পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৩৬৭৬-[১৬] আবূ সা’ঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন দু’ খলীফার বায়’আত করা হয়, তখন তাদের দ্বিতীয়জনকে হত্যা করে ফেলো। (মুসলিম)[1]
اَلْفَصْلُ الْأَوَّلُ
وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا بُويِعَ لِخَلِيفَتَيْنِ فاقتُلوا الآخِرَ منهُما» . رَوَاهُ مُسلم
ব্যাখ্যা: অত্র হাদীসের মাধ্যমে বুঝা যায় বা জানা যায় যে, একটি রাষ্ট্রে একই সময়ে দু’ জন খলীফা বা শাসকের নিকট বায়‘আত করা বৈধ না। যদি কোনো রাষ্ট্রে দ্বিতীয় কোনো ব্যক্তি খলীফা দাবী করে তা নিয়ে মুহাদ্দিসের নিকট মতভেদ রয়েছে।
* কাযী (রহঃ) বলেছেনঃ এখানে ‘হত্যা করা’ দ্বারা উদ্দেশ্য নেয়া হয়েছে লড়াই করা।
বলা হয়: অপরজনের বায়‘আতকে বাতিল করা এবং তার নির্দেশকে দুর্বল করা।
* ইমাম হারামায়ন (রহঃ) তার ‘‘ইরশাদ’’ গ্রন্থে বলেছেনঃ আমাদের সঙ্গীগণ বলেছেন, দু’জন ব্যক্তির নিকটে চুক্তি করা, বায়‘আত সম্পাদন করা জায়িয নেই।
উল্লেখিত হাদীসে বলা হয়েছে, যখন দু’জন খলীফা বায়‘আত গ্রহণ করবে তখন প্রথমজনের বায়‘আত সঠিক হিসেবে গণ্য হবে। আর দ্বিতীয়জনকে হত্যা করতে হবে।
ইমাম কাযী (রহঃ) বলেনঃ উল্লেখিত হাদীসে (اقْتُلُوا) শব্দ দ্বারা উদ্দেশ্য লড়াই করা, কেননা এর মাধ্যমে চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছা যায়।
কেউ কেউ বলেছেন, এর দ্বারা উদ্দেশ্য অপরজনের বায়‘আত বাতিল করে দিবে।
ইমাম নববী (রহঃ) বলেনঃ «أَهْلِ الْبَغْيِ» সীমালঙ্ঘনকারীর সাথে যুদ্ধ করবে কোনো প্রকার অঙ্গীকার ভঙ্গ ছাড়াই। কেননা তারা এমন ব্যক্তির সাথে যুদ্ধ করছে যে, ইমামের সাথে যুদ্ধ করাকে আবশ্যক করে নিয়েছে। মুহাদ্দিসগণ ঐকমত্য পোষণ করেছেন যে, একই যুগে দু’ ব্যক্তির হাতে বায়‘আত নেয়া বৈধ নয়। (শারহে মুসলিম ১২শ খন্ড, হাঃ ১৮৫৩)