (৬/৫৩) বলেনঃ হাদীসটি বায্যার ও ত্ববারানী বর্ণনা করেছেন, এর বর্ণনাকারীদের মধ্যে একদল রয়েছেন যাদেরকে আমি চিনি না।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তিনি তার এ কথার দ্বারা আউন ইবনু উমায়ের এবং আবু মুস’আবের দিকে ইঙ্গিত করেছেন। কারণ তাদের দু’জনের নিচের বর্ণনাকারীরা নির্ভরযোগ্য ও পরিচিত।
ليلة الغار أمر الله عز وجل شجرة فخرجت في وجه النبي صلى الله عليه وسلم تستره وإن الله عز وجل بعث العنكبوت فنسجت ما بينهما فسترت وجه النبي صلى الله عليه وسلم، وأمر الله حمامتين وحشيتين فأقبلتا تدفان (وفي نسخة: ترفان) حتى وقعا بين العنكبوت وبين الشجرة، فأقبل فتيان قريش من كل بطن رجل معهم عصيهم وقسيهم وهراواتهم حتى إذا كانوا من النبي صلى الله عليه وسلم على قدر مائتي ذراع قال الدليل سراقة بن مالك المدلج: انظروا هذا الحجر ثم لا أدري أين وضع رجله رسول الله صلى الله عليه وسلم، فقال الفتيان: إنك لم تخطر منذ اللية أثره حتى إذا أصبحنا قال: انظروا في الغار! فاستقدم القوم حتى إذا كانوا على خمسين ذراعا نظر أولهم فإذا الحمامات، فرجع، قالوا: ما ردك أن تنظر في الغار؟ قال: رأيت حمامتين وحشيتين بفم الغار فعرفت أن ليس فيه أحد، فسمعها النبي صلى الله عليه وسلم فعرف أن الله عز وجل قد درأ عنهما بهما، فسمت عليهما فأحرزهما الله تعالى بالحرم فأفرجا كل ما ترون منكر - رواه ابن سعد (1/228 - 229) والمخلص في " الفوائد المنتقاة " (17/13/1 - 2) والبزار في " مسنده " (2/299/1741 " كشف الأستار) والطبراني في " الكبير " (20/443/1082) والعقيلي (346) وخيثمة الأطرابلسي في " فضائل الصديق " (16/5/2) وكذا الشريف أبو علي الهاشمي في " الفوائد المنتقاة " (108/1) وأبو نعيم في " الدلائل " (2/111) وكذا البيهقي (2/481 - 482) عن عوف بن عمرو أبي عمرو القيسي ويلقب (عوين) قال: حدثنا أبو مصعب المكي قال: أدركت زيد بن أرقم والمغيرة بن شعبة وأنس بن مالك يذكرون أن النبي صلى الله عليه وسلم ليلة الغار.. وقال الهاشمي تفرد به أنس ومن ذكر معه، لا نعرفه إلا من حديث مسلم بن إبراهيم عن عون بن عمرو القيسي عن أبي مصعب وقال العقيلي لا يتابع عليه عون، وأبو مصعب رجل مجهول قلت: وأشار البزار إلى جهالته بقوله لا نعلم رواه إلا عون بن عمير، وأبو مصعب فلا نعلم حدث عنه إلا عوين وقال ابن معين في عون: لا شيء وقال البخاري منكر الحديث مجهول ذكره الذهبي في " الميزان "، وساق له حديثين مما أنكر عليه هذا أحدهما وقال الحافظ ابن كثير في تاريخه " البداية " (3/182) وهذا حديث غريب جدا وقال الهيثمي في " المجمع " (6/53) رواه البزار والطبراني، وفيه جماعة لم أعرفهم قلت: يشير إلى عون وأبي مصعب، فإن من دونهما ثقات معروفون، فهي غفلة عجيبة منه عن هذه النقول. فسبحان من لا يضل ولا ينسى