পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৩৪১৪-[৯] উক্ত রাবী [আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহর কসম! তোমাদের মধ্যে কেউ যদি পরিবার-পরিজনের ব্যাপারে কসম করে এবং সে কসমের কাফফারা আদায় করার পরিবর্তে আল্লাহ তা’আলা তার ওপর যা ফরয করেছেন- তার (কসমের) উপর দৃঢ় থাকে। তখন সে আল্লাহ তা’আলার নিকট অধিক গুনাহগার হবে। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
اَلْفَصْلُ الْأَوَّلُ
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَاللَّهِ لَأَنْ يَلَجَّ أَحَدُكُمْ بِيَمِينِهِ فِي أَهْلِهِ آثَمُ لَهُ عِنْدَ الله نم أَنْ يُعْطِيَ كَفَّارَتَهُ الَّتِي افْتَرَضَ اللَّهُ عَلَيْهِ»
ব্যাখ্যা: যে ব্যক্তি তার পরিবারের সাথে সম্পৃক্ত এমন বিষয়ের কসম খায় আর কসম না ভাঙ্গলে পরিবারের ওপর ক্ষতির আশংকা রয়েছে তখন তার উচিত হবে কসম ভেঙ্গে কাফফারা আদায় করে ঐ কাজ করা যাতে তার পরিবার ক্ষতির আশংকা হতে মুক্ত হয়। আর যদি সে মনে করে আমি শপথ ভাঙ্গব না, বরং আমি অটুট থাকব শপথ ভাঙ্গার গুনাহের ভয়ে। এমনটি করলেই যে অন্যায়কারী হবে। শপথ না ভাঙ্গার উপর। অথচ শপথ না ভাঙ্গার উপর থেকে পরিবারকে কষ্ট দেয়া আরও বেশী গুনাহের কাজ। কাযী ‘ইয়ায আর ত্বীবী বলেনঃ হাদীসে সাব্যস্ত হয় শপথ ভঙ্গের কাফফারা আদায় করা ফরয। (ফাতহুল বারী ১১শ খন্ড, হাঃ ৬৬২৫)