পরিচ্ছেদঃ ৫. হাজের বিবরণ ও মক্কায় প্রবেশ - জামরায় কংকর নিক্ষেপের সময়
৭৬২। জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরবানী দিবসে যুহার (চাশতের) সময় (আকাবাহ) জামরাহতে কংকর ছুড়েছিলেন। আর তার পরে (দিবসগুলোতে) সূর্য ঢলে যাবার পর।[1]
[1] মুসলিম ১২১৬, বুখারী ১৫১৬, ১৫৬৮, তিরমিযী ৮১৭, ৮৫৬, নাসায়ী ২৯১, ৪২৯, ৬০৪, আবূ দাউদ ১৭৮৭, ১৭৮৯, ইবনু মাজাহ ২৯১৩, ২৯৫১, ২৯১৯, আহমাদ ১৩৮০৬, ১৩৮২৭, মুওয়াত্তা মালেক ৮১৬, ৮৩৫, ৮৩৬, দারেমী ১৮৫০, ১৮৯৯,
পূর্ণাঙ্গ হাদীস:
أَيُّ يَوْمٍ هَذَا ؟ قُلْنَا : اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ. فَسَكَتَ، حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ سَيُسَمِّيهِ بِغَيْرِ اسْمِهِ ، فَقَالَ: أَلَيْسَ يَوْمَ النَّحْرِ؟ قُلْنَا: بَلَى. قَالَ: فَأَيُّ شَهْرٍ هَذَا؟ قُلْنَا: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ. فَسَكَتَ ، حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ سَيُسَمِّيهِ بِغَيْرِ اسْمِهِ، فَقَالَ: أَلَيْسَ ذَا الْحِجَّةِ؟ قُلْنَا: بَلَى ، يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ: فَأَيُّ بَلَدٍ هَذَا؟ . قُلْنَا: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ. فَسَكَتَ ، حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ سَيُسَمِّيهِ بِغَيْرِ اسْمِهِ ، فَقَالَ: أَلَيْسَتْ بِالْبَلْدَةِ ؟ قُلْنَا : بَلَى. قَالَ: فَإِنَّ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ عَلَيْكُمْ حَرَامٌ كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا فِي شَهْرِكُمْ هَذَا فِي بَلَدِكُمْ هَذَا ، اللَّهُمَّ هَلْ بَلَّغْتُ . قَالُوا : نَعَمْ . قَالَ: لِيُبَلِّغِ الشَّاهِدُ مِنْكُمُ الْغَائِبَ ، فَرُبَّ مُبَلَّغٍ أَوْعَى مِنْ سَامِعٍ أَلا لا تَرْجِعُوا بَعْدِي كُفَّارًا يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ بَعْضٍ
তোমরা কি জান আজ কোন দিন? আমরা বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কুটু সব চেয়ে বেশি জানেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নীরব হয়ে গেলেন। আমরা ধারণা করলাম সম্ভবতঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নাম পরিবর্তন করে অন্য নামে নামকরণ করবেন। তিনি বললেন : এটা কি কুরবানীর দিন নয়? আমরা বললাম, হাঁ। তিনি বললেন: এটি কোন মাস? আমরা বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ই সবচেয়ে বেশি জানেন। তিনি নীরব হয়ে গেলেন। আমরা মনে করতে লাগলাম, হয়ত তিনি এর নাম পাল্টিয়ে অন্য কোন নামে নামকরণ করবেন। তিনি বললেন, এ কি যিলহজ্জের মাস নয়? আমরা বললাম, হাঁ। অতঃপর তিনি বললেনঃ এটি কোন শহর? আমরা বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ই সবচেয়ে বেশি জানেন। আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নীরব হয়ে গেলেন। ফলে আমরা ভাবতে লাগলাম, হয়ত তিনি এর নাম বদলিয়ে অন্য নামকরণ করবেন। তিনি বললেন : এ কি সম্মানিত শহর নয়? আমরা বললাম, নিশ্চয়ই। নাবী যেমন সম্মান রয়েছে তোমাদের এ দিনের, এ মাসের এবং এ শহরের। নাবী মাচু সাহাবীদের লক্ষ্য করে বললেনঃ শোন! আমি কি পৌছিয়েছি তোমাদের কাছে? সাহাবীগণ বললেন, হাঁ। (হে আল্লাহর রসূল)। অতঃপর তিনি বললেনঃ প্রত্যেক উপস্থিত ব্যক্তি যেন অনুপস্থিত ব্যক্তির কাছে (আমার দাওয়াত) পৌঁছিয়ে দেয়। কেননা, যাদের কাছে পৌছানো হবে তাদের মধ্যে অনেক ব্যক্তি এমন থাকে যে, শ্রবণকারীর চেয়ে অধিক সংরক্ষণকারী। তোমরা আমার পরে পরস্পর পরস্পরকে হত্যা করে কুফরীর দিকে প্রত্যাবর্তন করো না।
وَعَنْ جَابِرٍ - رضي الله عنه - قَالَ: رَمَى رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - الْجَمْرَةَ يَوْمَ النَّحْرِ ضُحًى, وَأَمَّا بَعْدَ ذَلِكَ فَإِذَا زَادَتِ الشَّمْسُ. رَوَاهُ مُسْلِمٌ
-
صحيح. رواه مسلم (1299) (314) وفيه: «وأما بعد، فإذا زالت الشمس» برفع «بعد» ودون لفظ: ذلك