হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৩৩৬৭

পরিচ্ছেদঃ ১৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - স্ত্রীর খোরপোষ ও দাস-দাসীর অধিকার

৩৩৬৭-[২৬] ’আব্দুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বলল, হে আল্লাহর রসূল! গোলামকে তার অপরাধের জন্য কতবার আমরা ক্ষমা করব? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিশ্চুপ রইলেন। সে ব্যক্তি পুনরায় জিজ্ঞেস করল, (এবারও) তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিশ্চুপ রইলেন। তৃতীয়বার প্রশ্নের জবাবে বললেন, তাকে ক্ষমা কর, প্রত্যহ ৭০ বার (অপরাধ করলেও) মাফ করে দাও। (আবূ দাঊদ)[1]

وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ كم نَعْفُو عَنِ الْخَادِمِ؟ فَسَكَتَ ثُمَّ أَعَادَ عَلَيْهِ الْكَلَامَ فصمتَ فلمَّا كانتِ الثَّالثةُ قَالَ: «اعفُوا عَنْهُ كُلَّ يَوْمٍ سَبْعِينَ مَرَّةً» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

ব্যাখ্যা: (فَصَمَتَ) صمت এবং سَكَتَ একই অর্থ। অর্থাৎ চুপ থাকেন। দুইবার প্রশ্ন করার পরও চুপ থাকার কারণ হিসেবে বলা হয় যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ ধরনের প্রশ্ন অপছন্দ করেন; কেননা ক্ষমা করা সর্বদাই ভালো কাজ। যত বেশি ক্ষমা করবে তত বেশি প্রতিদান পাবে। অতএব এখানে নির্ধারিত সংখ্যার প্রশ্নের কোনো প্রয়োজন নেই। অথবা এও হতে পারে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তর দিতে ওয়াহীর অপেক্ষা করেন। আল্লাহই ভালো জানেন।

(كُلَّ يَوْمٍ سَبْعِينَ مَرَّةً) প্রতিদিন সত্তরবার হলেও। অর্থাৎ প্রতিদিন সত্তরবার ক্ষমা করার প্রয়োজন পড়লেও ক্ষমা কর। সত্তরবার উল্লেখ করে আধিক্য বুঝানো উদ্দেশ্য। নির্ধারিত সত্তর সংখ্যা উদ্দেশ্য নয়। বরং উদ্দেশ্য হলো বেশি বেশি ক্ষমা কর, যত বেশি পারো ক্ষমা কর। (‘আওনুল মা‘বূদ ৮ম খন্ড, হাঃ ৫১৫৫)
প্রত্যেক ভাষাতেই এমন ব্যবহার রয়েছে। অর্থাৎ সংখ্যা বলে নির্ধারিত সংখ্যা উদ্দেশ্য না করে অধিক বুঝানো হয়ে থাকে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ