পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - চোরের হাত কাটা প্রসঙ্গ
৩৫৯২-[৩] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা ঐ সকল চোরের ওপর অভিসম্পাত করেছেন, যে একটি ডিম চুরির অপরাধে তার হাত কাটা হয়। আর যে একটি রশি চুরি করে এবং তারও হাত কাটা হয়। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
بَابُ قَطْعِ السَّرِقَةِ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَعَنَ اللَّهُ السارِقَ يسرقُ البيضةَ فتُقطعُ يَده وَيسْرق الْحَبل فتقطع يَده»
ব্যাখ্যা: নববী (রহঃ) বলেনঃ হাদীসে দলীল প্রমাণিত হয় যে, পাপীদেরকে অনির্দিষ্ট করে লা‘নাত করা বৈধ। কেননা কোনো জিনস্ বা জাতিকে লা‘নাত করা ‘আম, যেমন আল্লাহর বাণী : ‘‘নিঃসন্দেহে আল্লাহর লা‘নাত যালিমদের ওপর আর নির্ধারিত করে কাউকে লা‘নাত দেয়া অবৈধ।’’ (সূরা হূদ ১১ : ১৮)
ত্বীবী (রহঃ) বলেনঃ লা‘নাত দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে স্তর। তিরস্কার বা লাঞ্ছিত করা যেমন বলা হয়। কারো নিকট একজন ব্যক্তি সম্মানিত এবং মর্যাদাসম্পন্ন কিন্তু আল্লাহ তাকে হাত কাটার মাধ্যমে তার নিকট তাকে লাঞ্ছিত ও অপমানিত করে তোলেন।
بَيْضَةً (বায়যাহ্) দ্বারা উদ্দেশ্য লৌহ নির্মিত শিরস্ত্রাণ। রশি দ্বারা নৌকা বা জাহাজ বাঁধার রশি। কারো মতে ইসলামের প্রথম দিকে হাত কাটা হতো। পরে তা রহিত হয়েছে।
অথবা কোনো ব্যক্তি প্রথমে রশি অর্থাৎ খুব নগণ্য জিনিস চুরি করলো পরে এই বদ অভ্যাসেই হাত কাটার দিকে নিয়ে যায়। কারো মতে ধমকানো, কারো মতে হাত কাটা হবে রাজনৈতিক নীতিতে। আল্লাহই ভালো জানেন। (মিরকাতুল মাফাতীহ)