পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৩৬৬৪-[৪] ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রত্যেক মুসলিমের (তার শাসনকর্তার নির্দেশ) শোনা এবং আনুগত্য করা অপরিহার্য; তার মনঃপূত হোক বা না হোক, যতক্ষণ না তাকে গুনাহের দিকে নির্দেশ করে। কিন্তু যদি তাকে গুনাহের কাজের নির্দেশ দেয়া হয়, তখন তা শোনা ও আনুগত্য করা কর্তব্য নয়। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
اَلْفَصْلُ الْأَوَّلُ
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «السَّمعُ والطاعةُ على المرءِ المسلمِ فِيمَا أحب وأكره مَا لَمْ يُؤْمَرْ بِمَعْصِيَةٍ فَإِذَا أُمِرَ بِمَعْصِيَةٍ فَلَا سَمْعَ وَلَا طَاعَةَ»
ব্যাখ্যা: অত্র হাদীসটি সীমাবদ্ধ করেছে পূর্বের দু’টি ব্যাপকতার হাদীস থেকে এবং নির্দেশ করেছে শ্রবণ ও আনুগত্য করার জন্য যদিও হাবশী গোলাম হয়। ধৈর্য ধারণ করা যখন শাসকের মাঝে অপছন্দনীয় জিনিস পাওয়া যাবে। ধমক দেয়া হয়েছে দল বা জামা‘আত থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়াকে।
শাসক যখন পাপের কাজে নির্দেশ করবে তখন তাঁর কথা আনুগত্য করা যাবে না এবং শ্রবণ করা যাবে না। বরং অবাধ্যতার কাজ শ্রবণ করা হারাম। হাদীসে বর্ণিত রয়েছে মু‘আয বর্ণনা করেছেন : ঐ ব্যক্তির আনুগত্য করা যাবে না যার মধ্যে আল্লাহর আনুগত্য নেই। (মুসনাদে আহমাদ)
* সার-সংক্ষেপ: ইজমা রয়েছে যখন শাসক/নেতা কুফরী কাজ করবে তখন তাকে পদস্খলন করা। যে ব্যক্তি এটা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এরূপ মুসলিমের ওপর তা করা ওয়াজিব। যে ব্যক্তি তা করতে সক্ষম তার জন্য সাওয়াব রয়েছে। যে ব্যক্তি সক্ষম থাকা সত্ত্বেও নরম কথা বলে তার ওপর পাপ রয়েছে। যে ব্যক্তি শাসককে পদস্খলন করতে অক্ষম তার ওপর ওয়াজিব ঐ রাষ্ট্র থেকে হিজরত করা। (ফাতহুল বারী ১৩ খন্ড, হাঃ ৭১৪৪)
* মুত্বহির (রহঃ) বলেছেনঃ শাসকের কথা শ্রবণ করা এবং তার আনুগত্য করা ওয়াজিব প্রতিটি মুসলিমের ওপরে চাই নির্দেশটি স্বভাবগত অনুযায়ী হোক বা তার অনুযায়ী না হোক, অবাধ্যতার ক্ষেত্রে তার আনুগত্য করবে না। যদি শাসক অবাধ্যতার নির্দেশ করে তাহলে তার আনুগত্য জায়িয নেই। কিন্তু তার জন্য বৈধ হবে না শাসকের সাথে লড়াই বা বিদ্রোহ করা।
* সহীহ মুসলিমের ব্যাখ্যাকারক ইমাম নববী (রহঃ) বলেছেনঃ জুমহূর, আহলুস্ সুন্নাহ, ফাকীহগণ, মুহাদ্দিসগণের মধ্য থেকে বলেছেনঃ পাপ, অত্যাচার অধিকার আদায় না করা, বখাটে শাসক হওয়ার জন্য, নেতাকে বরখাস্ত বা পদস্খলন করবে না। এগুলোর কারণে তার আনুগত্য থেকে বের হওয়া জায়িয নেই বরং ওয়াজিব হলো শাসককে উপদেশ দেয়া এবং তাকে ভয় দেখানো। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৫ম খন্ড, ১৭০৭)