হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৩৭৩০

পরিচ্ছেদঃ ১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - জনগণের প্রতি শাসকের সহনশীলতা প্রদর্শন করা

৩৭৩০-[৯] ’উমার ইবনুল খত্ত্বাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি যখনই কোনো দেশে প্রতিনিধি বা শাসক পাঠাতেন তখন তাদের ওপর শর্তারোপ করে দিতেন- তোমরা তুর্কি ঘোড়ায় আরোহণ করবে না, ময়দার রুটি খাবে না, পাতলা মিহিন কাপড় পরবে না, মানুষের প্রয়োজন মিটানো থেকে তোমার দরজা বন্ধ করবে না। যদি তোমরা এর মধ্য হতে কোনটি করো, তাহলে তোমরা শাস্তিযোগ্য অপরাধী হবে। অতঃপর কিছুদূর পর্যন্ত তিনি তাদেরকে এগিয়ে দিয়ে আসতেন। (এ হাদীস দু’টি বায়হাক্বী’র ’’শু’আবুল ঈমানে’’ বর্ণনা করেছেন)[1]

وَعَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّهُ كَانَ إِذَا بَعَثَ عُمَّالَهُ شَرَطَ عَلَيْهِمْ: أَنْ لَا تَرْكَبُوا بِرْذَوْنًا وَلَا تَأْكُلُوا نَقِيًّا وَلَا تَلْبَسُوا رَقِيقًا وَلَا تُغْلِقُوا أَبْوَابَكُمْ دُونَ حَوَائِجِ النَّاسِ فَإِنْ فَعَلْتُمْ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ فَقَدْ حَلَّتْ بِكُمُ الْعُقُوبَةُ ثُمَّ يُشَيِّعُهُمْ. رَوَاهُمَا الْبَيْهَقِيُّ فِي شُعَبِ الْإِيمَانِ

ব্যাখ্যা: অত্র হাদীসটি পূর্বের হাদীসেরই সমার্থক। অত্র হাদীসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের প্রতি কিছু নীতি অনুসরণের আদেশ দিয়েছেন আর তা হলো তারা بِرْذَوْنَةٌ তথা তুর্কী ঘোড়া ব্যবহার করবে না। কারণ তাতে অহংকার প্রকাশ পায়। ‘আল্লামা ত্বীবী (রহঃ) বলেনঃ অধিনস্থ সবাই সাধারণ ঘোড়া ব্যবহার করে, আর নেতা যদি তুর্কী ঘোড়া যা সাধারণ ঘোড়ার চেয়ে ভালো এবং এতে যদি তার অহমিকা এবং লৌকিকতা চলে আসে- এ আশংকা দূর করার জন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নেতাদের প্রতি তুর্কী ঘোড়ার ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন।

(وَلَا تَلْبَسُوا رَقِيقًا وَلَا تُغْلِقُوْا أَبْوَابَكُمْ دُونَ حَوَائِجِ النَّاسِ فَإِنْ فَعَلْتُمْ شَيْئًا مِنْ ذٰلِكَ فَقَدْ حَلَّتْ بِكُمُ الْعُقُوبَةُ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ অংশে নেতাদের বললেন, তোমরা পাতলা-মিহি কাপড় পরিধান করবে না এবং জনগণের প্রয়োজন মিটানো বন্ধ করবে না, অতঃপর তোমরা তার কোনো কিছু যদি করো তাহলে অবশ্যই শাস্তি ভোগ করতে হবে। পূর্বের অংশে তুর্কী ঘোড়া নিষেধের কারণ ছিল অহমিকা প্রদর্শন বন্ধ আর এ অংশে মিহি কাপড় পরিধান নিষেধের কারণ হলো অপচয়, বিলাসিতা রোধ করা এবং মানুষকে বাধা দেয়া। নিষেধের কারণ হলো যাতে করে তারা মানুষের প্রয়োজনীয় দিকগুলো পূরণ না করে নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত না হয়। (মিরকাতুল মাফাতীহ)